-তুই কাজটা একবারে ঠিক করলি না.. তুই কেন আমাকে বিয়ে করলি👿👿
-আমারো একি প্রশ্ন তুই আমাকে কেন বিয়ে করলি তুই জানিস না আমার গার্লফ্রেন্ড আছে...
-হুম হইছে হইছে.. আমার কাছে ঘেষার চেস্টাও করবি না...
-আমার ঠেকা পড়ছে তোর মত বেজির ঘেসার...
-শয়তান,কুত্তা, হারামজাদা কি কইলি তুই...
-কইলাম তুই এক্টা বেজি..
-তোরে আমি খুন করবো...
-অকালে বিধবা হওয়ার বন্দবস্ত করছিস দেখি...
-ভাই আমার তোর পায়ে পড়ি যা এখান থেকে আমাকে এক্টু একা থাকতে দে...
-হি হি ওকে😁😁
।
।
পরিচয় দিয়া নেই আমি তন্ময়। আর ও আমার বউ শোভা। আমার মা বাবা থাক্তেও আমি তাদের সাথে থাকি না। কেন থাকি না তা আপ্নাদের পরে জানলেও চলবে। শোভা আমার চাচাত বোন। আমাদের অবস্থা দা কুমড়ার মত। তবুও ছোট আব্বু এই পেত্নির সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিল।তার কথা তার আদরের বজ্জাত মেয়েকে দূরে কোথায় যাইতে দিবে না তাই আমাকে কুরবানির গরু বানায় দিল। আমি ছোট আব্বু আম্মুকে অনেক ভালবাসি। নিজের বাবা মা তো বেইমানি করছে কিন্তু তারা আমার কোন অভাব বুঝতে দেয় নাই.....।
।
।
রুমে গিয়া দেখি মহারানি কান্না কইরা বলতেছে...
-আব্বু গো তুমি আমারে একটুও ভালবাসো না..তুমি কেন আমারে এই শয়তান টার সাথে বিয়া দিলা...
-ইশ রে দশ বালতি সমবেদনা তোর জন্য..
-কেন আসছিস তুই..
-তোর ফোন্টা দে..ফারিহার সাথে কথা বলব...
-হারামজাদা তোর লজ্জা করে না বউএর কাছে ফোন নেছ প্রেমিকার সাথে কথা বলার জন্য...
-হি হি জানোস ই তো আমার লজ্জা শরম কম....
-আল্লাহ গো কার গলায় ঝুলাইলা..
।
।
কিছুক্ষন পর....
-অই হারামি তুই খাটে শুইলি কেন..
-ঘুম লাগছে যা তো..
-উঠ এখান থেকে..আমিও ঘুমাবো..
-ঘুমাই যা আমার পাশে..
-আমি তোর পাশে ঘুমাবো ইমপসিবল...
-তাইলে নিচে ঘুমা যা (বলেই দিলাম এক কিক)
-ও মাগো কোমর গেল রে...
-অই হারামি মারতাসোস কেন..নিজের জামাই রে একটু আদরও করতে পারিস..
-নে আদর খা অই ঠিসুম,ওট ঠিসুম..
-তোর নামে আমি পুরুষ নির্যাতনের মামলা করমু...
-হি হি....
...........
......
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মাথায় এক শয়তানি বুদ্ধি আস্লো...যেই ভাবা সেই কাজ। নাস্তার টেবিলে নিচে নামতেই মেজাজটা গরম হয়ে গেল..
-ছোট আব্বু এই দুই জন এখানে কেন?
-কেন বাবা আমরা কি আমাদের ছেলের সাথে দেখা করতে আসতে পারি না..(মা)
-ছেলে..কে ছেলে আপনাদের...
-আমাদের মাফ করে দে বাবা (বাবা)
-আমি একটা কথা বুঝি না আপ্নারা কাকে আপনাদের ছেলে বলছেন। আমি তো জারজ সন্তান....
বাবা মা চলে গেল। মায়ের চোখে পানি দেখতে পেলাম। আমার কস্ট হয় নি তা না। কিন্তু তারা আমার সাথে যা করেছে তা আমি কোন দিন ভুলবো না...
।
।
-আম্মু খাইতে দাও..
-বস বাবা আমি এখুনি দিচ্ছি...
এমন সময় শোভার আগমন..
-মাম্মা খাইতে দাও..
-এই বিলাই হুশ হুশ..দূর হো..
আমার কথা শুনে শোভা এই দিক ওই দিক তাকাচ্ছে। আর আমি আর আম্মু এই দিকে হেসে কুটি কুটি...
-আম্মু বিলাইটা যায় না কেন?
-ওই তুই বিলাই কাকে কস...
আমি আয়না নিয়ে ওর সামনে ধরলাম। ও একটা চিৎকার দিল..
-কুত্তা, শয়তান তুই আমার মুখে কি আকসস...
-ছি আম্মু..মেয়েকে এই শিক্ষা দিছ..
-তোরা থাম এইবার...
।
।
অনেক দিন পর কলেজ আসলাম। বসে বসে আড্ডা দিচ্ছি। এমন সময়..
-দোস্ত..
-এই ভিখারি দূরে যা..
-দোস্ত আমি কিশোর..
-কিরে কিশোই রা তোরে মাইরা পাটি সাপ্টা বানাইলো কে...
-ভাবি করছে দোস্ত.. ও মাগো..
-কিসের জন্য করছে..
-শুন তাহলে..
।
-আই লাভ ইউ মুন্নি...
-হারামজাদা তোর সাহস হয় কিভাবে আমার বন্ধুকে প্রপোজ করার..
-ভাবি আমি তন্ময় এর বন্ধু কিশোর..
-তাই তো বলি তোর মত পাতলুর এত কলিজা আসে কই থেকে। আজকে তোকে এমন টাইট দিব আর কোন দিন প্রোপজ করবি না...
।
বেচারা কিশোরের কথা শুনে আমি হেসে কুটি কুটি। অনেক কস্টে নিজেকে সাম্লিয়ে বললাম..
-চল দেখি কি করা যায়..
।
যায়া দেখি শোভা লম্বা বক থুক্কু আবুইল্লার লগে কথা কয় আমাকে দেখে আরো হাসে হাসে কথা বলতেছে। আমিও কম কিসের...
-এই নিলা শোন..
-বল দুস্ত..
-দুস্ত তুই একটু আমার হাত ধইরা হাট তো..
-দূরে গিয়া মর হারামজাদা...
-প্লিজ দোস্ত..
-ওকে..
।
।
শোভার সামনে নিলার হাত ধরে হাটছি। শোভা দেখি ফুলছে। অমা এই মাইয়া দেখি আমার দিকে আসতাছে হাতে একটা হকি স্টিক। চাচা আপন জান বাচা। আমি দৌড়াছি। পিছনে শোভা.. হঠাত....
হঠাত একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খাইলাম।ভাল করে খেয়াল করে দেখলাম ফারিহা...
-তুমি এখানে এতদিন কই ছিলা...
-আসলে কিভাবে বলি...
-কি হইল কই ছিলা এতদিন..
এমন সময় শোভার আগমন...
-ওই এই মেয়ের সাথে তোর কিসের এত পিরিত হুম..
-এই যে মেয়ে ওই আমার বিএফ বুঝলা.. তুমি কে?
-আমি ওর বিয়ে করা বউ...
-কিহ...তন্ময় এই মেয়ে কি বলতেছে...
-আসলে ফারিহা আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে...
-ঠাস ঠাস হারামজাদা তুই দূরে গিয়া মর...
-হি হি ওকে...
ফারিহা, শোভা দুই জনি চলে গেল...
।
।
কলেজ থেকে বাসায় আসলাম। কিন্তু বাসার সবাই এত চুপচাপ কেন...
-ছোট আব্বু কি হইছে...
-কি আর হবে.. তোর জন্য সুখের খবর আছে..(শোভা)
-আহ তুই থাম তো..এই আব্বু কি হইছে বল না...
-ভাইয়া হার্ট এ্যাটাক করছে... অবস্থা বেশি ভাল না...
-ভাল হইছে... আল্লাহর কাছে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বো....
-ঠাস ঠাস...
কি জানিস তুই ভাইয়ার ব্যাপারে যে তুই এমন কথা বলিস...
-মানে কি বলতে চাও তুমি....
-ভাইয়া...(কথাটি বলতে দিল না। আম্মু আব্বুর হাত টেনে ধরল)
-কি হল বলো...
-আমরা এখন যাচ্ছি তুইও চল আমার সাথে....
।
।
হাস্পাতালে গিয়ে দেখি মা বসে আছে। মায়ের চোখ দিয়ে কান্না ঝরছে। আজ আর রাগ করতে পারলাম না...
-মা..
আমার কথা শুনে মা আমাকে জড়িয়ে ধরল...
-মা দেখো বাবার কিছু হবে না..
-তাই যেন হয় বাবা...
-মা আমি আজ সত্যি জানতে চাই.. আশা করি উত্তর পাবো...
-তোর যখন জন্ম হয় তখন আমরা অনেক খুশি ছিলাম। কিন্তু তোর দাদি এটা মেনে নিতে পারে নি। সে মনে করত তুই আমাদের না অন্য কারো সন্তান। তাই তোকে মেরে ফেলার চেস্টা করত...একদিন...
-আম্মু তুমি কি করছ... তুমি কি আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে নাকি...
-বাবা এটা তোর সন্তান না... এটা অন্য কারো সন্তান...
-মা তুমি ভুল বুঝছো...আয়েশার সাথে এক্সিডেন্ট টা ঘটেছে ঠিকি কিন্তু তন্ময় আমার সন্তান এই বংশের রক্ত...
-আমি মানি না... আজ তোকে একক্টা সিদ্ধান্ত নিতে হবে.. আমি না ওই জারজ ছেলে....
।
।
সেইদিন তোর বাবা বুকে পাথর রেখে তোকে বাচানোর জন্য তোকে করিমের হাতে তুলে দেয়...
-আমায় মাফ করে দাও মা...
-দোয়া কর বাবা তোর আব্বু যেন ভাল হয়ে যায়....
।
।
কেবিনের বাইরে বসে আছি। এমন সময় শোভা আমার পাশে বস্ল...
-দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি চিন্তা করিও না...
-তাই যেন হয় শোভা..
কিছু সময় পর ডাক্তার আস্লো..
-রোগির অভিভাভক কে...
-আমরা..
-দেখুন ওনার কিডনি দুটাই নস্ট হয়ে গেছে। আগামি চব্বিশ ঘন্টার মাঝে প্রতিস্থাপন করতে হবে..কিন্তু কিডনি কোথাও পাওয়া যায় নি...
-ডাক্তার আমি কিডনি দিব বাবাকে.. আমি উনার ছেলে..
-ওকে....
।
।
ডাক্তার অপারেশন করে বের হল..
-ডাক্তার তারা কেমন আছে...(শোভা)
-রহিম সাহেব ঠিক আছে। কিন্তু উনার ছেলে(হতাশার ছাপ)
-কি হয়েছে তন্ময় এর (কাদো স্বরে)
-আই এম সরি বাট....
-তুমি এখানে এতদিন কই ছিলা...
-আসলে কিভাবে বলি...
-কি হইল কই ছিলা এতদিন..
এমন সময় শোভার আগমন...
-ওই এই মেয়ের সাথে তোর কিসের এত পিরিত হুম..
-এই যে মেয়ে ওই আমার বিএফ বুঝলা.. তুমি কে?
-আমি ওর বিয়ে করা বউ...
-কিহ...তন্ময় এই মেয়ে কি বলতেছে...
-আসলে ফারিহা আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে...
-ঠাস ঠাস হারামজাদা তুই দূরে গিয়া মর...
-হি হি ওকে...
ফারিহা, শোভা দুই জনি চলে গেল...
।
।
কলেজ থেকে বাসায় আসলাম। কিন্তু বাসার সবাই এত চুপচাপ কেন...
-ছোট আব্বু কি হইছে...
-কি আর হবে.. তোর জন্য সুখের খবর আছে..(শোভা)
-আহ তুই থাম তো..এই আব্বু কি হইছে বল না...
-ভাইয়া হার্ট এ্যাটাক করছে... অবস্থা বেশি ভাল না...
-ভাল হইছে... আল্লাহর কাছে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বো....
-ঠাস ঠাস...
কি জানিস তুই ভাইয়ার ব্যাপারে যে তুই এমন কথা বলিস...
-মানে কি বলতে চাও তুমি....
-ভাইয়া...(কথাটি বলতে দিল না। আম্মু আব্বুর হাত টেনে ধরল)
-কি হল বলো...
-আমরা এখন যাচ্ছি তুইও চল আমার সাথে....
।
।
হাস্পাতালে গিয়ে দেখি মা বসে আছে। মায়ের চোখ দিয়ে কান্না ঝরছে। আজ আর রাগ করতে পারলাম না...
-মা..
আমার কথা শুনে মা আমাকে জড়িয়ে ধরল...
-মা দেখো বাবার কিছু হবে না..
-তাই যেন হয় বাবা...
-মা আমি আজ সত্যি জানতে চাই.. আশা করি উত্তর পাবো...
-তোর যখন জন্ম হয় তখন আমরা অনেক খুশি ছিলাম। কিন্তু তোর দাদি এটা মেনে নিতে পারে নি। সে মনে করত তুই আমাদের না অন্য কারো সন্তান। তাই তোকে মেরে ফেলার চেস্টা করত...একদিন...
-আম্মু তুমি কি করছ... তুমি কি আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে নাকি...
-বাবা এটা তোর সন্তান না... এটা অন্য কারো সন্তান...
-মা তুমি ভুল বুঝছো...আয়েশার সাথে এক্সিডেন্ট টা ঘটেছে ঠিকি কিন্তু তন্ময় আমার সন্তান এই বংশের রক্ত...
-আমি মানি না... আজ তোকে একক্টা সিদ্ধান্ত নিতে হবে.. আমি না ওই জারজ ছেলে....
।
।
সেইদিন তোর বাবা বুকে পাথর রেখে তোকে বাচানোর জন্য তোকে করিমের হাতে তুলে দেয়...
-আমায় মাফ করে দাও মা...
-দোয়া কর বাবা তোর আব্বু যেন ভাল হয়ে যায়....
।
।
কেবিনের বাইরে বসে আছি। এমন সময় শোভা আমার পাশে বস্ল...
-দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি চিন্তা করিও না...
-তাই যেন হয় শোভা..
কিছু সময় পর ডাক্তার আস্লো..
-রোগির অভিভাভক কে...
-আমরা..
-দেখুন ওনার কিডনি দুটাই নস্ট হয়ে গেছে। আগামি চব্বিশ ঘন্টার মাঝে প্রতিস্থাপন করতে হবে..কিন্তু কিডনি কোথাও পাওয়া যায় নি...
-ডাক্তার আমি কিডনি দিব বাবাকে.. আমি উনার ছেলে..
-ওকে....
।
।
ডাক্তার অপারেশন করে বের হল..
-ডাক্তার তারা কেমন আছে...(শোভা)
-রহিম সাহেব ঠিক আছে। কিন্তু উনার ছেলে(হতাশার ছাপ)
-কি হয়েছে তন্ময় এর (কাদো স্বরে)
-আই এম সরি বাট....