ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় জেনে নিন 2018

ব্রণ
ব্রণ হলো মানব ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগবিশেষ যা বিশেষত লালচে ত্বক, প্যাপ্যুল, নডিউল, পিম্পল, তৈলাক্ত ত্বক, ক্ষতচিহ্ন বা কাটা দাগ ইত্যাদি দেখে চিহ্নিত করা যায়। ভীতি, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা উদ্রেকের পাশাপাশি, এটির প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া। মেয়েদের মতো ছেলেরাও ত্বকের যে সমস্যাটিতে বেশি ভুগেন তা হলো ব্রণ। নানা কারণেই ব্রণ হতে পারে। তরুণদের মধ্যে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়। ব্রন থেকে বাঁচার জন্য নানাজন নানাভাবে চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু বেশীরভাগ সময় এর ফলাফল মূন্য হয়। তাই আজ দেয়া হলো ব্রণের সমস্যা এড়াতে ছেলেরা যা
 করবেন-

ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় জেনে নিন

প্রথমেই জেনে নিন যে কারণে ব্রণ হয় :
১. হরমনের পরিবর্তন
২. ত্বকে ধুলোময়লা জমে থাকা
৩. বংশগত কারণ
৪. ত্বকে ভিটামিনের অভাব
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য।
ব্রণের সমস্যা বেশি হলে সমাধানের জন্য ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। তবে এর আগে ব্রণ দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে দেখতে পারেন।
বরফ
বরফ দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। বরফের ঠান্ডাভাব ব্রন কমাতে সাহায্য করবে।
প্রথমে ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
একটি বরফের টুকরোকে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কয়েক মিনিট ব্রণের ওপর রাখুন। বরফ সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না।
পাঁচ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার ব্যবহার করুন।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের ভিটামিন, এমাইনো এসিড, প্রোটিন ব্রণের ওপর কাজ করে। তবে এ ক্ষেত্রে কেবল ডিমের সাদা অংশটুকু ব্যবহার করবেন।
মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
দুটি ডিমের সাদা অংশ বের করে নিন।
নরম ব্রাশ বা হাত দিয়ে ব্রণের মধ্যে সাদা অংশ লাগান।
পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে আবার ডিমের সাদা অংশ দিন।
কিছুক্ষণ রাখার পর মুখ ধুয়ে হালকা ধাঁচের কোনো ক্রিম ব্যবহার করুন।
পেঁপে
পেঁপে ব্রণ দূর করার উপাদান হিসেবে চমৎকার। এটি ত্বক থেকে বাড়তি তেল দূর করে এবং মুখের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।
পাঁচটি ছোট পেঁপের টুকরো ব্ল্যান্ড করুন।
পেঁপের এই পেস্ট ব্রণের মধ্যে লাগান।
৩০ মিনিট এভাবে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণ না কমা পর্যন্ত প্রতিদিন এটি ব্যবহার করুন।

যা খাবেন :
১. তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. বেশি করে শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
৩. পেট পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়।
৪. নিয়মিত সবুজ শাকসবজি আর টাটকা ফলমূল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।
৫. সব থেকে প্রচুর পানি খেতে হবে।
নবীনতর পূর্বতন