পরী পাগলী

Related image
কিছুদিন আগের কথা।
ফেসবুকে গিয়ে ফাইন্ড ফ্রেন্ডে একটু ডুকলাম।কারন আমার একাউন্টা ছিল নতুন। আমার পরিচিত অনেকেই আমার সাথে এড ছিল না।ফাইন্ড ফ্রেন্ডে গিয়েই “পরি পাগলী”নামটা দেখে চোখ আটকে গেল।নামটা দেখে কেমন জানি হাসি পাচ্ছিল।আইডিটার ভিতর গিয়ে চেক করে একটা রিকুয়েস্ট দিলাম।দুই দিন পার হয়ে গেছে কিন্তু রিকুয়েস্ট এক্সচেপ্ট করার কোন নাম নাই।তাই একটা মেসেজ দিলাম
:
–আমার রিকুয়েস্টা কি এক্সচেপ্ট করা যায় না।
:
ঠিক তার ২৪ মিনিট পর রিপ্লে আসল। :
–আসলে আমি অপরিচিত কারো রিকুয়েস্ট এক্সচেপ্ট কর না।
:
–আচ্ছা আমার একটা কথা উত্তর দিবেন। :
–কি কথা।
:
–আচ্ছা আপনি যখন জন্ম গ্রহন করেছেন। তখন কি সবাইকে চিনতে পেরেছেন।তাদের কে কি আস্তে আস্তে চিনতে পেরেছেন না।
:
–হুম কিন্তু আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারছি না।যদি একটু সরাসরি বলতেন।
:
–ঠিক
তেমনি ভাবে সবাইকে সাথে সাথে চিনবেন না।আস্তে আস্তে চিনতে পারবেন। :
:
ঠিক তার বিশ মিনিট পর কি যেন ভেবে আমার রিকুয়েস্টা এক্সচেপ্ট করল। সেখান থেকে শুরু।আস্তে আস্তে মেয়েটির সাথে পরিচয়।মেয়েটির নাম ছিল বন্যা। প্রতিদিন তার সাথে অনেক কথা হত।অল্প কিছুদিনের মধ্যে মেয়েটির সাথে বন্ধুত্বের একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি আমাদের পাশের জেলায় থাকত। এক সময় আমাদের মাঝে ফোন নাম্বার আদান প্রদান হয়।মাঝে মাঝে ফোনের কথা হত।প্রায় সময় ফেসবুকে কথা হত।বন্যার সাথে কথা বলতে বলতে একটা সময় অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করে।কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কাউকে দেখিনি।আমাদের মাঝে ছবি আদানপ্রদানও হয়নি। :
:
:
তাই তার সাথে দেখা করতে চাইলাম। কিন্তু সে সম্পূর্ন নারাজ।তার কারন হল তাকে দেখার পর নাকি আমি তার সাথে আর যোগাযোগ করব না।এই কথা শুনার পর আমার দেখা করার ইচ্ছা বহুগুণ
বেড়ে গেল। তাকে অনেক
কষ্টে রাজি করাতে পারলাম।
:
দিনটা ছিল রবিবার।বিকেল তিনটা। পার্কের এককোনে বসে আছি।কিন্তু বন্যার আসার কোন নাম নেই।কিছুক্ষন পর পিছন থেকে একটা নারী কন্ঠ কানে ভেসে আসল:- আপনি জোবায়ের।
.
.
.
আমি পিছনে ফিরে দেখি বন্যা আমার পিছনে দাড়িয়ে।কিন্তু
তাকে প্রথমে দেখেই হতবাক হয়ে যাই। কারন হল তার একটা পা ছিল না। ভেবেছিলাম তাকে প্রথম দেখাতেই প্রপোজ করাব।কিন্তু আমার সামনে একটা প্রশ্ন এসে দাড়াল।সেদিন তার সাথে কিছু সময় কাটানোর পর।বাসায় এসেই ফেসবুকে ব্লক এবং ফোন নাম্বারটা চেঞ্জ করে যেন হাফ ছেড়ে বাচি।
:
:
:
এই কাজটা করার পর।দুই দিন ধরে আমার কেমন জানি একটা অসস্থি লাগছে।কি যেন হারাতে যাচ্ছি।জীবন যেন আমার অসম্পূর্ণ
হয়ে যাচ্ছে।তাই আবার সিমটা চালু করি। সাথে সাথেই একটা মেসেজ আসে “দুরেই যেহেতু
চলে যাবে তাহলে কাছে এসে আশা জাগিয়ে ছিলে কেন”। ফোন দেই বন্যাকে।ওপাশ
থেকে কান্না জড়িত কন্ঠে নানা প্রাশ্ন। :
–বন্যা কালকে আমার সাথে আগের জায়গায় একটু দেখা করতে পারবা। :
–ঠিক আছে।
:
:
:
পরের দিন।আমি আজ একটু দেরী করে যাই। গিয়ে দেখি বন্যা আমার জন্য বসে আছে। আমি গিয়ে তার পাশে বসি।
:
–কি বেপার দেরী করলে যেন।
:
–বন্যা
:
–কি
:
–তোমার হাতটা একটু ধরি।
:
–ধরে কি লাভ সেটাত ক্ষনিকের জন্য। :
–ক্ষনিকের জন্য না।এটা সারাজীবনের জন্য যদি তুমি রাজি থাক।
:
–আমারত পা একটা।
আমাকে ভালবাসলে সুখি হতে পারবা না। :
–ভালবাসার মানুষকে কাছে পাওয়াটাই সবচেয়ে বড় কথা। এর চেয়ে বেশি সুখ আমি চাই না।আমাদের ভালবাসার মাঝে এটা অতি তুচ্ছ বেপার।
:
:
:
এই কথা শুনার পর বন্যা হু হু করে কেদে দেয়। আমি তাকে কান্না থামানোর চেষ্টা করলাম না।কারন এই কান্নার মাঝে জড়িয়ে আছে সুখের ঠিকানা। :
أحدث أقدم