সম্পর্কে জড়ানোর আগে পৃথিবীর সব পুরুষদের সাবধান করছেন মনোবিজ্ঞানী আর গবেষকরা। তাঁদের গবেষণায় ১২ রকমের মেয়েদের খুঁজে পাওয়া গেছে যাদের সাথে সম্পর্ক গড়া তো দূরের কথা, এক দিনের জন্যে ডেটিংয়ে যাওয়াটাই বড় ভুল বলে গণ্য হবে আপনার জীবনে। এই ১২ ধরনের মেয়েদের সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেয়া যাক।
১. আমিই সর্বেসর্বা:
এ জাতীয় মেয়েরা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ পেতে ব্যাপক আগ্রহী। তারা বোঝাতে চান যে, আমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ। বড় কোনো বিষয়ে তো বটেই, এমনকি ছোটখাট ব্যাপার যেমন- ঘুরতে যাওয়া বা রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুতেই এ মেয়েরা ওস্তাদি ফলাতে তৎপর থাকেন। তাই এমন মেয়েদের থেকে ১০০ হত দূরে থাকুন।
২. আপনার টাকা খসাতে পটু:
এমন আচরণ দিন-দুপুরে ডাকাতির সমতুল্য। আপনার সাথে ডেটিংয়ের দিনটিতে তার একমাত্র কাজই হবে নিজের পছন্দের গিফট কেনা, প্রিয় খাবার গোগ্রাসে গেলা, সিনেমা দেখতে যাওয়া আর সম্ভব হলে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় দুনিয়ার তাবৎ জিনিস কিনে বাসায় ফেরা। আপনার প্রিয়তমা কী এমন করেন?
৩. বন্ধুপ্রাণ চরিত্র:
সে আপনার কাছে শুধুই তার যতো বেস্ট ফ্রেন্ডদের গল্প বলতে অস্থির থাকবে। তার জন্মদিনের পার্টিতে আপনি না আসলে হবেই না- এমন ভাব দেখাবে। কিন্তু গিয়ে দেখবেন সে সারাক্ষণ তার বেস্ট ফ্রেন্ডদের চারপাশে ঘুরঘুর করছে। আপনি যে সেখানে আছেন, তা যেন সে জানেই না।
৪. তার মনজুড়ে আছে অন্য কেউ:
আপনার সাথে বেশ খাতির হয়েছে মেয়েটির। কাছে বসে গল্প করে, প্রায়ই ফোনে কথা বলেন। আপনি হয়ত বেজায় খুশি এমন একটি মেয়ের সাথে ভাব হয়ে। আর আপনার চালচলনে যদি এমন ভাব থাকে যে, তোমার ইচ্ছাই আমার কর্ম, তাহলেই আপনি ফেঁসেছেন।
এমন মানসিকতার কারণেই সে আপনার সাথে সম্পর্ক রেখেছে। আদেশ-নিষেধের কাজটি সে আপনার ওপর ফলাতে মজা পায়। মূলত: এমন মেয়েরা কোনো ছেলের প্রতিই দুর্বল নয়। এমনও হতে দেখা গেছে, সে আপনার সাথে ভাব জমিয়েছে আসলে আপনার বন্ধুটিকে পাওয়ার জন্যে।
৫. সে তো আকাশের তারা:
আপনার অবস্থা শোচনীয় হবে যদি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা এলাকার সেরা সুন্দরীকে আপনি প্রেমিকা হিসেবে পেতে চান। এই সুন্দরীর প্রতি অন্য ছেলেদের নিবদ্ধ দৃষ্টিতে আপনি হয়ে পড়বেন অসহায়। আর প্রেমিকার অহংকার হতে থাকবে আকাশচুম্বী। সুদর্শন সুপুরুষ হলেও এ পরিস্থিতিতে আপনি তার কাছে অনেকের মধ্যে একজনমাত্র। কারণ সে তো মহাসুন্দরী আফ্রোদিতি। এ মেয়ের ছায়ায় কি আপনি থাকতে চান?
৬. তুলনার জালে জর্জরিত আপনি:
মেয়েটিকে ভালবেসে আপনি হয়ত আপনার অন্তরের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। দেখাতে চান, আমিই তোমার জীবনে সেরা পুরুষ। এ কাজটা নিতান্তই উলু বনে মুক্তো ছড়ানোর মতো। আপনার সকল প্রচেষ্টাই বিফলে যাবে যখন সে যেকোনো কাজে অন্যের সাথে আপনার তুলনা করবে।
তার অন্য বান্ধবীর প্রেমিকা কী কী করেন বা তার আগের প্রেমিক কী করতো এসব গল্পের খই ফুটবে তার মুখে। কাজেই এমন বৃথা চেষ্টায় ক্ষান্ত দিন আর এমন প্রেমিকার সঙ্গ ত্যাগ করুন।
৭. অভিযোগের তীরে আপাদমস্তক বিদ্ধ আপনি:
আপনার আত্মনির্ভরশীলতা খোয়াতে এমন একটি মেয়েই যথেষ্ট। তার কাজই হলো আপনার সব কাজে ভুল ধরা, তা ভুল বা ঠিক যাই হোক না কেনো। তার একটিই অভিযোগ, আপনি একটি কাজও ঠিক মতো করতে পারেন না। আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।
৮. মিস হিংসুটে:
সম্পর্কের পর আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি হবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু । তার প্রথম কাজই হবে বন্ধুর সাথে আপনার সম্পর্কের ইতি ঘটানো। বন্ধুর সাথে আপনি আড্ডা দিচ্ছেন বা সিনেমা দেখতে যাবেন বা কোথাও ঘুরতে যাবেন- এ সব কাজেই বাধা হয়ে দাঁড়াবে আপনার প্রেমিকার হিংসাভাব। সে আপনাকে কোনো সুযোগই দিতে চাইবে না। এমন হিংসা ভারাক্রান্ত মনের সাথে মন না মেলানোই উত্তম।
৯. মূর্তিমান বিভীষিকা:
মিষ্টি প্রেমিকার মধ্যে কুৎসিত বিভীষিকা দেখবেন যখন সে আপনার মোবাইলে আপনারই কোনো মেয়ে বন্ধুর নম্বর থেকে ফোন আসতে দেখবে। কোনো মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই সে মেনে নেবে না। অবধারিতভাবে সে আপনার মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে দেখবে এবং মেসেজ দেখার জন্যে তোলপাড় করবে। এমনকি সে তার একটি বান্ধবীর সাথেও আপনার দেখা করাবে না।
১০. আচরণ বড়ই বিভ্রান্তিকর:
চেনাজানা সুন্দরী মেয়েটা আপনাকে ভালবাসি কথাটা বলে ফেলল। স্বপ্নের ঘোরে আবিষ্ট হয়ে দিন কাটে আপনার। কিছুদিন একসাথে ঘোরাঘুরির পর বুঝলেন আপনি আসলে তার বডিগার্ড টাইপের কেউ। কষ্ট পাবেন না। বুঝে ফেলেছেন যখন, মানে মানে কেটে পড়ুন।
১১. আবেগের বলী:
মাত্র এক মাস বা মাস কয়েকের সস্পর্কেই আপনাকে বিয়ে করার জন্যে পাগল হয়ে গেলো মেয়েটি। কতটাই না ভালবাসে আপনাকে! আবেগতাড়িত হয়ে তাকে পাওয়ার জন্যে আপনিও পাগলপ্রায়। এই পরিস্থিতিতে একটু ভাবুন, এ অল্প সময়ে দুজন দুজনের ব্যাপারে কতটুকুই বা জানেন।
এ আবেগ গড়াতে দিন, তাকে জানুন। সত্যিকার অর্থে মেয়েটি আপনাকে ভালবেসে থাকলে তাকে আপনি কিছুদিন পরে হলেও পাবেন। আর ভেজাল থাকলে, মেয়েটির উদ্দেশ্য আসলে আপনাকে আবেগ দিয়ে ঘায়েল করে বিয়ের কাজটা সেরে ফেলা।
১২. কট্টোর নারীবাদী:
তার কথাবার্তায় আর ভাব-ভঙ্গিতে মনে হয় যেনো এ দুনিয়ায় তার আবির্ভাব ঘটেছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ থেকে মেয়েদের রক্ষার জন্যে। ছেলেদের প্রতি তার কোনো সম্মানবোধ নেই। আপনার সাথে সম্পর্কে জড়ালেও ‘তোমরা ছেলেরা এমন কিভাবে হতে পারো’ এ মন্তব্যটি প্রায়ই শুনতে হয় আপনাকে।
এমন মেয়েদের অন্য মেয়েরাই পছন্দ করে না। এমনকি এ ধরনের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে অন্য মেয়েরাই আপনাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখবে। কাজেই এমন কট্টরপন্থী নারীবাদীকে দূরেই রাখুন।