প্রিয়া
—
আমার শুভেচ্ছা নতুন করে নয়।
তোমার ব্যস্ত কর্পোরেট ভালোবাসা আর নিকেতন জীবন ধারায়
ব্যাঘাত ঘটাতে চাইনি কোনদিন।
তবু আজ এই গভীর জোসনায় তোমাকে খুব বেশি অনুভব করছি পুবালী হাওয়ায়।
তুমিও কি আমার মত খোলা আকাশে সাওয়ার নিয়েছো পুর্ণীমা দিনে?
তোমার আকাশে কি ঠিক সমান ক্ষণে জেগে আছে আসবাব চাঁদ?
মনে আছে সেই রুপোলী রাতে আমরা উড়ে গিয়েছিলাম কোন দ্বীপে?
যার নামকরণ করেনি এখনও কেউ। সেই আদিমের বুনো উৎসবে।
একবার ভেবেছি হলুদ খামে বন্দি করে
ছোট্ট করে ভাঁজে ভাঁজে
একটু খানি জোসনা নিয়ে
তোমার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবো
আমার কিছু জমানো তারা
সাথে দেবো পাঁপড়ি ছাড়া
ফুলের অনেক ভালবাসা।
যদি পারো আমার মত
নষ্ট সময় নষ্ট করে
একটু খানি আদর মেখে
তোমার হাতের তালু ভরে
সুখটি দিও যতন করে।
যদি কখনও এই চেনা লেখা তোমার দৃষ্টি কেড়ে নেয়
আমার জন্য একটু সময় বেছে নিও নিঃসঙ্গতায়।
অন্তত এটুকু জানি, তোমার বিরক্তি কখন শুরু হয়।
এমন লম্বা সময় পেরিয়ে গেলে ‘ভালবাসি’ বিহিন,
তাই ভালবাসি, আর লম্বা লেখা ঠিক এমন।
তবু জানতে ভীষণ ইচ্ছে জাগে
তোমার বারান্দায় কি বইছে বাতাস
শিতল এবং ভেজা,
ইতি তোমার
প্রিয় রাসেল