সরকারি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় তিন হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী দুই মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দেয়া হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিই মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হলেও মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই প্রক্রিয়ার কারণে নির্বাচিত প্রার্থীদের এখনও নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
নিয়োগ বাস্তবায়নে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান সনদ যাচাইয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে। বর্তমানে নিয়োগ দিতে আর বাধা নেই। নিয়োগ বাস্তবায়নে অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সোমবারসহ একাধিক সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৭ হাজার সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক পদে প্রায় ২০ হাজার পদ শূন্য। শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শিক্ষক নিয়োগ দিতে ২০১৬ সালের ২৪ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিপিই। সে বছরের ২৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
৫০ হাজার আবেদনকারী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭ হাজার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। দেশের আট বিভাগে মোট দুই হাজার ৯১৪ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হলেও কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে।
গত ১৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কাগজপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সেটিকে আমলে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে পূনরায় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানান ডিপিই মহাপরিচালক।