২০২৭ সাল। ১৮ চাকার লরি চালাচ্ছে কোনো রোবট! সময়ের কাঁটাকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যান ২০৫৩ সালে। অপারেশন থিয়েটারে ভীষণ জটিল কোনো অস্ত্রোপচারে মগ্ন রোবট! বিস্ময়ে চোখ কপালে তোলার কিছু নেই। তথ্যপ্রযুক্তি যেমন সুপারসনিক গতিতে এগোচ্ছে, তাতে ২০৬৬ সালের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডে মানুষকে টপকে যেতে পারে মানুষেরই তৈরি যন্ত্র—রোবট!
অক্সফোর্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সমীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে এমন চমকপ্রদ তথ্য। তাঁদের মতে, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে মানুষের নানা ধরনের কাজের নিয়ন্ত্রণ নেবে রোবট। মানে, মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে টপকে যাবে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা ‘এআই’। ৩৫২ জন এআই গবেষকের কাছে প্রশ্ন করে এমন তথ্যই বের করে এনেছেন অক্সফোর্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
তাঁদের মতে, ২০২৪ সালের মধ্যে ভাষাগত অনুবাদ শিখে ফেলবে রোবট। এর দুই বছর পর হাইস্কুলের রচনাও লিখবে তারা। ২০২৯ সাল নাগাদ পাঁচ হাজার কিলোমিটার দৌড়ে মানুষের সঙ্গে পাল্লা দেবে রোবট। তিন বছর পর তাদের দেখা যাবে খুচরো পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে। মোটামুটি ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মানুষের সব ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ রোবটের শিখে ফেলার ব্যাপারে এখনই ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকেরা।
প্রধান গবেষক কাটজা গ্রেস তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে গবেষণায় আরও জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে মেকানিক্যাল–সংক্রান্ত সব ধরনের কাজে হাত পাকিয়ে ফেলবে রোবট। তবে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের গভীরতর বিষয়গুলো আত্মস্থ করতে কিছুটা সময় লাগবে তাদের। যেমন ধরুন, বই লেখা কিংবা ভীষণ জটিল কোনো গাণিতিক সমাধান। সবচেয়ে শঙ্কার কথা হলো, গবেষকেরা আগামী ১২০ বছরের মধ্যে মানুষের সব ধরনের চাকরিবাকরি রোবটের দখলে চলে যাওয়ার ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন।
এ ব্যাপারে গবেষকদের ব্যাখ্যা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতি সাধিত হওয়ার ধারাবাহিকতায় পাল্টে যাবে যোগাযোগ, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সামরিক শক্তির মতো বিষয়াদি। এতে মানুষের আধুনিক জীবনও সংজ্ঞায়িত হবে নতুন করে। এ ধরনের ফলাফল গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনায় এআই নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তথ্য জোগাবে।
তবে মানুষের কর্মক্ষেত্র রোবটের দখলে চলে আসার শঙ্কাটা আগেই প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ ও লেখক জেরেমি রিফকিন। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত তাঁর লেখা বই ‘ইন্ট অব ওয়ার্ক’-এ রিফকিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, চাকরি নিয়ে মানুষের যে ধারণা, নিকট ভবিষ্যতে তা সেকেলে হিসেবে প্রমাণিত হবে। রিফকিনের এ ভবিষ্যদ্বাণীকে কৌতুকের সঙ্গে ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ‘অটোডেস্কে’র প্রধান নির্বাহী কার্ল বেজ, ভবিষ্যতের কারখানাগুলোয় দুই ধরনের কর্মী থাকবে—মানুষ ও কুকুর। মানুষ থাকবে কুকুরকে খাওয়াতে, আর কুকুর থাকবে মানুষ যেন যন্ত্রপাতিতে হাত দিতে না পারে, সে জন্য।
উন্নত বিশ্বে এখন কিন্তু অনেক কাজেই রোবটের ব্যবহার প্রচলিত। যুক্তরাস্ট্রকে দিয়ে উদাহরণ দেওয়া যায়, ১৯৭০ সালের তুলনায় দেশটিতে মানুষের কর্মক্ষেত্র কমেছে শতকরা ২৫ শতাংশ। এ জন্য অনেকেই দায়ী করে থাকেন রোবটনির্ভরতাকে। দুই গবেষক কার্ল বেনেডিক্ট ফ্রে এবং মাইকেল এ অসবোর্ন দেখিয়েছেন, শুধু ‘কম্পিউটারাইজেশন’-এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪৭ শতাংশ কর্মক্ষেত্র ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ২০১২ সালে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ঘোষণা দিয়েছিল, আগামী তিন বছরের মধ্যে তারা কর্মক্ষেত্রে মানুষের বদলে ব্যবহার করবে প্রায় ১০ লাখ রোবট।
তাহলে? অদূর ভবিষ্যতে মানুষের কী হবে!
তাঁদের মতে, ২০২৪ সালের মধ্যে ভাষাগত অনুবাদ শিখে ফেলবে রোবট। এর দুই বছর পর হাইস্কুলের রচনাও লিখবে তারা। ২০২৯ সাল নাগাদ পাঁচ হাজার কিলোমিটার দৌড়ে মানুষের সঙ্গে পাল্লা দেবে রোবট। তিন বছর পর তাদের দেখা যাবে খুচরো পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে। মোটামুটি ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মানুষের সব ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ রোবটের শিখে ফেলার ব্যাপারে এখনই ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকেরা।
প্রধান গবেষক কাটজা গ্রেস তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে গবেষণায় আরও জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে মেকানিক্যাল–সংক্রান্ত সব ধরনের কাজে হাত পাকিয়ে ফেলবে রোবট। তবে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের গভীরতর বিষয়গুলো আত্মস্থ করতে কিছুটা সময় লাগবে তাদের। যেমন ধরুন, বই লেখা কিংবা ভীষণ জটিল কোনো গাণিতিক সমাধান। সবচেয়ে শঙ্কার কথা হলো, গবেষকেরা আগামী ১২০ বছরের মধ্যে মানুষের সব ধরনের চাকরিবাকরি রোবটের দখলে চলে যাওয়ার ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন।
এ ব্যাপারে গবেষকদের ব্যাখ্যা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতি সাধিত হওয়ার ধারাবাহিকতায় পাল্টে যাবে যোগাযোগ, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সামরিক শক্তির মতো বিষয়াদি। এতে মানুষের আধুনিক জীবনও সংজ্ঞায়িত হবে নতুন করে। এ ধরনের ফলাফল গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনায় এআই নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তথ্য জোগাবে।
তবে মানুষের কর্মক্ষেত্র রোবটের দখলে চলে আসার শঙ্কাটা আগেই প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ ও লেখক জেরেমি রিফকিন। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত তাঁর লেখা বই ‘ইন্ট অব ওয়ার্ক’-এ রিফকিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, চাকরি নিয়ে মানুষের যে ধারণা, নিকট ভবিষ্যতে তা সেকেলে হিসেবে প্রমাণিত হবে। রিফকিনের এ ভবিষ্যদ্বাণীকে কৌতুকের সঙ্গে ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ‘অটোডেস্কে’র প্রধান নির্বাহী কার্ল বেজ, ভবিষ্যতের কারখানাগুলোয় দুই ধরনের কর্মী থাকবে—মানুষ ও কুকুর। মানুষ থাকবে কুকুরকে খাওয়াতে, আর কুকুর থাকবে মানুষ যেন যন্ত্রপাতিতে হাত দিতে না পারে, সে জন্য।
উন্নত বিশ্বে এখন কিন্তু অনেক কাজেই রোবটের ব্যবহার প্রচলিত। যুক্তরাস্ট্রকে দিয়ে উদাহরণ দেওয়া যায়, ১৯৭০ সালের তুলনায় দেশটিতে মানুষের কর্মক্ষেত্র কমেছে শতকরা ২৫ শতাংশ। এ জন্য অনেকেই দায়ী করে থাকেন রোবটনির্ভরতাকে। দুই গবেষক কার্ল বেনেডিক্ট ফ্রে এবং মাইকেল এ অসবোর্ন দেখিয়েছেন, শুধু ‘কম্পিউটারাইজেশন’-এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪৭ শতাংশ কর্মক্ষেত্র ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ২০১২ সালে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ঘোষণা দিয়েছিল, আগামী তিন বছরের মধ্যে তারা কর্মক্ষেত্রে মানুষের বদলে ব্যবহার করবে প্রায় ১০ লাখ রোবট।
তাহলে? অদূর ভবিষ্যতে মানুষের কী হবে!