যে কারণে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট

ফেসবুকে হোক্স।
ফেসবুক একদিকে যেমন ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা বলছে, অন্যদিকে অনেকের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে পড়ছে একটি প্রতারণামূলক বার্তা। ওই বার্তায় ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নাম ব্যবহার করে দাবি করা হচ্ছে, ফেসবুকে মানুষ বেশি হওয়ায় তা ধীরগতির হয়ে পড়েছে। তাই ফেসবুক কিছু ব্যবহারকারীকে বাদ দিচ্ছে। যাঁরা ফেসবুকে সক্রিয় নন, তাঁদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ বার্তা দুই সপ্তাহের মধ্যে আরও ২৫ জনকে না পাঠালে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
এটি একটি হোক্স বা প্রতারণা মূলক বার্তা। গত কয়েক দিনে এ বার্তা ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ছে। এর কোনো ভিত্তি নেই। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ২০০৭ সাল থেকে ফেসবুক ঘিরে এ ধরনের হোক্স চালু আছে। বিভিন্ন সময় তা পরিবর্তিত রূপে ফেসবুকে ছড়ায়। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করে অন্যজনকে পাঠানোর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। অনেক পরিচিতজনের কাছ থেকে এ বার্তা আসতে পারে। এ ধরনের বার্তা এলে তাতে ক্লিক না করে বা এ বার্তা অনুসরণ না করে তা ডিলিট করা বা মুছে দিতে হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। ভুয়া অ্যাকাউন্ট, ভুয়া লাইক-মন্তব্য, সন্দেহজনক কার্যক্রমসহ নিরাপত্তার কারণের কথা বলে এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ফেসবুক। গত শনিবার এক বিবৃতিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ঠেকানোর কার্যকর উপায় হিসেবে উন্নত ব্যবস্থা হিসেবে ‘স্প্যাম অপারেশন’ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ অন্য কয়েকটি দেশ থেকে আসা ভুয়া লাইক ও মন্তব্য ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফেসবুক দাবি করেছে, তারা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বিশাল একটি গ্রুপকে শনাক্ত করেছে এবং তাদের মাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া লাইক সরিয়ে ফেলেছে। কিন্তু ফেসবুকের এ ঘোষণার মধ্যেই নতুন এ হোক্স ছড়াচ্ছে।
ওই বার্তায় বলা হচ্ছে, ফেসবুকে নিষ্ক্রিয় থাকলে তা বন্ধ করা হচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারকারী থাকলেই কোনো নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে না ফেসবুক। তাই ফেসবুকে এ ধরনের বার্তা ছড়ানোর বিষয়টিকে স্প্যাম বা জাঙ্ক ছড়ানোর অ্যাকাউন্ট হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে ফেসবুক। তখন অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
أحدث أقدم