শিশুর হাম যেভাবে ছড়ায়

প্রতিদিন অন্তত একটি ফল
হাম, লুতি বা লুতমি—গ্রামবাংলায় অনেক নামেই ডাকা হয় রোগটাকে। শিশুদের এই অসুখ বেশ পরিচিত। হাম হলে শিশুর জ্বর হয়, সঙ্গে কাশিও। নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। তিন দিন পর জ্বর সামান্য কমতে থাকে। আর তখনই দেখা দেয় ফুসকুড়ি বা র্যা শ। মাথার পেছনে ও মুখ থেকে এই র্যা শ শুরু হয়ে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
হাম হলে তেমন কোনো চিকিৎসা লাগে না। আক্রান্ত শিশুকে প্রচুর পানি পান করান। আর দুই বছরের কম বয়সীদের ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে। পাশাপাশি জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল দিলেই যথেষ্ট। তবে হাম হওয়ার পরে শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তখন নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। হামে আক্রান্ত শিশুদের ভিটামিন এ-এর অভাব হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে।
হামের জীবাণু বা ভাইরাস বাতাসে শ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়। র্যা শ ওঠার তিন দিন আগে এবং র্যা শ দেখা দেওয়ার ছয় দিন পর পর্যন্ত সময়টাতেই হাম ছড়ায়। এই সময়ে কোনো শিশু হামে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এলে তারও হাম হতে পারে। তবে কাছাকাছি যে আসতেই হবে, তাও নয়। কারণ, হামে আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো স্থান ছেড়ে চলে গেলেও বাতাসে হামের জীবাণু প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। এ কারণেই শিশুর বয়স নয় মাস পেরোলে এবং ১৫ মাসে হামের টিকা দেওয়া জরুরি।
আগে একবার হামের টিকা দেওয়া হতো। একবার টিকা দিলে প্রায় ৯৩ শতাংশ সফলতার সম্ভাবনা, কিন্তু দুই ডোজে তা ৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কাজেই এখন দেওয়া হয় দুবার। হামের টিকা দিলে খুবই কম ঝুঁকি থাকে (মাত্র ৩ শতাংশ)। টিকা দেওয়ার পদ্ধতিতে ভুল হলে কিংবা সরকারি অনুমোদনহীন কোনো হাসপাতাল থেকে টিকা দিলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে।
أحدث أقدم