নারী স্বাস্থ্য মাঝবয়সের যত যন্ত্রণা

ফাগুনের জ্বর ও কাশি
প্রকৃতির নিয়মেই বয়স বাড়ে। সেই সঙ্গে শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনও অব্যাহত থাকে। ৪০ থেকে ৫০-এর কোঠায় নারীর শরীরে কয়েকটি স্বাভাবিক পরিবর্তন হয়। ধীরে ধীরে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। হরমোনজনিত কিছু পরিবর্তন ঘটে। এ সময় তাঁরা অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়তে পারেন। যেমন: হঠাৎ প্রচণ্ড গরম লাগে, মাথার তালু গরম হয়, প্রচুর ঘাম হয়, ঘুমে সমস্যা, বিষণ্নতা দেখা দেয়, দাম্পত্য সম্পর্কে অস্বস্তি ইত্যাদি। তবে এসবের সমাধানও আছে।
* হঠাৎ প্রচণ্ড গরম লাগার প্রবণতা ধীরে ধীরে সেরে যেতে থাকে। অস্থির হবেন না। একটু ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে চেষ্টা করুন।
* খেয়াল করুন, ঠিক কোন বিষয়টি এ রকম গরম লেগে ওঠার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। চা-কফি বা মসলাদার খাবার, মানসিক চাপের প্রভাবে এমন সমস্যা বাড়তে পারে। সেটি এড়িয়ে চলুন।
* সুতি, ঢিলেঢালা, আরামদায়ক পোশাক পরুন। কয়েক প্রস্থ কাপড়ও পরতে পারেন। হঠাৎ গরম লেগে উঠলে দু-এক প্রস্থ কাপড় সরিয়ে দিন।
* প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম করুন। সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
* নিজের ওপর খুব বেশি চাপ রাখবেন না। আপনজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটান।
* পর্যাপ্ত ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। রাতে ঘুমানোর আগে বেশি কাজ রাখবেন না; ঘুমের আগে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান এবং উঠুন। ঘুমের সময় ঘরটা নীরব, শান্ত ও অন্ধকার করে রাখুন। ঘুমের আগে এক কাপ কুসুম গরম দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বিকেলের পর চা-কফি এড়িয়ে চলুন। দুপুরে ঘুমাবেন না।
* মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে যদি আর ঘুম না আসে, আরামদায়ক কিছু করতে থাকুন। যেমন: বই পড়ুন বা মৃদু আওয়াজে গান শুনুন।
* কারও কারও ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ঘুমিয়ে সতেজ হতে চেষ্টা করুন। ঘুম ঠিকঠাক হলে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা আর থাকে না।
* বৈবাহিক জীবনে অস্বস্তি অনুভব করলে মাসিকের পথে ব্যবহারের উপযোগী জেল কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
* এসবের পরও সমস্যা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি আছে।
أحدث أقدم