সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা মেনে চলতে হলে প্রতিদিন অন্তত একটি ফল খেতেই হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের চাহিদা আমরা ফলের মাধ্যমেই অনেকটা পূরণ করি। মৌসুমি, দেশি ও সহজলভ্য ফল খাওয়াই ভালো। কেননা একেক মৌসুমের ফলের একেক ধরনের উপকারিতা আছে।
ফল খেলে অ্যাসিডিটি হয় বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু আসলে ফল সহজপাচ্য। কারণ, এতে থাকে সহজ শর্করা-ফ্রুকটোজ, গ্লুকোজ ও লেভ্যুলোজ। তবে কিছু ফলে আঁশ বেশি বলে অনেক সময় হজম হতে চায় না। মনে রাখবেন, বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধে ও ওজন কমাতে আঁশজাতীয় খাবার প্রয়োজন।
ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি থাকে। ভিটামিন সম্পূর্ণ পেতে তাজা ও কাঁচা ফল খোসাসহ খাওয়াই ভালো। বেশি দিন ফ্রিজে রাখলে অনেক সময় ফলের গুণাগুণ কিছু নষ্ট হয়। তাই ফ্রিজে রাখলে মুখ বন্ধ পলিথিন ব্যাগে রাখা উচিত।
কিডনি রোগীদের অনেক সময় বেশি পটাশিয়ামযুক্ত ফল খেতে নিষেধ করা হয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এমনিতে পটাশিয়াম রক্ত চলাচল বাড়ায় ও হৃদ্রোগীদের জন্য উপকারী।
অতি শর্করাযুক্ত ফলমূল ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই বলে ডায়াবেটিসের রোগীদের ফল খাওয়া একেবারে নিষেধ নয়। আমড়া, পেয়ারা, জাম্বুরা, জাম, বরই ইত্যাদি বেশ খানিকটাই খাওয়া যাবে। কিন্তু মিষ্টি ফলগুলো খেতে হবে হিসাব করে।
ফলের রস বানিয়ে খাওয়ার চেয়ে গোটা ফল খাওয়া বেশি উপকারী। কেননা ফলের রসে এর খোসা ও অন্যান্য অংশ বাদ পড়ে, ফলে বাদ পড়ে যায় কিছু গুণাগুণও। আঁশের পরিমাণও যায় কমে।
ফল সালাদ করে, নাশতা হিসেবে বা ডেজার্ট হিসেবে খাওয়ার অভ্যাস করুন। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা লবণ দিয়ে ফল খাবেন না। প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে লেবু খান। এটাও ফলের তালিকায় যোগ হবে।