রক্তে চর্বির মাত্রা কমাবেন কীভাবে?


রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে তা ধমনিতে জমা হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। আর এ থেকেই হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ইত্যাদির উৎপত্তি হয়। তাই রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরল যাতে বেড়ে না যায়, সে বিষয়ে আজকাল অনেকেই সচেতন। তাহলে চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাবেন? কেউ বলেন রসুন চিবিয়ে খাও, কেউ বলেন অলিভ তেলে রান্না করো। আসল কথা হলো, চর্বি যাতে না বাড়ে সে জন্য কিছু খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে, কিছু খাবার খেতে হবে কম। জেনে নিন কয়েকটি তথ্য: 
১. সম্পৃক্ত চর্বি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। গরু বা খাসির মাংস এবং ঘি-মাখনে যে চর্বি থাকে, সেটাই সম্পৃক্ত চর্বি। এগুলো বর্জন করুন। আর উপকারী অসম্পৃক্ত চর্বি আছে মাছের তেল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে। ট্রান্সফ্যাটও কম খেতে হবে। বেকারির খাবার ও ফাস্ট ফুডে তেল উচ্চতাপে আংশিক হাইড্রোজেনেটেড হয়ে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়। 
২. আঁশযুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খাবেন। যেমন: যব, ভুট্টা, লাল আটার রুটি, ফলমূল, শাকসবজি। এগুলো আপনার রক্তে চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
৩. উদ্ভিজ্জ স্টেরল ও স্টেনল উপাদান রক্তে চর্বি শোষণে বাধা দেয় ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ফলের রস, টক দই, তাজা শাকসবজিতে পাওয়া যাবে এই উপাদান। 
৪. নিজের জন্য জুতসই খাদ্যতালিকা নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। অন্যের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে অনেক সময় লাভ হয় না। কঠোর খাদ্যতালিকার চেয়ে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে ওপরের নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু পরিবর্তন আনলেই উপকার মেলে। 
৫. তারপরও রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে এবং আপনার হৃদ্রোগের অন্যান্য ঝুঁকি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে চর্বি কমানোর ওষুধ সেবন করাই ভালো।
নবীনতর পূর্বতন