তিনি বলেন, ‘ধুলার প্রভাবে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে।
ত্বক হারায় সজীবতা। মুখসহ শরীরের অন্য যেসব অংশ খোলা থাকে, সেসব স্থানে
সহজেই ধুলা-ময়লার বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। তাই ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করা
জরুরি।’
ধুলার প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে সোনালী ফেরদৌসী মজুমদার দিয়েছেন আরও পরামর্শ—
* বাইরে যাওয়ার আগে স্পঞ্জের সাহায্যে কমপ্রেসড পাউডার
লাগিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে ত্বকে সরাসরি ধুলা লেগে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আবার ময়েশ্চারাইজার কিংবা সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন লাগানোর আগে কমপ্রেসড
পাউডার লাগিয়ে নিলে ক্রিম বা লোশন সহজেই ত্বকের সঙ্গে মিশে যাবে। আবার এই
ক্রিম বা লোশন লাগানো হলে সেটিও সরাসরি ধুলা থেকে ত্বককে বাঁচাতে একটি
বাড়তি স্তর হিসেবে কাজ করবে। তবে ত্বকের সঙ্গে মানানসই ক্রিম বা লোশনটি
বেছে নিতে হবে; ত্বকে তেল চিটচিটে ভাব থাকলে ধুলা-ময়লা আটকে হিতে বিপরীত
হতে পারে।
* কর্মময় জীবনের মাঝেও একটু সময় দিন ত্বক পরিষ্কার রাখার
জন্য। কাজের বিরতিতে ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো। ধুলায় ধূসর ত্বক
পরিষ্কার করতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করা প্রয়োজন। শুধু পানি দিয়ে বা ভেজা
টিস্যু দিয়ে তা পরিষ্কার হয় না। রাতে ময়েশ্চারাইজার কিংবা ময়েশ্চারাইজিং
সেরাম ব্যবহার করুন। এর ফলে ত্বক সজীব থাকে।
* মেকআপ তোলার জন্য মেকআপ রিমুভার কিংবা মেকআপ রিমুভিং
ওয়াইপ ব্যবহার করতে পারেন। এরপর ক্লিনজিং ফোম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
সবশেষে টোনার ব্যবহার করুন। এর ফলে বাড়তি ময়লাভাব চলে যাবে।
* মেকআপ ব্যবহার না করলেও সপ্তাহে তিনবার ত্বকে টোনার লাগানো যেতে পারে।
* প্রতি সপ্তাহে দুই দিন মুখ, হাত ও পায়ের ত্বকে স্ক্রাবার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এর ফলে ধুলা-ময়লা দূর হবে সহজেই।
* প্রতি মাসে দুটি দিন নিজের ত্বককে আলাদা কিছুটা সময় দিন।
এই দুই দিন স্পা করান। তা সম্ভব না হলেও প্রতি মাসে অন্তত এক দিন
ম্যানিকিউর, পেডিকিউর এবং বডি স্ক্রাবিং করান। ফেসিয়ালের মাধ্যমে মুখের
ত্বক সুস্থ রাখা সম্ভব। মাসে একবার ফেসিয়াল করানোও প্রয়োজন।
* পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে এর কোনো বিকল্প নেই।