শয্যামূত্র বা অসাড়ে মূত্রত্যাগ (Enuresis) সাধারনত শিশুদের রোগ তবে অনেক
সময় বড়দের এবং বৃদ্ধদেরও এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে
মূত্রথলির দূর্বলতা পক্ষাঘাত বশত মূত্রধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে
লোপ পায়। শিশুরা ঘমন্ত অবস্থায় মূত্রত্যাগ করে।
সাধারণত মূত্রথলির গায়ের পেশী সংকোচন বশত মূত্রবেগ হয় এবং ঠিক সেই
মুহূর্তেই সূক্ষ স্নাযুক্রিয়ার ফলে মূত্রথলির গ্রীবায় অবস্থিত দ্বাররক্ষী
সংকোচন পেশীর প্রসারণ ঘটে এবং মূত্রত্যাগ ক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু এই
সহযোগিতা জন্মাতে শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু দিন দেরী হয় এবং ততদিন বিছানায়
প্রস্রাব করে। অনেকে ইহাকে শয্যামূত্র নামেও অবহিত করে থাকেন।
পেটে কৃমি থাকা, মুত্রাশয়ের উত্তেজনা, মুত্রাশয়ের পাথরী এবং মূত্রযন্ত্রের নানা প্রকার রোগের কারণে ইহা দেখা দিতে পারে। এই রোগের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন - রোগীর ইচ্ছানুসারে মূত্রত্যাগ হয় না। কখনো মুত্রাশয়ের মূত্র সঞ্চয় হলে ফোটা ফোটা মূত্রত্যাগ হয় আবার কখনো মূত্রের বেগ এত বেশি হয় যে মূত্রবেগ সম্বরণ করতে পারে না।
পেটে কৃমি থাকা, মুত্রাশয়ের উত্তেজনা, মুত্রাশয়ের পাথরী এবং মূত্রযন্ত্রের নানা প্রকার রোগের কারণে ইহা দেখা দিতে পারে। এই রোগের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন - রোগীর ইচ্ছানুসারে মূত্রত্যাগ হয় না। কখনো মুত্রাশয়ের মূত্র সঞ্চয় হলে ফোটা ফোটা মূত্রত্যাগ হয় আবার কখনো মূত্রের বেগ এত বেশি হয় যে মূত্রবেগ সম্বরণ করতে পারে না।
রাত্রে কখনো কখনো বিছানায় প্রস্রাব করে। শিশুদের এবং বৃদ্ধদের এই রোগ বেশি হতে দেখা যায় আবার পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকদের বেশি হয়। রোগী মনে করে যে বাইরে এসে প্রস্রাব করছে কিন্তু সে ঐ সময় নিদ্রাবস্থায় বিছানায় প্রস্রাব করে। এই সকল লক্ষণ প্রায়ই প্রকাশ পায়। দেখা যায় অনেক কিশোর এবং তরুনরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যায় যথাযথ হোমিও চিকিৎসা নেয়া উচিত।