স্বপ্নতরীতে সাগরবিলাস
চাদ সওদাগর-এর মধুকর নয়। নয় ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি প্রসিদ্ধ টাইটানিকও। কিন্তু রোমান্টিক সমুদ্রবিলাসে কোনও অংশে কম যায় না সুপারস্টার অ্যাকোয়ারিয়াস। আমোদ-প্রমোদের অঢেল উপকরণ সাজিয়ে স্বপ্নরাজ্যে পৌছে দিতে তার জুড়ি মেলা ভার। নীল সাগরের ফুরফুরে হাওয়া আর সোনালি রোদে গা-ভাসানোর মজায় ভরপুর এই সফরনামা।———————————
পাঁচ দিনের জাহাজযাত্রা যে এতটা আরামপ্রদ হতে পারে তা আগে কখনও ভাবিনি। সিনেমায় টাইটানিক দেখেছি। তার ভিতরের বিলাসবহুল ব্যবস্থা দেখে মনে হয়েছিল, এমনটা আবার হয় নাকি! কল্পনা? সেই অবিশ্বাস যে এ ভাবে ভেঙে যাবে সেটা কে জানত!
কলেজ জীবন শেষ করে একবার কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ার গিয়েছিলাম শিপিং কর্পোরেশন অব ইণ্ডিয়ার জাহাজ এম ভি হর্ষবর্ধনে। শীতের শান্ত সমুদ্রেও জাহাজে কিছুটা দুলুনি হয়েছিল। আমার সহযাত্রীদের অনেকেরই গা বমি বমি করেছিল। আড়াই দিনের ওই যাত্রায় বহু যাত্রীকে অসুস্থ হতে দেখেছি। অনেককে দেখেছি স্রেফ ওষুধ খেয়েই গোটা সফরটা কাটিয়ে দিতে। বয়স একেবারে কম থাকায় আমার খুব একটা সমস্যা হয়নি। কিন্তু সহযাত্রীদের অনেককেই দেখেছি কখন যাত্রা শেষ হবে বার বার তার খোজ নিতে।
সেটা ছিল বঙ্গোপসাগর। আর এবারে যে নিমন্ত্রণটা এল তা ভারত মহাসাগরে জাহাজে চেপে ভ্রমণের। এক-আধটা দিন নয়। সাড়ে চার দিন ও চার রাত থাকতে হবে জাহাজে। সময়টা আবার বর্ষাকাল। মাঝ সাগরে আবার কোনও বিভ্রাট হবে না তো! পরিচিত অনেকে নানা প্রশ্ন তুলে কিছুটা বিভ্রান্তিতেও ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু সিঙ্গাপুর বন্দরে জাহাজটাকে যখন প্রথমবার দেখলাম তখনই প্রেমে পড়ে গেলাম। একেবারে জলপরী। পোশাকী একটা নাম আছে— ‘সুপাস্টার অ্যাকোয়ারিয়াস’।
নরম গালিচায় পা ডুবিয়ে যখন ডাহাজে উঠছি তখন আকাশে ঘন মেঘ। জাহাজের ভিতরটা মন ভুলিয়ে দিলেও, বৃিষ্ট নামলে বিশাল ওই জাহাজটা সমুদ্রের বুকে কেমন দুলবে তা নিয়ে ভয় একটা ছিলই। ছ’তলার কেবিনে সুটকেসটা কোনও রকমে রেখেই জানালায় চোখ রাখলাম। কাচের ওধারে শেওলা সবুজ জল। জাহাজের ইঞ্জিন চালু হতেই জলে দুধ সাদা ফেনা উঠল। একটা ভো ছেড়ে জাহাজ নোঙর তুলল। জুলাইয়ের শেষ রবিবারে শুরু হল বিলাসযাত্রা। একে একে ছাড়িয়ে গেল সিঙ্গাপুরের আকাশচুম্বী সব অট্টালিকা। আশপাশের জাহাজগুলিও আর চোখে পড়ল না একসময়। জাহাজ গিয়ে পড়ল মালাক্কার খাড়িতে। চারিদিকে তখন শুধু জল, জল আর জল।
কেবিন তো নয়, যেন কোনও পাচতারা হোটেলের ঘর। সাদা ধবধবে বিছানা। পাশাপাশি দু’টি খাট। কেতাদুরস্ত বাথরুম। ঘরে রয়েছে একটি বড় দেওয়াল আলমারি। ভিতরে একটি লকার। রয়েছে টিভি সেট। বেশ কয়েকটি ভারতীয় চ্যানেল দেখা যায় তাতে। জানালার পর্দা টানা থাকলে বোঝাই যাচ্ছিল না কোথায় আছি। পর্দা খুলে দিলে চোখের সামনে ধরা পড়ছে বিশাল জলরাশি। সমুেদ্রর দিকে চোখ না রাখলে বোঝাই যাচ্ছিল না যে বিশালকায় ওই জলযানটা নড়ছে। জল কেটে ছুটছে তীব্র গতিতে।
তখনও পর্যন্ত সহযাত্রীদের কাউকে তেমন ভাবে চিনি না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আটজন সাংবাদিক আমরা এই ভ্রমণে এসেছি। আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিচয়ই ঠিক ভাবে হয়নি। কেবিনের বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম, ঘরের জানালা দিয়ে সমুদ্র দেখে, টিভি দেখে, সঙ্গে আনা বই পড়ে বেশ কেটে যাবে কয়েকটা দিন। আকাশের মেঘ নিয়ে মনের মেঘ ততক্ষণে পুরোপুরি কেটে গিয়েছে।
স্নান সারতেই রাত জাগা বিমানযাত্রার ক্লান্তিটা পুরোপুরি কেটে গেল। ফুরফুরে মন নিয়ে লাঞ্চ সারতে গেলাম ১০ তলার রেেস্তারায়। আমাদের অন্য সঙ্গীরা সেখানে তখন অপেক্ষা করছিলেন। রেেস্তারার সামনেই অর্ধচন্দ্রাকার ডেক। রেলিং দিয়ে নীচে ঢুকতেই চোখে পড়ল সুইমিং পুল। এক ঝাক েশ্বতাঙ্গণা দাপাচ্ছে সেই জলে। সমুেদ্রর জল শোধন করে তোলা হচ্ছে সেই পুলে। চার ঘণ্টা অন্তর জল পরিবর্তন করা হচ্ছে। চেষ্টা করেও পরের ক’দিন সুইমিংপুলে একবারের জন্যও নামতে পারিনি। কখনও সেখানে ভিড় তরুণীদের। কখনও বা কচিকাচাদের। তাদের আনেন্দ ব্যাঘাত ঘটাতে চাইনি। ওই সুইমিংপুলে শরীর ডোবাতে যারা পারেননি, তাদের জন্য অন্য ব্যবস্থাও ছিল। ১২ তলার ডেকে পাশাপাশি দুটি ছোট ছোট পুকুর। তাতে শ্যাওলা সবুজ জল। ওপরে উন্মুক্ত আকাশ। সামনেই বার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানেই পড়ে থাকতে দেখেছি বেশ কয়েকজন নারী পুরুষকে। জলে শরীর ডুবিয়ে রয়েছেন, হাতে পানীয়ের গ্লাস। কেউ বা ডাবের জল খাচ্ছেন ষ্ট্র দিয়ে। ডাবের খোসাটা এমন ভাবে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে যে না জানলে বোঝাই মুশকিল জিনিসটা কী।
১৩ তলা জাহাজের পাচতলা থেকে ১১ তলা জুড়ে রয়েছে কেবিন। কেবিনগুলি রয়েছে জাহাজের ঠিক মাঝখানটায় দুই দিকে রেেস্তারা, বার, জাহাজের রিসেপশন কাউন্টার, তিনটি অডিটোরিয়াম, মিটিং রুম, দোকান, স্টুডিও, জগিং ট্র্যাক, ম্যাসাজ পার্লার, সুইমিং পুল, স্টুডিও, সেলুন, জিম, বাচ্চাদের খেলার জায়গা— কোনটা ছেড়ে কোনটাই বা বলব। জাহাজের ১১ তলায় রয়েছে আশ্চর্য এক জগত। সেখানে দিন-রাতের কোনও ব্যবধান নেই। অন্তত ৬০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে রয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। সারা জাহাজ যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখন সেখানে চরম ব্যস্ততা। চার শিফ্টে বদলে যাচ্ছেন কমর্রীা। টাকা লেনদেনের কাউন্টারে লোক বদলাচ্ছে চার ঘণ্টা পর পরই। ওটাই জাহাজের সব থেকে লাভের জায়গা। ক্যাসিনো। হাজার ডলার পকেটে পুরে কারও মুখে হাসি। কোনও সুন্দরী যুবতী বার বার হেরে লাল মুখ করে বসে রয়েছেন। পাশে আধ-শূণ্য বিয়ারের গ্লাস। এক বৃদ্ধ তরুণীকে টাকার যোগান দিয়ে চলেছেন। সুন্দরী আসলে বৃেদ্ধর স্ত্রী। আমার বিস্মিত মুখ দেখে জাহাজের এক মহিলা কমর্ী জানালেন, ‘‘ওঁরা এই নেশাতেই তো বার বার করে আমাদের জাহাজে আসেন। ওঁরাই আমাদের লক্ষ্মী।’’
দিনে কত টাকার লেনদেন হয় এখানে? মহিলা কমর্ীটি ঠোটে আঙুল চাপা দিলেন। বার বার হেরে যাওয়া হতাশ সুন্দরী দেখলাম বিরক্ত চোখে তাকিয়ে রয়েছেন আমার দিকে। তার চোখ বলছে, ‘তফাৎ যাও।’
পিছলে চলে গেলাম তেরো তলার ডেকে। সেখানে তখন অন্য জগত। হাল্কা বাজনা বাজছে। এক কোণায় সামনে গ্লাস নিয়ে বসে কয়েকজন। সারা জাহাজে এই একটি ধূমপানের জায়গা। ধূমপায়ীদের ভিড় তাই ভেঙে পড়েছে সেখানে। ধোয়ার কুণ্ডলী উড়ছে। নিমেষে তা মিশে যাচ্ছে নীল আকাশে। ভারত মহাসাগরে তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে। এক সময় সূর্যটা টুপ করে ডুবে গেল অনন্ত জলরাশিতে। সুপারস্টার অ্যাকোরিয়াসে সন্ধ্যা ঘনাল। কিন্তু অন্ধকার হল না। ডেকের চারিদিকে জ্বলে উঠল জোরালো আলো। রাতের জন্য তখন সাজসাজ ভাব গোটা জাহাজ জুড়ে।
ব্যাণ্ড, অর্কেষ্ট্রা আর পিয়ানোয় যখন রাতকে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে জাহাজে তখন, ১৪ তলায় মনে হল কে বা কারা যেন দৌড়ে বেড়াচ্ছে। ঁসিড়ি ভেঙে উঠে পড়লাম ওপরে। সারা দিনের কাজের শেষে জাহাজের কয়েকজন কমর্ী নিজেদের শরীরটাকে সক্ষম করে নিচ্ছেন সেখানে। বােস্কট বল কোর্টে খেলা হচ্ছে বােস্কটবল। যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন যোগ দিয়েছেন তাদের সঙ্গে। অন্য একটা পরিমণ্ডল সেখানে। টোকিওর টেকনোক্র্যাট মধ্য চিল্লশের কোশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বােস্কটবল খেলতেন। একবার করে বল বাস্কেটে ফেলছেন আর সহ খেলোয়াড়দের হাতে তালি বাজাচ্ছেন। যেন কত দিনের চেনা! গভীর সমুেদ্র একটা জাহাজ মিলিয়ে দিয়েছে ফিলিপিন্সের পিটার, জাপানের কোশি আর হংকংয়ের কিম লি-কে। খেলার পরে তোয়ালে গায়ে তিনজনে নেমে আসছিলেন নীচে। পিটার জাহাজের রিসেপশনের কর্মচারী। কিম সবে যোগ দিয়েছেন ইলেকিট্রশিয়ান হিসেবে। কোশির কথা তো আগেই বলেছি। চারটি দিন ওরা তিনজনে থাকলেন একই দলের সদস্য হিসেবে। ওদের তিনজনের নেশাই যে বাস্কেটবল!
তবে খাবারের সময়টা ওদের কিন্তু মিলতে দেয়নি। কোশি জাহাজের অতিথি। তার খাওয়া হয়ে যাওয়ার পরে তবে খেয়েছেন পিটার আর কিম। পিটার আর কিমের খাওয়ার জায়গাটা নির্দিষ্ট। কিন্তু কোশি যেখানে মুক্ত বিহঙ্গ। জাহাজের পাচটি রেস্তোরার যে কোনও একটিতে খেতে পারেন তিনি। তিনটিতে খাওয়ার জন্য অতিরিক্ত কোনও অর্থদণ্ড দিতে হয় না। বাকি দুটিতে গাটের কড়ি ফেলে খেতে হয়। তবে অবশ্যই তাতে বেশ কিছুটা ছাড় রয়েছে। বারের ক্ষেত্রেও তাই। খাবারের পরিবেশন, পরিমাণ এবং গুণগত মান যে কোনও পাচতারা হোটেলের সঙ্গে মানানসই। আর সামুদ্রিক খাবারের এত আয়োজন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কিংবা তাইল্যাণ্ডের হোটেলগুলিতেও খুব একটা চোখে পড়ে না। ঝিনুকের এত রকমফের হতে পারে এবং প্রতিটি প্রজাতির যে ভিন্ন ধরনের রান্না হতে পারে তা জানা ছিল না। বাড়িতে ফোনে স্ত্রীকে জানাতেই ‘ছিঃ’ বলে আতকে উঠেছে ও। কিন্তু বিশ্বাস করুন প্রতিটি আইটেমই অতি সুস্বাদু এবং তাতে েপ্রাটিনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। লো ক্যালোরি-হাই প্রোটিন ফুড।
জাহাজে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই ভারতীয়দের জন্য মেনু ছিল নানারকমের। আমীষ, নিরামীষ দুই ধরনের ভারতীয় খাবারই পাওয়া যায় প্রতিটি রেেস্তারায়। ডাল, ভাত তরকারি কিংবা ভাত চিংড়ি মাছের মালাইকারি, কিংবা দই ভাত— সবই। তবে দক্ষিণ ভারতীয়দের কিছুটা সমস্যা হতে পারে। কোনও রেেস্তারাতেই আমাদের সঙ্গী তামিলনাড়ুর জর্জ আর শ্রীজীর জন্য ইডলি, সম্বর বা ধোসা পেলাম না। দই ভাতের ওপরেই তাই এ ক’দিন হামলে পড়েছিল ওরা। কিন্তু যারা খাবার নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে চান তাদের কাছে এই ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে আদর্শ। েব্রকফােস্টর টেবিলে এত আয়োজন যে লোভ সংবরণ করা কঠিন। কিন্তু হেভি েব্রকফাস্ট করলে দুপুরের খাওয়ার বারটা বেজে যেতে পারে। নিিশ্চত ভাবে ঠকে যাবেন।
প্রমোদ তরণীতে সময় কাটানোর জন্য অঢেল উপাদান ছড়িয়ে রয়েছে। গান বাজনা ছেড়ে দিন, চিনা মার্শাল আর্ট, ব্রাজিলিয়ান সাম্বা থেকে শুরু করে স্ট্রীপপড্যান্স পর্যন্ত। সন্ধ্যার পর থেকে দফায় দফায় শো রয়েছে। তবে স্ট্রীপ ড্যান্স কেবলমাত্র বড়দের জন্য। তার সময়ও নির্দিষ্ট। রাত ১২ থেকে ১ টা। দেখতে হবে টিকিট কেটে। টিকিটের দাম চড়া। তা বলে একটা আসনও ফাকা থাকে না কিন্তু। না দেখলে এই জাহাজ ভ্রমণের একটা বড় আকর্ষণই কিন্তু বাদ পড়ে যাবে।
সকালে উঠে শরীর চর্চা করা এখন একটা অভ্যাস। ১৩ তলার ওই বিলাস জাহাজে তার পরিকাঠামোও ব্যাপক। তের তলার ডেক হাটার পক্ষে আদর্শ। বৃষ্টি হলেও কুছ পরোয়া নেই। আট তলায় রয়েছে হাটার ব্যবস্থা। দু’বার পাক খেলেই ৮০০ মিটার হাটা হয়ে যাবে। ওই তলাতেই রয়েছে জগিং ট্র্যাক। ১৩ তলায় রয়েছে জিম। তাতে যে কোনও ধরনের ফিটনেস ট্রেনিং করা যায়। আর তাতেও যারা সন্তুষ্ট নন তাদের জন্য নির্দিষ্ট প্রশিক্ষক রয়েছেন, যিনি যোগ ব্যায়ামের ট্রেনিং দেন দিনে দু’বার। এক সকালে আট তলার ওই যোগ সেন্টারে গিয়ে দেখি মেঝেতে তোয়ালে পেতে শুয়ে অন্তত ২০ জন নারী পুরুষ শারীরিক কসরৎ করছেন। সারা পৃথিবীটাই প্রায় হাজির সেখানে। রয়েছেন চিনের লিয়াং, ভারতের লক্ষ্মী পরমেশ্বরী, সুইডেনের জোহানসন, জার্মানির শ্রিভার, দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারসেন, ইরাকের বিন কাশেম।
ভ্রমণের প্যাকেজের মধ্যে মালয়েশিয়ার পেনাং আর তাইল্যাণ্ডের ফুকেট বন্দর শহর রয়েছে। কিন্তু জাহাজের মধ্যে বিলাস ব্যবস্থা এতটাই যে ডাঙায় নামতেই ইচ্ছা করে না। হানিমুনার্সদের আদর্শ জায়গা তো বটেই, কিশোর কিশোরি বা বৃদ্ধ— সবার জন্যই বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে বিশাল এই জলযানে। কোলের শিশু নিয়ে গিয়েছেন? সে বিরক্ত করতে পারে? জাহাজে রয়েছে বেবিসিটার। সেখানে কোলের বাচ্চাকে সপে দিয়ে স্বামী-স্ত্রী মগ্ন থাকতে পারেন নিজেদের নিয়ে। কাউকেই ফেরায় না সুপারস্টার অ্যাকোরিয়াস। একবার এলে বার বার আসতে ইচ্ছে করবে। আসার জন্য সারা বছরই বুকিং খোলা। শুধু পকেটের স্বাচ্ছন্দ্যটা থাকতে হবে।
———————-
এক নজরে: স্টার ক্রুইজ অ্যাকোয়ারিয়াস
যাত্রাপথ
(যাত্রার সময় মার্চ থেকে অক্টোবর)
রবিবার: সিঙ্গাপুর থেকে ওঠা (বেলা ১২ টা)
সোমবার: পেনাং (মালয়েশিয়া) (বেলা ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা)
মঙ্গলবার: ফুকেট (তাইল্যাণ্ড) (সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা )
বুধবার: কুয়ালামপুর বন্দর (জাহাজ থেকেনামা যাবে না)
বৃহস্পতিবার: সিঙ্গাপুরে নামা (বেলা ১১ টা)
ওজন: ৫১ হাজার টন
দৈঘ্য: ২২৯.৮৪ মিটার (৭৫৪.০৭ ফুট)
চওড়া: ২৯.৫০ মিটার (৯৩.৫ ফুট)
কেবিনের সংখ্যা: ৭৬৫
যাত্রী ধরে: ১ হাজার ৫৩০ জন
কর্মী: ১ হাজার
ভাড়া
বালকনি সহ কেবিন: জনপ্রতি ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা
(দু’মাস আগে বুক করলে ২৮ হাজার ১০০ টাকা )
ব্যালকনি ছাড়া কেবিন: জনপ্রতি ২৭ হাজার ১০০ টাকা
(দু’মাস আগে বুক করলে ২০ হাজার ৩০০ টাকা )
জানালা ছাড়া কেবিন: জনপ্রতি ২১ হাজার টাকা