নারীরা তাদের গর্ভকালীন সময়ে যেমন নানা প্রকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থাকেন
তেমনি প্রসবকালীন সময়ের সমস্যাবলী সম্পর্কেও তাদের সচেতন থাকাটা অতি
জরুরী। কারণ সামান্য একটি ভুলের কারণে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক কোন
দুর্ঘটনা।
গর্ভকালীন এবং প্রসবকালীন যেসব সমস্যা পরিলক্ষিত হয়- ১. প্রসবের পর
প্রস্রাব ঝরা ২. ভেসিকোভেজিনাল ফিস্টুলা (ভি.ভি.এফ.) ৩.মূত্র থলি ও মাসিকের
রাস্তা এক হয়ে গেলে। এ সমস্যায় সাধারণত প্রস্রাবের রাস্তা ও মাসিকের
রাস্তার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয় এবং মাসিকের রাস্তা দিয়ে ক্রমাগত প্রস্রাব
ঝরতে থাকে।
কারণসমূহ :- প্রসব সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ৮০%-৯০% ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি হয়ে থাকে প্রসব সংক্রান্ত জটিলতার কারণে। জটিলতাগুলো হলো বিলম্বিত প্রসব, বাচ্চার মাথা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে প্রসব পথে আটকে থাকলে। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রসবের ৩-৫ দিন পর হতে মাসিকের রাস্তা দিয়ে প্রস্রাব ঝরতে থাকে। যন্ত্রের সাহায্যে বাচ্চা ডেলিভারি করলে। অপারেশন যেমন প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় জরায়ু ফেটে যাওয়ার পর জরায়ু কেটে ফেলার সময়, ২য় বা পরবর্তী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় হতে পারে। এছাড়া মাসিকের রাস্তার অপারেশন, জরায়ু কেটে ফেলা (হিস্টারেকটোমি) অপারেশনের জটিলতায়, জরায়ু মুখের ক্যান্সার, মাসিকের রাস্তা বা মূত্র থলির ক্যান্সার ছড়িয়ে গিয়েও এ ফিস্টুলা হতে পারে।
উপসর্গ :- বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে অল্পবয়স্ক মেয়েদের যাদের উচ্চতা কম তাদের, প্রথম বাচ্চা জন্মের সময় সাধারণত প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় এ সমস্যা হয়ে থাকে। এ সমস্যায় ক্রমাগত মাসিকের রাস্তা দিয়ে প্রস্রাব ঝরতে থাকে, রোগীর প্রস্রাবের কোনো বেগ (urge) থাকে না। সঙ্গে মাসিকের রাস্তায় ঘা, চুলকানি, মাসিকের রাস্তা (vagina) বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ছোট হয়ে যেতে পারে, মাসিক বন্ধ হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এদের পায়ের পাতা অসাড়তা হতে পারে।
প্রতিরোধ :- রোগী এবং রোগীর আশেপাশের লোকজনদের সচেতনতা ফিস্টুলা প্রতিরোধের একটি অন্যতম উপায়। গর্ভকালীন নিয়মিত এন্টিনেটাল চেক আপের মাধ্যমে যেসব গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবকালীন জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদের নির্ণয় করে হাসপাতালে বা জরুরি প্রসব সেবা কেন্দ্রে ডেলিভারি করানো উচিত। যেসব প্রসব বিলম্বিত হয় বা জটিলতা হয় তার পর পর ক্যাথেটার (প্রস্রাবের নল) ৭-১৪ দিন পর্যন্ত রাখা উচিত যাতে মূত্রথলির বিশ্রাম হয়, এতে ছোট ফিস্টুলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কারণসমূহ :- প্রসব সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ৮০%-৯০% ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি হয়ে থাকে প্রসব সংক্রান্ত জটিলতার কারণে। জটিলতাগুলো হলো বিলম্বিত প্রসব, বাচ্চার মাথা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে প্রসব পথে আটকে থাকলে। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রসবের ৩-৫ দিন পর হতে মাসিকের রাস্তা দিয়ে প্রস্রাব ঝরতে থাকে। যন্ত্রের সাহায্যে বাচ্চা ডেলিভারি করলে। অপারেশন যেমন প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় জরায়ু ফেটে যাওয়ার পর জরায়ু কেটে ফেলার সময়, ২য় বা পরবর্তী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় হতে পারে। এছাড়া মাসিকের রাস্তার অপারেশন, জরায়ু কেটে ফেলা (হিস্টারেকটোমি) অপারেশনের জটিলতায়, জরায়ু মুখের ক্যান্সার, মাসিকের রাস্তা বা মূত্র থলির ক্যান্সার ছড়িয়ে গিয়েও এ ফিস্টুলা হতে পারে।
উপসর্গ :- বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে অল্পবয়স্ক মেয়েদের যাদের উচ্চতা কম তাদের, প্রথম বাচ্চা জন্মের সময় সাধারণত প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় এ সমস্যা হয়ে থাকে। এ সমস্যায় ক্রমাগত মাসিকের রাস্তা দিয়ে প্রস্রাব ঝরতে থাকে, রোগীর প্রস্রাবের কোনো বেগ (urge) থাকে না। সঙ্গে মাসিকের রাস্তায় ঘা, চুলকানি, মাসিকের রাস্তা (vagina) বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ছোট হয়ে যেতে পারে, মাসিক বন্ধ হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এদের পায়ের পাতা অসাড়তা হতে পারে।
প্রতিরোধ :- রোগী এবং রোগীর আশেপাশের লোকজনদের সচেতনতা ফিস্টুলা প্রতিরোধের একটি অন্যতম উপায়। গর্ভকালীন নিয়মিত এন্টিনেটাল চেক আপের মাধ্যমে যেসব গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবকালীন জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদের নির্ণয় করে হাসপাতালে বা জরুরি প্রসব সেবা কেন্দ্রে ডেলিভারি করানো উচিত। যেসব প্রসব বিলম্বিত হয় বা জটিলতা হয় তার পর পর ক্যাথেটার (প্রস্রাবের নল) ৭-১৪ দিন পর্যন্ত রাখা উচিত যাতে মূত্রথলির বিশ্রাম হয়, এতে ছোট ফিস্টুলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।