মার্ক জাকারবার্গের ৫টি স্মরণীয় উক্তি, যা আপনাকে শেখাবে সাফল্যের মূলসূত্র


(প্রিয়.কম) : আধুনিক বিশ্বে মার্ক জাকারবার্গের নাম শোনেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। মার্ক জাকারবার্গ এমনই একজন সফল ব্যক্তি যিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সে মিলিয়নিয়ারে পরিণত হন। ফেসবুক যখন সারা বিশ্বে সাড়া জাগালো, তখন মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বে একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি হিসেবে জনপ্রিয় হলেন। বলাই বাহুল্য যে, অর্থসম্পদের মালিকও হলেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে জাকারবার্গ ৩৫ বিলিয়ন সম্পদের অধিকারী হন। তার ব্যাংকে যত বিলিয়ন ডলার রয়েছে, এখনও তার জন্মদিনের কেকে ততগুলি মোমবাতিও শোভা পায় নি। জাকারবার্গ যখন ফেসবুক আবিষ্কার করেন তখন তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছিলেন। তিনি শুধু চেয়েছিলেন জনগণকে যোগাযোগ করার একটি আধুনিক মাধ্যম উপহার দিতে। সেই ফেসবুকই আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়েছে যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা এক বিলিয়নেরও বেশি। এটি এক অভূতপূর্ব উপায়ে বিশ্বের সবার সাথে সবার যোগাযোগ ঘটিয়ে দিচ্ছে স্বল্প খরচ আর কম পরিশ্রমে। একজন ব্যক্তির যদি স্বপ্ন আর শ্রম দেয়ার মানসিকতা থাকে তাহলে বয়স তার কাছে কোনো ব্যাপারই না। আসুন জেনে নিই জাকারবার্গের ৫টি স্মরণীয় উক্তি, যা আপনাকে জানিয়ে দেবে আসলে কেন এতটা সফল মানুষ তিনি! ১. ‘দ্রুত এগিয়ে যাও এবং সবকিছু ঘেঁটে দেখ। যতক্ষণ তুমি কোনোকিছু তলিয়ে দেখছ না ততক্ষণ এগিয়েই যাও।’ স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে গেলে একদিন না একদিন স্বপ্ন পূরণ হবেই। তবে অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে যে সফল আপনি হবেনই। তবে এই না যে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে যে অন্যের ক্ষতি করে এগুতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার পথে থাকা সব ধরনের বাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে যেতে হবে। কোনোভাবেই নিজেকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সবসময় সামনের দিকে তাকাবেন বা কখনই পিছনের দিকে ঘুরে তাকাবেন না। পিছনে তাকানো মানেই ব্যর্থতা। মানুষ কখনই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে না ইতিহাস গড়তে পারে। তাই সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যান। ২. ‘আমার লক্ষ্য শুধু একটি কোম্পানি গড়ে তোলা না। বেশিরভাগ ব্যক্তিই এর ভুল ব্যাখ্যা করে থাকেন। আমার কাছে লক্ষ্য হল মানুষের প্রয়োজনে এমন কিছু করা যা পুরো পৃথিবীটাকে বদলে দিতে পারে।’ জাকারবার্গের এই কথাটি অনেক বেশি মূল্যবান। এই পৃথিবীতে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা শুধু মুনাফাটাকেই বড় করে দেখেন। এরা হয়ত অনেক অর্থের মালিক হতে পারেন কিন্তু তা সীমিত সময়ের জন্য। জাকারবার্গকে দেখুন- তিনি বিলিয়ন সম্পদের মালিক বটে, আবার তাকে পুরো পৃথিবীও স্মরণ করবে। তাই অসম্ভব স্বপ্নকে সম্ভব করে তুলতে হলে অবশ্যই লক্ষ্যটাকে অনেক বড় করে দেখতে হবে, নিজের স্বার্থে না জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। ৩. ‘এটা যদিও আমার একটি স্বেচ্ছাচারী কাজ তবুও আমি এমন একটি চক্রে সবসময় থেকেছি যা পুরো বিশ্ববাসীকে ঘিরে চলছে। এটি আমাকে বড় ধরনের বাজি খেলতে উৎসাহ জুগিয়েছে।’ জীবনের বড় বড় স্বপ্নকে সবসময় হাত বাড়িয়ে অভিনন্দন জানানো প্রয়োজন। আপনার স্বপ্নটি হতে পারে আপনার একান্তই কিন্তু এর ভেতরে থাকা শক্তিগুলো যেন ছড়িয়ে দিতে পারেন বিশ্ববাসীর কাছে এই ধরনের চিন্তা নিয়েই এগোনো উচিত। এতে সফলতা আসবেই। ৪. ‘আমি জানি এটা ছিল অনেক কঠিন একটি কাজ, তারপরও আমি চেয়েছি বিশ্ববাসীর সামাজিক জীবনকে উন্নত করতে। বিশ্বকে মানুষের কাছে আরও বেশি উন্মুক্ত করা নিতান্তই এক রাতের বিষয় না, কমপক্ষে ১০-১৫ বছরের বিষয়।’ আপনি যদি চান একদিনে অঅপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তবে তা হবে অলীক ভাবনা। একরাতেই বিশ্বকে পরিবর্তন করা সম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি। নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম নিগ্রো প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তাকে ২৭ বছর জেল খাটতে হয়েছে। আমাদেরও স্বপ্ন পূরণে হয়ত এমনটাই ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্য ছাড়া সফলতা আসাটা বেশ কঠিন। ৫. ‘ঝুঁকি নেয়াটা কখনোই ঝুঁকিপূর্ণ নয়। শুধু একটিমাত্র পদ্ধতি অবলম্বন করে বিশ্বকে অবশ্যই পরিবর্তন করাটা সম্ভব, আর তা ঝুঁকি নেয়া।’ আমরা বর্তমানে অত্যাধুনিক এক যুগে বসবাস করছি যেখানে ইন্টারনেট, টেলিফোন ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই দূরদূরান্তে যোগাযোগ করা সম্ভব। কিন্তু এককালে এগুলোর কিছুই ছিল না। ভেবে দেখুন মানব জাতিই নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব আবিষ্কার করেছেন। আপনার জীবনের স্বপ্নটি পূরণ করতে আপনাকেও ঝুঁকি নিতে হবে কেননা অঅরামদায়ক পথে আপনার জন্য সফলতা কখনই বসে থাকবে না। শুধু আপনাকে অলীক স্বপ্নে বিভোর করে রাখতেই পারবে।
أحدث أقدم