চাপ জয় করার ৮ উপায় জেনে রাখুন
১. ব্যায়াম :
কর্মব্যস্ততায় ব্যায়ামের সময় কোথায়? এটা দৈনন্দিন অভ্যাসের বিষয়। আপনি চাইলেই সপ্তাহের পাঁচ দিন শরীরচর্চা কাজটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারেন। কিংবা সপ্তাহে মাত্র দুই দিনের ব্যায়ামে দারুণ উপকৃত হতে পারেন। মাত্র ১০ থেকে ৩০ মিনিটের শরীরচর্চায় নিঃসৃত হয় গামা-অ্যামাইনোবিউটাইরিক এসিড। এটা এমন এক নিউরট্রান্সমিটার, যা মানসিক চাপ কমিয়ে আনে। এ ছাড়া সৃষ্টিশীল চিন্তার বিকাশ ঘটায় ব্যায়াম। তাই সফল মানুষদের এই অভ্যাস গড়ে তুলতে চেষ্টার অন্ত থাকে না।
২. টুকিটাকি কাজ কমিয়ে আনা :
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খুঁটিনাটি কাজগুলো সময় খেয়ে ফেলে। এসব কাজের জঞ্জাল বেড়ে গেলে একটু বিশ্রাম নেওয়ার সময়টাও নষ্ট হয়। অবসর বা ছুটির দিনটিতে যদি এই কাজে সময় চলে যায়, তবে চাপ সামলাবেন কিভাবে? তার পরও ছোট ছোট কাজ ঠিকই জমে যায়। তাই এদের রফা করতে সময় বেছে নিতে হবে। চেষ্টা করবেন অন্য কোনো কাজের ফাঁকেই এদের সামলে নিতে। গোটা সপ্তাহে এমনভাবে কাজটি করবেন যেন ছুটির দিনটাতে পুরোটা সময় হাতে থেকে যায়। তা ছাড়া টুকিটাকি কাজ যেন জমে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন।
৩. বিচ্ছিন্ন হয়ে যান :
এ তালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলা যায় একে। যদি একটানা কাজ করতে থাকেন, তবে অবসাদ দেখা দিতেই থাকবে। যদি ২৪ ঘণ্টা কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রাখেন, তবে প্রাণশক্তি ফুরিয়ে আসবে। একসময় আর কাজ করতে পারবেন না। কাজে নিয়মিত উদ্দীপ্ত থাকতে নিজেকে রিচার্জ করে নিতে হবে। এর জন্য সময়মতো কাজকে ছুটি দিতে হবে। অবসরে বসে বসে ই-মেইল ঘাঁটবেন না। কিংবা ঘুমানোর আগে স্মার্টফোনে সময় নষ্ট করবেন না।
৪. আত্মার খোরাক :
হয়তো ছোটকাল থেকেই আপনি কিছু একটা দারুণ ভালোবাসেন। এতে লাভ-লোকসানের কোনো হিসাব নেই। এটা এমন এক শখ, যা আপনার ভেতরটাকে প্রাঞ্জলতায় ভরিয়ে দেয়। অবসরে এর পেছনে সময় দিন। এসব কাজ মনে আনন্দ দেয়। ক্লান্তি-অবসাদ দূরে ঠেলতে এই শখগুলো শক্তিশালী উৎস হয়ে ওঠে। সংগীতচর্চা, পড়া, লেখালেখি, চিত্রাঙ্কনসহ যেকোনো সৃষ্টিশীল কাজ আপনার আত্মার খোরাক হয়ে ওঠে।
৫. পরিবারে স্বাস্থ্যকর সময় :
প্রতিদিন পরিবারের সঙ্গেই তো আছেন। কিন্তু এদের সঙ্গে চমৎকার কিছু সময়, যা স্মৃতি হয়ে থাকে, তা কমই কাটানো হয়। কর্মদিবসগুলো সত্যিই ব্যস্ত থাকে। যখনই সময় পান, পরিবারের সঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করুন।
৬. রোমাঞ্চকর অনুভূতি :
মজার যেকোনো কাজ করুন। কোনো কনসার্টে চলে যান। নতুন কোনো সিনেমা দেখে আসুন থিয়েটারে। দূরে কোথাও অভিযান চালিয়ে আসুন। এতে আগের সব জড়তা চলে যাবে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, রোমাঞ্চকর কোনো অনুভূতি নিয়ে যেকোনো কাজ করতেই উৎসাহ মেলে।
৭. একই সময় উঠুন :
প্রতিদিন সকালে একই সময় ওঠার চেষ্টা করুন। একেক সময় ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলবেন না। একই সময় উঠুন। প্রতিটা সকাল সুন্দর হবে। একেক সময় ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে ওঠার অভ্যাস দেহঘড়িকে এলোমেলো করে দেয়। আর তা আপনাকে অবসাদগ্রস্ত করে দেবে। এমনকি ছুটির দিনটিতেও একই সময় ওঠার চেষ্টা করবেন। খেয়াল করে দেখবেন, অনেক বেশি ঘুমিয়ে উঠলেও কিন্তু মনটা ভার হয়ে থাকে।
৮. আসন্ন সপ্তাহের জন্য প্রস্তুতি :
আসছে সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকুন। সেখানে কী করবেন, কী কী কাজ রয়েছে, কোন কাজটি কখন বা কবে করবেন ইত্যাদি বিষয়ে কার্যসূচি ঠিক করে ফেলুন। আগাম প্রস্তুতি পরের সপ্তাহে আপনার চাপ অনেক কমিয়ে আনবে। এতে উৎপাদনশীলতাও বাড়ে।
আমরা জানি আপনি পড়তে পছন্দ করেন, এই কাজগুলো করার সাথে সাথে আপনি পড়ে ফেলতে পারেন মেডিটেশনের বেশ কিছু ভালো বই । অথবা আপনার পছন্দের কোনো একটি ।