সব লেখা তো আর সবার ভালো লাগেনা।
এটা আপনার কাছে খারাপ লাগলো বাট অন্য কারোর কাছে ভালোও লাগতে পারে,
তাই খারাপ ভালো সবই পোস্ট করতে হয়, আজকের টা শুরু করি।
এটা আপনার কাছে খারাপ লাগলো বাট অন্য কারোর কাছে ভালোও লাগতে পারে,
তাই খারাপ ভালো সবই পোস্ট করতে হয়, আজকের টা শুরু করি।
- হ্যালো! ভালো আছো?
- তোমাকে না বলেছি আমাকে আর ফোন করবেনা।
- কেন এমন করছ আমার সাথে? ফোনের অপর প্রান্তে কাঁদো কাঁদো স্বর দিপ্তীর। আমি কি করেছি?
- আমি তো তোমাকে বলেছি, আমি অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশনে আছি, কথা কি মাথায় ঢোকেনা তোমার?
- তাহলে আমার কি হবে? আমার সাথে কেন ব্রেক-আপ করলে?
- তোমাকে এখন আর আমার ভালো লাগেনা।
-আমি বিশ্বাস করিনা।
এমন সময় হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যাথায় চোখে অন্ধকার দেখতে থাকে সাগর, ফোন কেটে দিয়ে পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরে ছটফট করতে থাকে।
সময় জ্ঞান হারিয়ে যায় মনে হতে থাকে যেন অনন্ত কাল ধরে এই মাথা ব্যাথা হয়েই যাচ্ছে।
যেভাবে আচমকা ব্যাথা টা এসেছিলো ঠিক সেভাবেই চলে যায় হঠাৎ করে।
সাগর ঘড়ির দিকে তাকায় প্রায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে ছটফট করেছে সে।
ওষুধ খাবার সময় হয়ে এলো, এখনি আবার ডাক্তার আঙ্কেল আসবেন দেখে যাওয়ার জন্য।
সাগর জানে তার হাতে আর বেশীদিন সময় নেই, কিডনিটা দিন দিন খুব খারাপ হচ্ছে ধীরে ধীরে।
- দাদা ওষুধ খেয়েছিস?
- ওষুধ খেয়ে কি হবে বোন? সাগর মলিন স্বরে হেসে ওঠে।
- ছোট বোনটা থমকে দাঁড়ায়, কান্না আটকে রাখার আপ্রান চেষ্টা করেও আর না পেরে বের হয়ে যায় রুম থেকে।
সাগর বুঝতে পারে কাজটা ভালো হয়নি।
সে
ওষুধ খেয়ে, বোনের কাছে গিয়ে বোনকে জড়িয়ে ধরে, বোন তার মাথায় হাত
বুলাতে থাকে আর সাগর চুপ করে বোনের কোলে মাথা দিয়ে বসে থাকে।
এমন সময় সাগরের ফোনে মেসেজ আসে একটা, স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে দিপ্তীর মেসেজ।
“আই হেট ইউ” - তোমার সাথে আর কখনো যোগাযোগ করবোনা আমি। আমার ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে যে আমি তোমার মত ছেলে কে ভালোবেসে ছিলাম।
সাগরের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে থাকে,
সে ফিস ফিস করে বলে, “আমাকে ঘৃণা করে তুমি সুখে থাকো দিপ্তী।
অন্য কাউকে ভালবেসো তুমি।
তুমি তো জাননা ভালোবাসা আমাকে আর মানায় না।”