বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। প্রিয় ভাই ও “আসসালামু আলাইকুম” আশা করি ভালো আছেন । কারণ tipsrk.blogspot.comএর সাথে থাকলে সবাই ভালো থাকে । আর আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভালো আছি ।
তাই আজ নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য আরেক টা নতুন টিপস ।আর কথা বাড়াবো না কাজের কথায় আসি ।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।
সপ্তমবারের মতো এ পরীক্ষায় মোট ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯ জন।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
পরীক্ষা উপলক্ষে রোববার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার জেএসসিতে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৩ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
সারাদেশে জেএসসিতে ১৯ হাজার ৭০৬ ও জেডিসিতে ৯ হাজার ৫৫টিসহ মোট ২৮ হাজার ৭৬১ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে ২ হাজার ২ ও ৭৩২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে।
এছাড়া বিদেশের ৮টি কেন্দ্রে ৬৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
নকল ও প্রশ্ন ফাঁসের যে সমস্যা এতে এতো বেশি গুরুত্ব দিতে হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ পরীক্ষায় কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি। প্রশ্ন ছাপানো, বিলি করা এবং দিনের পর দিন পাহারা দিয়ে নিশ্চিত করা কঠিন কাজ।
‘কিছু লোক ব্যবসা করে। কিছু লোক বিভ্রান্তির চেষ্টা করে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য। এজন্য তিন বছর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসে বিজি প্রেসে সব থেকে বড় অভিযোগ আসতো, সেটা বন্ধ করতে পেরেছি।
কোচিং থেকে প্রশ্ন ফাঁস করার প্রচেষ্টা হয়- এটাও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা আধাঘণ্টা আগে যেন হলে প্রবেশ করে, এতে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। উত্তেজনা থাকবে না।
প্রশ্ন ফাঁস রোধে গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছেন। কোনো বিশৃঙ্খলঅ করতে পারবে না।
এক স্কুল অন্য স্কুলের সহায়তা করা বন্ধ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, এটা দুর্ভাগের বিষয়।
কিছু শিক্ষক এটা করেন, এ ধরনের কিছু শিক্ষককে ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেউ এধরনের কাজ করবেন না। যেখানে খবর পাচ্ছি অন্য স্কুলে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এবার শিক্ষার মান নির্ধারণের জন্য অভিন্ন মূল্যায়ন পদ্ধতির ফলে সারাদেশে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার মানে যে ভিন্নতা রয়েছে তাতে স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন বা প্রমিতকরণ করা হবে বলে জানান নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, অষ্টম শ্রেণির উত্তীর্ণ সনদ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বিধায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত
এনরোলমেন্ট বৃদ্ধি করা। এ উদ্দেশ্য অনেকাংশে সফল হয়েছে। ২০১০ সালে যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০২ জন, সেখানে বর্তমানে ২৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। পরীক্ষায় সব শিক্ষার্থীর বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা শেষে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬ এমআইএইচ/জেডএস…….