লেখা : ইশিতা মানহা ইচ্ছে
আমি অজ্ঞান হয়ে পরেছিলাম।
সবাই আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
আম্মু : তুই ঠিক আছিস মা?
আমি : হুম।
আন্টি : তুই কেন এভাবে চেছিয়েছিলি,কি হয়েছিলো?
তোর চিল্লানি শুনা সবাই রুম এ আসে দেখি তুই অজ্ঞান হয়ে পরে আছিস।
আমি : তোমরা দেখো নি,ওখানে একটা,,,,,,,
আম্মু : তোর আব্বু ফোন করেছে তোর সাথে কথা বলবে নে,
( আমার আব্বু জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে উগান্ডায় আছে, তিনমাস হলো তার যাওয়ার)
আব্বুর সাথে কথা বলার পর ফোনটা মাকে দিয়ে দেখি আয়ান দাঁড়িয়ে মুখ টিপে টিপে হাসছে।
আখিপু : কিরে কেন চেঁচিয়েছিলি?
আন্টি : থাক পরে ওকে একটু বিশ্রাম নিতে দে।অনেক কাজ পরে আছে।
সবাই চলে যাওয়ার সাথে সাথে আয়ান খুব জোরে হো হো করে হেসে উঠলো
- সামান্য প্লাস্টিক এর সাপ দেখে ভয় পাস, হো হো হো,,,
পাশে সামিও হাসছে।
ওদের হাসি দেখে ইচ্ছে করছে দুইটাকে মেরে**টুট টুট
আমি যে ভয় পাই তা নয়। আচমকা প্লাস্টিক এর সাপটার উপর পারা দেওয়ায় অতিরিক্ত ভয়ে সেন্সলেস হয়ে পরেছিলাম।
আর এই কাজটা যে আয়ান করেছে তা বুঝাই যাচ্ছে।সুদে আসলে শোধ নিবো হু হু।
সকাল থেকে মাথা খাটিয়ে যাচ্ছি কিভাবে আয়ানকে জব্দ করবো। কিন্তু মাথাটা কাজ করছে না। বিকেলে আরও মেহমান আসলো।সামির এক মামাতো বোন এসেছে মায়া। আসেই আয়ানের পিছুপিছু ঘুরছে। অসহ্য, তারছিরাটাও হেসে হেসে কথা বলছে। মেয়েটাও কেমন গায়ে পরা স্বভাবের।
আমার এতো অসস্তি লাগছে কেন। ওকে কিভাবে জব্দ করতে হবে সেই চিন্তা করি।
আজকেও রাতে সবাই ছাদে বসে আড্ডা দিচ্ছি। এমন সময় মায়া এলো। এসেই আয়ানের পাশে বসে পরলো।
আমি একটু দূরে বসে আছি।ওদের মধ্যে কি কথা হচ্ছে বুঝা যাচ্ছে না।আয়ানের হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিলো। আয়ান ওর কাছ থেকে ফোনটা নেওয়ার জন্য ওর পিছু নিয়েছে।সব কিছুরি লিমিট আছে, এক দিনেই এতো ভাব।
খুব রাগ লাগছে,,,,,,,
ছাদে ফুলের গাছে পানি দেওয়ার জন্য পানি ছিলো। কোন ভনিতা না করে পানি আয়ানের গায়ে ছুরে মারলাম। সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে, আয়ানও।
বেশ হয়েছে এতো গায়ে পরে কথা বলার কি দরকার।কেউ কিছু বললো না, কারন এমন কিছু নতুন নয়। আমি রুমে চলে এলাম। না খেয়েই ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে ঘুম ভাঙলো, পেটের মধ্যে ইঁদুর বাবাজি লাফালাফি করছে। ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলাম।কি ব্যাপার পরিবেশ এতো থমথমে কেন।
ধুরো,তাতে কি।আমি আপন মনে খেয়ে যাচ্ছি।
কাল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। কেনাকাটা সবই হয়েছে তবুও আজ সবাই মার্কেট যাবে। এই নিয়ে কথা হচ্ছে,আমি পা দুলিয়ে টিভি দেখছি।
- আয়ান,তুমি আমাকে ড্রেস চয়েস করে দিবে (মায়া)
আয়ান আমার দিকে তাকিয়ে শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে বললো,
- হ্যা,অবশ্যই। আমার চয়েস অনেক ভালো।তাইনারে লবন কুমারী।
মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে গেলো। যাওয়াচ্ছি তোমাকে,,,,,,
দুপুরে খাওয়া শেষ করে একটু রেস্ট নিয়ে মার্কেট এ যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছি। মায়া আয়ানকে ডাকতে গেলো। কিছুক্ষন পর মুখ গোমরা করে এসে বললো,
- আয়ান যেতে পারবে না।
আমিও মনে মনে গাইতে লাগলাম
(আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে)
বেচারা যাও টয়লেট বাস করো।হি হি হি
(পরের পর্বের কথা কইতে পারি না😒)