bangla jokes কলেজে প্রথমদিনের মত ক্লাস শেষ হল

Image result for bangla jokes pictures

কলেজে প্রথমদিনের মত ক্লাস শেষ হল।বান্ধবীদের
সাথে গল্প করতে করতে হাঁটতে লাগল স্নিগ্ধা। হঠাৎ
করে তার চোখ পড়ল কলেজের বকুল গাছের নিচে একা
একটি ছেলের
উপর।
__ছেলেটি দেখতে ঠিক তার
স্বপ্নে আঁকা রাজপুত্রের মত।
সে তার স্বপ্নের মানুষটির নাম
রেখেছিল 'সোহান'।অনেক দিন
ধরে সেই মানুষটিকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল স্নিগ্ধা।
~~এই ছেলেটিই কি স্নিগ্ধার
স্বপ্নের সেই মানুষ??
___পরদিন ক্লাস শেষ করেই সেই
বকুল গাছের নিচে ছুটে গেল স্নিগ্ধা। গিয়ে অবাক
বিস্ময়ে কতক্ষণ গাছের দিকে তাকিয়ে রইল।
~আজও বসে আছে সেই ছেলেটি!
স্নিগ্ধা যেমন অবাক হল তেমনই
আবার খুব খুশিও হল।
কারণ সে তার স্বপ্নে আঁকা মানুষটির সাথে কথা বলতে
পারবে!স্নিগ্ধা তার কাছে গিয়ে বলল,
-:Excuse me! কিছু কথা বলতে পারব?
ছেলেটি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলল,
-:জ্বী,বলুন।
-:আপনি কি কলেজে নতুন?
-:জ্বী।
-:আমি স্নিগ্ধা!ইন্টার ফার্ষ্ট
ইয়ারে পড়ি। আপনি?
-:আমি সজীব।আপনার মত একই ক্লাসে পড়ি।
-:ওয়াও!তো,এখানে প্রতিদিন
কি করেন?
-:এমনি।বসে থাকি..ভালো লাগে
-:ওও.,.ভালো।তো, আপনার বন্ধু হতে পারি?
-:হ্যাঁ..অবশ্যই ।আমি কলেজে নতুন তো,আমার এখনো বন্ধু
হয়নি..আজ থেকে আপনি হয়ে গেলেন।
-:হুমম! আচ্ছা তাহলে এখন যাই!
-: ok,bye!
-:Good bye!
___সেদিনের মত বাসায় ফিরে গেল স্নিগ্ধা।
রাতে বারবার সজীবের
মুখখানা ভেসে উঠছিল..
হুবহু কল্পনায় আঁকা সেই চেহারা!
স্নিগ্ধা কল্পনার সেই মানুষটির নাম রেখেছিল 'সোহান'..
কিন্তু,ওর নাম তো সজীব।
এই নিয়ে বেশি মাথা ঘামায়
না স্নিগ্ধা।
নাম একটা হলেই হল।পরে না হয় সোহান বলেই ডাকব।
কিন্তু,কল্পনায় আঁকা সেই মানুষটিই তো সে!!
__পরদিন সকলে কলেজে গিয়ে তার সকল বান্ধবীদের
সাথে সজীবকে পরিচয় করিয়ে দেয়।
সজীব ও সবার ভালো বন্ধু হয়ে যায়!
__একদিন ক্লাসে শেষে কে যেন
সোহান বলে ডাক দেয়।
নামটা অন্তরে বিঁধে যাওয়ায়
তাড়াতাড়িই স্নিগ্ধার কানে আঘাত হানে আওয়াজটি।
স্নিগ্ধা পিছনে ফিরতেই অবাক
হয়ে যায়।
সজীবকেই একটি ছেলে সোহান
বলে ডাক দিয়েছে।
~তার মানে সজীবের নামই
কি সোহান??
__পরদিন ক্লাসে গিয়েই
সজীবকে ধরল স্নিগ্ধা..
-:এই সজীব!তোমার নাম কি সোহান?
-:হ্যাঁ!আমার পুরো নাম সোহানুর রহমান সজীব।
-:কই..আমাকে তো কোনদিন বলনি!
-:সবাই আমাকে সজীব বলেই ডাকে। তাই......
-:কিন্তু আজ থেকে আমি তোমাকে সোহান নামেই
ডাকবো।
-:হুম! ডেকো।
__সেই থেকে সোহান আর
স্নিগ্ধা অনেক ভালো বন্ধু।কেউ
দেখলে মনে করবে যেন তারা ভাই-বোন।সব সময়
পাশাপাশি ছিল তারা দুজন।
তার দুজনেই তাদের মনের ভিতর জায়গা করে নিয়েছিল।
__এদিকে স্নিগ্ধাকে ও অনেক
ভালো লাগতো সোহানের।
~কি সুন্দর এক মায়াবী মুখ!
~মন কাড়া তার হাসি!
~চোখজোড়া যেন ময়ূরী!
~ডানাকাটা এক পরী!
~রূপের আঁধারিণী!
সেই ভালোলাগা থেকে কখন
যে স্নিগ্ধাকে ভালোইবেসে ফেলেছে,
বুঝতেই পারে না সোহান!
কিন্তু,বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার
ভয়ে স্নিগ্ধাকে তার মনের কথা কিছুই বলতে পারেনি।
এদিকে স্নিগ্ধাও চাচ্ছিল
যে,সোহানই তাকে কিছু বলুক
কিন্তু সেই অপেক্ষা......
প্রহর যেন আর শেষ হয় না!
হঠাৎ একদিন
রাতে স্নিগ্ধা সোহানকে ফোন
করে বলে,,,,
-:এই সোহান! শোন....
-:হুম..বল.।
-:কালকে না আমি আমার কল্পনায় আঁকা বাস্তবে পাওয়া
মনের মানুষটিকে আমার মনের সব কথা খুলে বলব,,,,
হঠাৎ সোহান অনুভব করল,বুকের
বামপাশটা কেমন
জানি চিনচিনে ব্যাথা করছে।
কোনমতে সে বলল,,
-:হুম..ভালোকথা। আমার বন্ধু
সে তার মনের মানুষকে খুঁজে পেয়েছে। আমারও তো খুশি।
তো,বল..তোর
জন্য কি করতে পারি?
-:তুই কালকে ওই বকুল গাছটার নিচে আসতে পারবি?
-:কি যে বলিস না!কেন পারব না!অবশ্যই আসব.,
-:thanx রে দোস্ত!এখন রাখি।
Good bye!
-:bye!
__সোহান ছাদে দাড়িয়ে আছে।এখনই
সে ছাদ থেকে লাফ দিবে।
এই অপূর্ণ জীবন থাকার
চেয়ে না থাকাই ভালো....
হঠাৎ সে থমকে দাড়ালো।
সোহান না স্নিগ্ধাকে কথা দিয়েছিল,
~সে তাকে ছেড়ে কখনো যাবে না..~তাকে কখনো কষ্ট
দিবে না।..~তার পাশে চিরদিন থাকবে।
__সোহান এসব কি করতে যাচ্ছে!...
___সকাল না হতেই সোহানকে ৩০ টার মত কল দিয়েছে
স্নিগ্ধা।ওপাশ থেকে রিসিভই হচ্ছে না।বকুল গাছের
নিচে ও নেই।রাগে কটমট করতে থাকল স্নিগ্ধা।দুঃখে
রাস্তার পাশ
দিয়ে একাকী হাঁটতে থাকল সে।
~তাহলে স্বপ্নটা কি মিথ্যা?
~সে কি জানাতে পারবে না তার
ভালোবাসার কথা?
হাজারও প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক
খাচ্ছে স্নিগ্ধার।
হঠাৎই পার্কের এক বেঞ্চের
দিকে চোখ গেল স্নিগ্ধার।
ওটা সোহান না!
হ্যাঁ!সোহানই তো!
কৌতহূল দমাতে না পেরে কাছে গেল স্নিগ্ধা....
কাছে গিয়ে নিজের চোখকে আর
বিশ্বাস করাতে পারল না সে!...
সোহান একটি মেয়ের
সাথে বসে আছে!
আর একমূহুর্ত দেরী করল
না স্নিগ্ধা।সোজা বাসায় চলে এলো সে।
রুম আটকে দিলো।........
কতগুলো ঘুমের ট্যাবলেট খেল
তা হিসেব রাখতে পারল না স্নিগ্ধা।চোখ বুঝার আগে
সে অনুভব করতে পারল,সে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য স্বপ্নের
দেশে চলে যাচ্ছে।
___গালে পানির স্পর্শে জ্ঞান
ফিরে স্নিগ্ধার।চোখ
খুলে দেখে শিয়রে সোহান
বসে বসে কাঁদছে।
সোহান তার হাতটা শক্ত
করে ধরে কেঁদে কেঁদে বলে উঠে,
-:কিরে!তুই এত বড় বেঈমান।
আমাকে ছেড়ে তুই চলে যাচ্ছিলি!...... .
জানিস,তোকে আমি কত ভালবাসি?
সেদিন যখন তুই বলেছিলি তুই তোর মনের মানুষ খুঁজে
পেয়েছিস সেদিন আমিও চলে যেতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু,তোকে তো আমি কথা দিয়েছিলাম,তোকে ছেড়ে
কখনো যাব না..
তাই যাইনি।
আর তুই আজ
আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিস!
ওইদিন তুই যেটা ভেবেছিলি
সেটা নিছক ভুল।
ওই মেয়েটা আমার বোন।
তোকে হারানোর দুঃখটা উপশম
করাতে সান্তনা দিতে এসেছিল।.
তোকে না আমি খুব ভালোবাসি।
I LOVE YOU স্নিগ্ধা...i love you!
স্নিগ্ধা কিছুই বলতে পারে না।
শুধু ফ্যাল ফ্যাল
করে তাকিয়ে কাঁদছে।।
সোহান কে জড়িয়ে ধরল
স্নিগ্ধা...সোহানও তাকে.,..
~~~মায়ার বাঁধনে সুখের
আবেশে হারিয়ে গেল দুজন,.
হারিয়ে গেল স্বপ্নের রাজ্যে!!
নবীনতর পূর্বতন