মেকআপ ব্রাশ সাজার অন্যতম প্রধান উপকরণ। খালি চোখে দেখলে ত্বকের ওপর মেকআপ লাগানোই এর কাজ। ভিন্ন ভিন্ন এই ব্রাশগুলোর কাজ কিন্তু ভিন্ন। একেকটি ব্রাশ তৈরি করা হয়েছে মুখের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে কথোপকথনের জন্য। আইশ্যাডো লাগানো আর লিপস্টিক লাগানোর ব্রাশ কিন্তু আলাদা। নিখুঁত মেকআপের জন্য সঠিক ব্রাশের ব্যবহার এ কারণে জরুরি।
মাশকারা ব্রাশ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি ওপরের চোখের পাপড়ির জন্য ও অন্যটি হলো নিচের চোখের পাপড়ির জন্য। চোখের ওপরের জন্য যে মাশকারা ব্রাশটি তা দেখতে বেশ ঘন ও বড় হয়। এই ব্রাশটি চোখের পাপড়িকে ভলিউম দেয় বা ঘন করে। অন্যদিকে নিচের জন্য যদি ওপরের মাশকারা ব্রাশ ব্যবহার করা হয় তবে চোখের নিচে লেগে যেতে পারে তাই নিচের জন্য চিকন ধরনের মাশকারা ব্রাশ আছে।
আইলাইনার বা কাজল ব্যবহারের পর এই ব্রাশটি প্রয়োজন হয়। অ্যাঙ্গেল ব্রাশটি চিকন হয় বলে আইলাইনার বা কাজল চিকন করে চোখের কোনায় সামনের দিকে বা বাইরের দিকে সুন্দর ও চিকন করে টানা যায়। একসময় গোল ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করা হতো। ম্যাকের ২৬৩ নম্বর অ্যাঙ্গেল ব্রাশটি এখন বেশ জনপ্রিয়।
চোখের নিচের জায়গাটি হয় নরম। তাই এই জায়গাটির জন্য ভিন্ন ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। চোখের নিচে কাজল দেওয়ার পর তা সুন্দর করে ব্লেন্ড বা মেশাতে কাজল ব্লেন্ডিং ব্রাশ লাগে। ব্রাশটি চিকন হয় বলে চারপাশে তা ছড়িয়ে যায় না।
শ্যাডো ব্রাশ চোখের পাতায় শ্যাডো দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ব্রাশটি কিছুটা ওভাল আকারের হয়ে থাকে।
ভুরুর ব্রাশ দুই ধরনের হয়। একটি ভুরু পরিষ্কার করার জন্য এবং অন্যটি আঁকার জন্য। মুখে মেকআপ করার পর বেজ মেকআপ ভুরুতে ঢুকে যায়, তখন ভুরু সাদা দেখায়। তা পরিষ্কার করার জন্য ও এলোমেলো ভুরুকে আঁচড়ানোর জন্য ভিন্ন ব্রাশ পাওয়া যায়। আবার ভুরু আঁকার জন্য চিকন ধরনের ব্রাশ থাকে এটি ভুরুকে সুন্দর আকার দেয়।
লিপ ব্রাশ চিকন ও চ্যাপ্টা দুই ধরনেরই আছে কিন্তু চ্যাপ্টা ধরনের ব্রাশটিই এখন বেশি ব্যবহার করা হয়। লিপস্টিকের ওপর দিয়ে টান দিলেই লিপস্টিক সুন্দরভাবে মিশে যায়। অনেকের ঠোঁট পাতলা আবার ভারী হয়, তাই এমন ধরনের ঠোঁট ঠিক করতে চ্যাপ্টা আকারের ব্রাশ দরকার হয়।
গোল এই ব্রাশটি আইশ্যাডো ব্লেন্ড বা মেশানোর জন্য খুব প্রয়োজন। তবে এটি আইব্রাও ও চোখের পাতার মধ্যের জায়গার জন্য।
সবার মুখ এক রকম হয় না। কারও ভারী হয় আবার কারও পাতলা হয়। গালের ভলিউম কমানোর জন্য বা মুখটাকে চিকন দেখানোর জন্য কন্ট্রোলিং ব্রাশ প্রয়োজন।
ব্লাশঅন ব্রাশ তিন ধরনের হয়। মাঝারি, লম্বা ও গোল। মাঝারি ব্রাশটি মাঝারি ধরনের মুখের জন্য, লম্বা ব্রাশ ভারী মুখের জন্য ও গোল ব্রাশ চিকন ও লম্বা মুখের জন্য ব্যবহার করা হয়।
চোখের নিচের টোন পরিবর্তন করতে এই ব্রাশটি লাগবে। ব্রাশটি চিকন হয়। তাই তা চোখের কোনা পর্যন্ত টানা যায়। চোখের নিচে শ্যাডো দিয়ে ব্লেন্ড করাকে বলে টোন পরিবর্তন।