হৃদ্রোগীদের ব্যায়ামে যত সতর্কতা

হৃদ্রোগীদের ব্যায়ামে যত সতর্কতা
যাঁদের আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা হার্টে বাইপাস সার্জারি কিংবা রিং বসানো হয়েছে, তাঁরাও কি ব্যায়াম করতে পারবেন নিশ্চিন্তে? এতে হার্টের ওপর বাড়তি কাজ পড়ে যাবে না তো?
হ্যাঁ, হৃদ্রোগীরা যে ব্যায়াম করতে পারবেন শুধু তা-ই নয়, ব্যায়াম করাটা তাঁদের চিকিৎসার অংশ হিসেবে বিবেচিত। জেনে নিন কিছু তথ্য
* হার্ট অ্যাটাকের সাত দিন পর থেকেই স্বাভাবিক কাজকর্মের মতো টুকটাক কয়েক মিনিট করে হাঁটাহাঁটি শুরু করা যায়। প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ মিনিট করে বাড়িয়ে এক মাস পর আধ ঘণ্টায় পৌঁছাবেন। রক্তনালিতে রিং পরানো বা বাইপাস সার্জারির পরও একই পরামর্শ। তবে গাড়ি চালানোর আগে ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
* কিছু ক্ষেত্রে ব্যায়াম নিষেধ। যেমন অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, হার্টের ভালভের অধিক সরুত্ব, জন্মগত ত্রুটি এবং রক্তচাপ যখন খুবই অনিয়ন্ত্রিত থাকে।
* অনেক হার্ট ফেইলিউরের রোগী সামান্য পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যান। তারা ততটুকু হাঁটবেন যতটুকুতে শ্বাসকষ্ট শুরু না হয়, অতিরিক্ত ক্লান্তি বা নিস্তেজ না হয়ে পড়েন, বুকে চাপ বা ব্যথা না হয়।
হৃদ্রোগীরা ব্যায়াম করতে গেলে কিছু পরামর্শ মেনে চলুন—
এক. ব্যায়ামের আগে পাঁচ মিনিট ওয়ার্ম আপ এবং শেষে পাঁচ মিনিট কুল ডাউন করবেন।
দুই. হৃদ্রোগীদের জন্য ভারী ব্যায়ামের চেয়ে হাঁটাহাঁটি বা জগিংই ভালো।
তিন. প্রতিদিন একই সময়ে হাঁটা ভালো। সকাল-বিকেল কোনো পার্থক্য নেই, তবে ভরা পেটে হাঁটবেন না। খুব ঠান্ডা বা গরম আবহাওয়ায় হাঁটবেন না। কোনো কারণে শরীর খারাপ লাগলেও না।
চার. একসঙ্গে কষ্ট হলে ভাগ করে হাঁটতে পারেন।
পাঁচ. বাড়ির কাছাকাছি বা সঙ্গীসহ হাঁটা ভালো। যাতে হঠাৎ শরীর খারাপ লাগলে সাহায্য নিতে পারেন।
ছয়. বুকে চাপ বা ব্যথা লাগলে সঙ্গে রাখা নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে জিবের নিচে দিন।
সাত. ব্যায়ামের পর গোসল করার আগে ১০-১৫ মিনিট সময় নিন। বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিন এবং পানি পান করুন।
নবীনতর পূর্বতন