অসুখবিসুখ সারাতে অনেকে নানা রকম ওষুধ খান। আবার কেউ একই সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসরণ করেন। এতে কখনো কখনো বিপত্তি হতে পারে। তার একটা হচ্ছে ওষুধে-ওষুধে প্রতিক্রিয়া বা ড্রাগ ইন্টারেকশন। বেশির ভাগ ওষুধের বিপাক যকৃতে এবং নিষ্কাশন কিডনি দিয়ে হয়ে থাকে। কখনো কোনো একটি ওষুধ অন্য ওষুধের বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে বা অন্য ওষুধের কার্যকারিতা বাড়িয়ে বা কমিয়ে দিতে পারে। একে বলে ড্রাগ ইন্টারেকশন।
একই সঙ্গে রক্তে চর্বি কমানোর ওষুধ ও ছত্রাকরোধী ওষুধ খেলে চর্বি ও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে। আবার হৃদ্রোগের ওষুধ ডিগোক্সিনের সঙ্গে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক আছে যা না খাওয়াই ভালো। আবার থাইরয়েডের ওষুধের সঙ্গে অন্য কিছু ওষুধ একসঙ্গে খেলে ওষুধটির শোষণ কমে যেতে পারে। ক্ষতিকর ড্রাগ ইন্টারেকশন এড়াতে আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে।
১. হয়তো আপনি একেকটি রোগের কারণে ভিন্ন ভিন্ন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে থাকেন। একজন চিকিৎসক যে ওষুধ দিয়েছেন, অন্যজন তা না জেনেই আরেকটি ওষুধ দিচ্ছেন। তাই নিয়মিত বা এই মুহূর্তে কী কী ওষুধ খান, কোনো চিকিৎসকের কাছে গেলে সেটা তাঁকে অবশ্যই জানাবেন।
২. নিয়মিত ওষুধ একটি ব্যবস্থাপত্রে থাকাই ভালো। আলাদা আলাদা অনেক ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ওষুধ কিনতে গেলে দোকানদার বিভ্রান্ত হতে পারেন।
৩. অনেক সময় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধের ব্র্যান্ড পাল্টানো হয় বা একটি ব্র্যান্ড না থাকলে আরেকটি দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি পরবর্তী সময়ে চিকিৎসককে জানাবেন ও নিজে ওষুধের জেনেরিক নামটি পরীক্ষা করে দেখবেন।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কোনো ওষুধ কিনে খাবেন না। আপনি হয়তো জানেন না সাধারণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বড়িও অন্য ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাবেন। কেননা এটি বিভিন্ন ওষুধের বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।
৫. নিজের নিয়মিত ওষুধগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখুন। কী কারণে কোন ওষুধটি কখন কী মাত্রায় খান—তা নিজে স্পষ্ট থাকবেন যাতে জরুরি অবস্থায় বা অসুস্থতায় বলতে ভুল না হয়।