বাংলাদেশে তরুণ-যুবকদের যৌনতা (Sex) নিয়ে যত ভুল ধারণা

আপনি শুনলে হয়ত অবাকই হবেন - বছরের পর বছর ধরে যে অপচিকিৎসায় দেশের বৃহত্তর তরুণ সমাজ যৌন সংক্রান্ত ব্যাপারে নিজেদের ভয়ানক ক্ষতি ডেকে আনছে তার শতকরা ৭০-৮০ ভাগ তরুণ-পুরুষের কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা নেই বললেই চলে আর থাকলেও তা খুব সহজেই নিরাময়যোগ্য। অথচ বিভিন্নভাবে রাস্তা ঘাটের আশেপাশে বেঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা হারবাল-আয়ুর্বেদ, ভেষজ ও নানা কবিরাজি চিকিৎসায় তরুণদের যে শুধু বিভ্রান্ত করা হচ্ছে তাই নয়, বহু এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারও তরুণদের যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে অজ্ঞতা ও দুর্বলতার সুযোগে রোগী বানিয়ে দিচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে।

একটা কথা মনে রাখতে হবে তরুণ-যুবক বয়সে পুরুষদের যৌন সমস্যার শতকরা ৮০ ভাগই মানসিক। মোটেও চিকিৎসার দরকার নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত শারিরীক সমস্যা থাকলেও উপযুক্ত চিকিৎসায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। তাই তরুণদের প্রতি আমাদের উপদেশ রেজিস্টার্ড চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া নিজের নির্বাচনে বা সখ করে অযথা হারবাল-আয়ুর্বেদ, ভেষজ, কবিরাজি এবং উত্তেজক এ্যালোপ্যাথিক ঔষধ সেবন করে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলবেন না। আপনি যত কঠিন যৌন রোগীই নিজেকে মনে করুন না কেন হোমিওপ্যাথি আপনাকে অল্প কিছু দিনেই স্বাভাবিক এবং সুস্থ জীবন দান করবে ইনশা-আল্লাহ। কারণ হোমিওপ্যাথিই একমাত্র চিকিত্সা বিজ্ঞান যেটি কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই নারী পুরুষের যাবতীয় যৌন সমস্যাবলী মূল থেকে নির্মূল করে রোগীকে চিরতরে আরোগ্য করতে সর্বাধিক সাফল্য দেখিয়েছে। তাছাড়া হোমিওতে এমন কিছু রেমেডি রয়েছে, কেউ যদি মানসিক কারণে যৌন দুর্বলতায় ভোগে তার মানসিক অবস্থাটাও পরিবর্তন করে পুরু সমস্যাটা দূর করে দেয় যা অন্য কোন চিকিত্সা পদ্ধতিতে নেই। আর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো হারবাল-আয়ুর্বেদ, ভেষজ, কবিরাজি এবং উত্তেজক এ্যালোপ্যাথিক ঔষধের মত হোমিও ঔষধ সব সময় খেয়ে যেতে হয় না। কিছু দিন কন্টিনিউ করলেই রোগটি পুরোপুরি রুট লেভেল থেকে নির্মূল হয়ে আবার শরীরে পূর্বের স্বাভাবিক সুস্থ অবস্থাটা চলে আসে, আর তখন কোন ঔষধই খাওয়ার দরকার পড়ে না। অর্থাৎ আপনি আবার সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠবেন।

জেনে রাখা ভালো (হস্তমৈথুন প্রসঙ্গে) :-
অনেকেই শীতপ্রধান দেশের বিশেষজ্ঞদের গবেষণালব্ধ ফলাফল আমাদের উপমহাদেশের অর্থাৎ গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বেলায় চালাতে চান। এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের বাস্তবতা উপলগ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশের ছেলেদের ১০-১২ বছরের মধ্যেই যৌন পরিপক্কতা চলে আসার কারণে তারা অনেকে তখন থেকেই হস্তমৈথুন করা শুরু করে এবং বিয়ের সময় অর্থাৎ বয়স ২০-৩০ বছর হওয়ার পর দেখা যায় তারা নানা প্রকার যৌন সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলেছেন। দেখা গেছে যে ৯/১০ বছর বয়স থেকেই ভারত বাংলাদেশের ছেলেরা হস্তমৈথুন করা শুরু করে অথচ এটা তাদের বাড়ন্ত বয়স। আর তখন থেকে দীর্ঘ দিন বছরের পর বছর যাবৎ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার কারণে পেনিসের গ্রোথ কিছুটা বাধাগ্রস্থ হাওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর বাস্তবতা হলো অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটি ঘটেও থাকে। যথাযথ হোমিও ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র ঐ ক্ষেত্রে পেনিসের আকার কিছুটা বাড়ানো যায়।
এবার আসুন শীতপ্রধান দেশগুলির ছেলেদের বিষয়ে আসি। তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ উল্টো। ঐসব দেশে ছেলেদের যৌন পরিপক্কতা আসে অনেক দেরিতে, অনেকের ১৬-১৮ বছর হয়ে যায়। তাছাড়া তারা যে কারো সাথে মেলামেশার সুযোগ পেয়ে থাকার কারণে হস্তমৈথুন ততটা করে না। তাই তারা এর জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয় না বললেই চলে। তাই আপনাদের অবশ্যই এ বিষয়টা বুঝতে হবে এবং তাদের ক্ষেত্রে যে থিওরি তাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন তা আমাদের দেশের ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার চেষ্টা করা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তারা যদি আমাদের দেশের ছেলেদের মত হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে এটা করতে থাকত তাহলে তারাও এর কুফল গুলির সম্মুখীন হত। তাই আমাদের দেশের তথাকথিত গুগল সার্চ করা আর কপি পেস্ট করা বিশেষজ্ঞদের প্রতি অনুরোধ - বিষয়টা ভালো ভাবে না জেনে, না বুঝে এবং বাস্তব ধারণা না নিয়ে "হস্তমৈথুন করাকে শরীরের জন্য উপকারী" এ কথা বলে তরুনদের বিভ্রান্ত করবেন না। আমরা দেখেছি একমাত্র নানা প্রকার ভুয়া যৌন সামগ্রী বিক্রেতারাই কোমলমতি তরুনদের হস্তমৈথুন করার প্রতি উত্সাহিত করে থাকে। কারণ তরুণরা যতই সমস্যার স্বীকার হবে ততই তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটবে। সবাই ভালো ভাবে জেনে রাখুন - আপনি যদি বছরের পর বছর ধরে হস্তমৈথুন করতে থাকেন তাহলে এক সময় মারাত্মক কিছু সমস্যার সমুখীন হবেন যা আপনার যৌন জীবনকে বিপর্যস্থ করে তুলবে। এটা আমরা উপমহাদেশের (বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান) হাজার হাজার তরুনদের ট্রিটমেন্ট দেয়ার ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ করেছি। তারা সবাই বিনা বাক্য ব্যয়ে আমাদের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন যে - ছোট কাল থেকেই তারা হস্তমৈথুনে অভ্যস্থ ছিলেন।

সতর্ক হোন (বিবাহিত পুরুষদের যৌন দুর্বলতার ক্ষেত্রে) :-
বিবাহিত জীবনে স্বাভাবিক অবস্থায় যৌন দুর্বলতায় কোনো প্রকার ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নাই। অর্থাৎ লিঙ্গ উত্থান জনিত কোনো শারীরিক সমস্যা অথবা অন্য কোনো যৌন রোগের কারণে যদি আপনার যৌন দুর্বলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে সেই রোগের চিকিত্সা করাতে হবে। তারপর যৌন সমস্যার বিষয়টি দেখতে হবে। মূল কথা হলো বিবাহিত পুরুষদের যৌন দুর্বলতায় কোনো ঔষধের প্রয়োজন নাই। আপনারা হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে যৌন দুর্বলতার সৃষ্টি হলে এটা সারবে কিভাবে ? একটা বিষয় চিন্তা করুন পুরুষের যৌন ক্ষমতাটা তার ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না। এটা সরাসরি নির্ভর করে তার শারীরিক সক্ষমতার উপর। তাই আপনাকে চিন্তা করতে হবে কি করলে আপনি সবসময় শারীরিক ভাবে ফিট থাকবেন। কারণ যৌনতাও আপনার শরীরেরই একটা অংশ। তাই নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আপনি যৌনতায় ফিট থাকতে পারেন। তার জন্য ক্ষতিকর ও উত্তেজক হার্বাল, কবিরাজি, ভেষজ ও অ্যালোপ্যাথি ঔষধ খেয়ে যাওয়ার কোন প্রয়োজনই নেই। কারণ পুরুষের যৌন শক্তি সঞ্চিত হয় দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকে।

আপনি যদি সখের বসে নিয়মিত এইসব ক্ষতিকর এবং উত্তেজক হার্বাল, কবিরাজি, ভেষজ ও অ্যালোপ্যাথি ঔষধ খেতে থাকেন তা হলে একসময় দেখবেন আপনি এতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছেন আর এমনটিই হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং প্রতিবার ঐসব ঔষধ খাওয়া ব্যতীত আপনি আর সহবাস করতে পারছেন না। শুধু তাই নয় দীর্ঘদিন এইগুলি ব্যবহার করতে থাকলে আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহও নানা প্রকার জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে থাকবে। আর সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আমরা দেখে আসছি সেটা হলো এক সময় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয় যে ঐ অবস্থায় আর কোনো যৌন শক্তির ঔষধই কাজ করে না। এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, আপনি কি ঐসব ক্ষতিকর ঔষধ খেয়ে খেয়ে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন নাকি নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনের মাধ্যমে আনন্দময় সুখী যৌন জীবন উপভোগ করবেন। তবে ক্ষেত্র বিশেষে হয়ত চিকিত্সকরা ঐ সংক্রান্ত ঔষধ কিছু দিনের জন্য প্রেস্ক্রাইব করতে পারেন। সেটা ভিন্ন কথা। কারণ যে কোনো ঔষধই চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া বিপদজনক। এবার আসুন বিবাহিত পুরুষদের যৌন দুর্বলতায় কি কি করা প্রয়োজন সে দিকে যাই।

আবারও বলছি, বিবাহিত জীবনে পুরুষদের যৌন দুর্বলতা একেবারেই একটা সাধারণ ব্যাপার । তাই যৌন সামগ্রী ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপনের ছটায় বিভ্রান্ত হয়ে বিষয়টি নিয়ে আপনি আপনার মন-মানসিকতাকে দুর্বল করে তুলবেন না। আপনি যদি এবিষয়ে একটু সচেতন থাকেন তাহলে এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যাই হওয়ার কথা নয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন, দুধ (ছাগলের দুধ অধিক উপকারী), ডিম এবং মধু  খাবার মেনুতে রাখুন দেখবেন আপনার যৌন দুর্বলতা আসার কোনো সুযোগই থাকবে না। তবে কোনো প্রকার এক্সিডেন্ট বা রোগ-ব্যাধির কারণে যৌন দুর্বলতা বা যৌন সংক্রান্ত কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে রেজিস্টার্ড চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে ভূল করবেন না।

নবযৌবনে পদার্পণ করেছেন যারা (লিঙ্গ দিযে সাদা আঠালো পানি আসা) :-
মেয়েদের সাথে কথা বলার সময়, অধিকক্ষণ যৌন চিন্তার ফলে, পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকলে লিঙ্গ দিযে সাদা আঠালো পানি (যাকে কমরস ও বলা হয়ে থাকে) আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয় এবং ইহা পুরুষদের একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার, তাই বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনারা সবাই এটা জানেন যে, পুরুষদের প্রস্রাবের পথ আর প্রজননতন্ত্র একই। প্রস্রাব অম্লীয় প্রকৃতির। যার কারণে বীর্য বের হওয়ার সময় যাতে অম্লীয় পরিবেশের কারণে শুক্রানু নষ্ট হতে যেতে না পারে তার জন্য এই পদার্থটি আল্লাহ পাক বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাতে অম্লীয় ভাবটা দূর হয়ে যায়। তবে যদি এটি বেশি বেশি হতে থাকে তখন হয়ত কিছুটা সমস্যা থাকতে পারে (স্পারম্যাটোরিয়ার ফলে হতে পারে কিন্তু এর জন্য দুশ্চিন্তার কোন কারণই নেই, এটি কিছু দিনের যথাযথ হোমিও চিকিত্সায় ঠিক হয়ে যায় )।

প্রতারিত হবেন না (পুরুষের লিঙ্গ/পেনিস প্রসঙ্গে ) :-
পুরুষাঙ্গ/পেনিস বড় করা :-
কতিপয় ভুয়া যৌন সামগ্রী (Sex Toy or Products) বিক্রেতাদের বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হয়ে আমাদের দেশের সে সকল কোমলমতি তরুণ-যুবকরা পেনিস বড় করা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন তারা বিষয়টা ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করুন -
ডক্টর মাইকেল ও'লেয়ারী যিনি হাবর্ড মেডিক্যাল স্কুল (ইউরোলজিষ্ট, ব্রিগহাম এন্ড ওমেন্স হসপিটাল ইন বোষ্টন) এর  প্রফেস্যার এবং এ বিষয়ের একজন সুপরিচিত বিশেষজ্ঞ, তিনি সরাসরি বলেছেন - "বিশ্বাস করুন, আমি যদি জানতাম কি করে নিরাপদে এবং সত্যিকারেই লিঙ্গের আকার বড় করা যায় - তাহলে আমি তা প্রেসক্রাইব করে কোটিপতি হয়ে যেতাম। কিন্তু আমি এটা জানিনা।" বুঝুন এবার !! তাই, যারা ফেইসবুক, ব্লগ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পেনিস বড় করার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেখে নানা খাবার বড়ি, ক্রিম ব্যবহার করার কথা ভাবছেন তারা একবার বিষয়টি ভেবে দেখবেন আশা করি।

কারণ আজকাল কেউ কেউ হার্বাল, কবিরাজি, ভেষজ এমনকি হোমিওপ্যাথির দোহাই দিয়ে পর্যন্ত কোমলমতি তরুণ-যুবকদের মানুষিক ভাবে দুর্বল করে থাকে। আর তাদের বিজ্ঞাপনে এমন সব কু-রুচি পূর্ণ ছবি ব্যবহার করে থাকে, যা দেখে যেকোন তরুণ-যুবকই মানসিক ভাবে এগুলোর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে আমাদের তরুনরা আসল সত্যটা না জেনেই তাদের ফাদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আপনি দেখে থাকবেন তাদের নির্দিষ্ঠ কোনো স্থায়ী ঠিকানা থাকে না। তারা শুধু ফোন নম্বর ব্যবহার করে থাকে। তারা অনেকেই আবার দাবি করে.. বিশ্ববিখ্যাত পেনিস এনলার্জমেন্ট ফর্মুলা (ডাহা মিথ্যা কথা) অনুযায়ী তাদের ঔষধ তৈরী করা হয়ে থাকে !!!

বিষয়টা ভালো করে চিন্তা করুন, যদি "বিশ্ববিখ্যাত পেনিস এনলার্জমেন্ট ফর্মুলা" বলে কিছু থাকত তাহলে বাংলাদেশের বড় বড় ঔষধ কোম্পানি গুলি এখনো বসে আছে কেন ? তারা কেন পেনিস বড় করার ঔষধ তৈরী করেন না। তারা কি "বিশ্ববিখ্যাত পেনিস এনলার্জমেন্ট ফর্মুলা" জানেন না !! দেশের বড় বড় খ্যাতনামা যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা কেন তাদের রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপসনে এইসব ঔষধের নাম লিখেন না ?? আর বাংলাদেশে রয়েছে হাজার হাজার ঔষধের ফার্মেসি যেখানে এত এত ঔষধ পাওয়া যায় অথচ বিশ্ববিখ্যাত ফর্মলায় তৈরী করা তাদের ঐ ঔষধটা কেন পাওয়া যায় না ?? শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত হারবাল ঔষধ প্রস্ততকারী কোম্পানি গুলির একটিও আজ পর্যন্ত এ রকম কোনো ঔষধ তৈরী করতে পারেন নি। অথচ ঔষধ প্রস্ততকারী কোম্পানিগুলো নিত্য নতুন কার্যকরী ঔষধের ফর্মুলা তৈরির জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে রেখেছেন। যারা নানা প্রকার ঔষধ তৈরী এবং এর কার্যকারীতা নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। আশা করি আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। সচেতন হন। জেনে শুনে প্রতারিত হবেন না। আপনার কষ্টার্জিত টাকার মুল্য আছে, তা আপনার পরিবারের জন্য খরচ করুন। লোভে পড়ে যেখানে সেখানে টাকা পয়সা উড়াবেন না।

যারা পেনিস বড় করার ঔষধ বিক্রি করে, তারা আসলে মানুষের দুর্বল মানসিকতার সুযোগ নিয়ে লোকজনকে প্রতারিত করে থাকে। কারণ আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে কোন মেডিকেল সাইন্সই এ বিষয়ে ভালো ভাবে সফল হয় নি - এটা আশা করি ইতিমধ্যে ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন, আবার অপারেসন করে পেনিসের আকার পরিবর্তন করলেও তাতে রয়েছে নানান জটিলতা। এখন প্রশ্ন হলো :- যারা পুরুষের লিঙ্গ/পেনিস বড় অর্থাৎ মোটা বা লম্বা করার বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন তারা কি ভাবে সফল হলো !?! তাদের খাবার বড়ি, ক্রিম ব্যবহার করে ফলাফল পেয়েছেন, এখন পর্যন্ত এমনটি কারো কাছে শুনিনি।। আবারও বলছি - মূল কথা হলো, তাদের ব্যবসা করার চূড়ান্ত হাতিয়ার আমাদের তরুনদের দুর্বল মানসিকতা। কারণ এই গুলো ব্যবহার করে কোনো ফলাফল পান বা না পান সেটা আপনি কারো কাছে বলতে পারবেন না। তাই বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

পেনিস বা লিঙ্গের আকার সম্পর্কে বাস্তব ধারণা :-
প্রায় অর্ধেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মনে করেন তাদের পুরষাঙ্গ অনেক ছোট। বিশ্বজুড়ে সাধারনত উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি। তবে লিঙ্গের আকার ব্যাক্তি এবং অঞ্চলভেদে অনেক পার্থক্য দেখা যায়। বিরল ক্ষেত্রে পারিবারিক (জেনেটিক) এবং হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ৩ ইঞ্চির চেয়েও অনেক ছোট লিঙ্গ দেখা যায়। চিকিত্সা শাস্ত্রে এটি মাইক্রোপেনিস নামে পরিচিত। তবে পেনিস ৪(চার) ইঞ্চি হলেই স্ত্রীকে অর্গাজন দিতে কোনো প্রকার অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অনেকের ক্ষেত্রে প্রোষ্টেইট ক্যান্সার অপারেশান সহ নানা রোগের কারনে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।
পুরুষাঙ্গ/পেনিস গোড়া চিকন আগা মোটা :-
প্রায় সময়ই ফোন কল রিসিভ করে যে অভিযোগটি পাই সেটি হলো - স্যার আমার লিঙ্গের গোড়ার দিকটা অগ্র ভাগের তুলনায় কিছুটা চিকন এর জন্য ট্রিটমেন্ট দেন। ভালো করে জেনে রাখুন প্রকৃতিগত ভাবেই অধিকাংশ পুরুষের লিঙ্গের গোড়ার দিকটা অগ্রভাগের তুলনায় কিছুটা চিকন হয়ে থাকে। এটা আপনার যৌন কাজ বা সহবাসের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাই নয়। রাস্তাঘাটের ভুয়া হারবাল, কবিরাজি, ভেষজ নামধারী কতিপয় চিকিত্সক তাদের ঔষধ বিক্রি করতে কোমলমতি তরুনদের মানুষিকভাবে দুর্বল করার জন্য এই কথাগুলি বলে থাকে। এটা তাদের একটা কটু বুদ্ধি। তাই আমাদের যে সকল তরুণ - যুবক ভাই এই বিষয়টা নিয়ে এতদিন যাবৎ হীনমন্যতায় ভুগে আসছেন আজ থেকেই এই সব বাজে চিন্তা ভাবনা মাথা থেকে বাদ দিয়ে আপনার পড়াশোনা, ক্যারিয়ার আর অন্যসব বিষয়ে চিন্তায় মনোনিবেশ করুন।
পুরুষাঙ্গ/পেনিস বাকা প্রসঙ্গে :-
অনেক সময় আমাদের পেশেন্টরা অভিযোগ করেন স্যার, আমার পেনিস কিছুটা বাকা। এসকল প্রশ্ন আসার সবচেয়ে বড় কারণ হলো - সঠিক সময়ে আমাদের দেশের তরুণরা যথাযথ যৌন শিক্ষাটা পায় না। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগায় কতিপয় হারবাল, কবিরাজ, ভেষজ নামধারী চিকিত্সক আর কতিপয় অসাধু যৌন সমগ্রী বিক্রেতারা। মনে রাখবেন পুরুষাঙ্গ পরুপুরি সোজা হয় না। অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায় পেনিস কিছুটা বাকা থাকে। এটা কোনো সমস্যার মধ্যেই পড়ে না। যৌন মিলনের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি কোন ফ্যাক্টরই নয়। তাই এই সকল বিষয় নিয়ে চিন্তা করে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। আপনি কতিপয় অসাধু যৌন সামগ্রী বিক্রেতাদের বিজ্ঞাপনের ছটায় বিভ্রান্ত হয়ে সারা জীবন পুরুষাঙ্গ মোটা করার, লম্বা করার, আকারে বড় করার, সোজা করার ঔষধ, ক্রিম, ট্যাবলেট ইত্যাদি ব্যবহার করে যেতে পারেন বিনিময়ে আপনার টাকা আর সময় নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। একবার আমাদের কাছে কিছু ভেষজ ঔষধ বিক্রেতা একান্ত আলাপ-চারিতায় নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে - তারা হালুয়া আকারে ঔষধ বিক্রি করেন  আর তৈরী করার সময় ফার্মেসী থেকে ৫০ টাকা পিস যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট কিনে তার সাথে গুড়ো করে মিশিয়ে দেন। যার কারণে যেই এটা খায় কিছুক্ষণ পরই সে তীব্র উত্তেজনা অনুভব করে এবং ইনস্ট্যান্টলি রক্ত সঞ্চালনের ফলে পেনিসও অনেক শক্ত হয়ে যায় । সাথে সাথে ফলাফল পেয়ে যাবার কারণে লোকজন হর-হামেশাই তাদের ঔষধ কিনে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই সব ঔষধের ক্রিয়াকাল ক্ষনস্থায়ী : ২-৩ ঘন্টার বেশি হয় না। অর্থাৎ এটা কোন স্থায়ী ট্রিটমেন্ট নয়।

স্বামী স্ত্রীর সহবাস বা যৌন মিলনের স্থায়িত্ব কত সময় হতে পারে :-
বিষয় হলো এর ধরাবাধা কোনো সময় নেই। কারণ এটি বলতে গেলে পুরুষের সক্ষমতার উপরই অধিকাংশ নির্ভরশীল। তবে বিশেষজ্ঞরা এর সময়সীমার প্রতি কিছুটা ইঙ্গিত করেছেন তা হলো : সর্বোত্তম যৌন মিলনের সময়-ব্যপ্তি ৭ (সাত) থেকে ১৩ (তের) মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। বলা হয় ৩ (তিন) থেকে ৭ (সাত) মিনেটের যৌনমিলন মোটের উপর "পর্যাপ্ত" কিন্তু ৩ মিনেটের কম সময় "খুব কম সময়" এবং ১৩ মিনিটের বেশি সময় মিলন "খুব লম্বা সময়"। গবেষকরা প্রমান পেয়েছেন - ৩ (তিন) মিনেটের ভালবাসাপুর্ন মিলনই 'পর্যাপ্ত'।

একটা বিষয় মনে রাখবেন :-
যৌন তৃপ্তির জন্য লিঙ্গের আকার মুল বিষয় নয়। প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে মিলনে এবং সিঙারে আপনার কারুময়তা। আপনি যত বেশি সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে স্ত্রীকে "অন" করবেন সে তত বেশি আপনার পার্সোনলিটির প্রতি আবেগী হবে।

নারী পুরুষের নানা প্রকার যৌন ব্যাধি প্রসঙ্গে :-
দ্রুত বীর্যপাত, পুরুষত্বহীনতা, ধ্বজভঙ্গ, স্বপ্নদোষ, স্পারম্যাটোরিয়া, হস্তমৈথুন অভ্যাস ও এর কুফল, লিঙ্গের অসারতা, সিফিলিস, গনোরিয়া, প্রসাবে জ্বালাপোড়া, নারীদের জরায়ু সংক্রান্ত ব্যাধি, ঋতুস্রাবের অনিয়মিততা, লিউকোরিয়া, স্তন টিউমার/ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্ব ও অন্যান্য স্ত্রীরোগসমূহের সর্বাধিক সাফল্য মন্ডিত এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন চিকিত্সা নিশ্চিত করে থাকে একমাত্র হোমিওপ্যাথি মেডিকেল সাইন্স। তাই এ সকল সমস্যা নির্মূলে আপনার নিকটস্থ ভালো এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগযোগ করে চিকিত্সা নিন, প্রপার ট্রিটমেন্ট নিলে আশা করি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। 
আরেকটা বিষয় জেনে রাখা দরকার, হোমিওপ্যাথি যেনতেন কোনো চিকিত্সা বিজ্ঞান নয়, মেডিকেল কলেজের সার্টিফিকেট নিয়ে ডাক্তার হওয়া যায় কিন্তু যথাযথ হোমিওপ্যাথ হতে হলে তার সাথে আরো কিছু করতে হয়। এই বিজ্ঞান সঠিকভাবে আয়ত্ব করতে অনেক সাধনার প্রয়োজন, যা যথাযথরূপে অর্জন করতে ডিগ্রীধারী হাওয়া সত্তেও অনেকেই ব্যর্থ হন। যার কারণে দেখা যায় মহিলা ও পুরুষদের জটিল ব্যাধিসমূহ, লিভার সিরোসিস, ক্যান্সার, কিডনির ক্রিটিকাল মুহুর্তে তার যথাযথ চিকিত্সা ইত্যাদি দিতে অনেক হোমিওপ্যাথই অপারগতা প্রকাশ করে থাকেন। অথচ সেই জন্মলগ্ন থেকেই অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথদের প্রপার ট্রিটমেন্ট এর আওতায় আসার কারণে অনেক জটিল শারীরিক সমস্যাগ্রস্থ মানুষও নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। আমাদের দেশেও এ রকম স্বনামধন্য অনেক হোমিওপ্যাথ রয়েছেন যাদের চিকিত্সার কারুময়্তার কারণে বিরোধী পক্ষের নানা অপপ্রচার সত্তেও বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি জনমানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে। 
নবীনতর পূর্বতন