জন্মদিনের গানটা দুবার গাইতে হবে। এই ২০ সেকেন্ডের পুরো সময়টা কাজে লাগাতে হবে হাত ধোয়ার জন্য। প্রথমে হাত ভেজানো, এরপর হাতে সাবান লাগানো, হাতের আঙুলের ভেতরের অংশ ও নখ পরিষ্কার করা, এরপর পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা; সব শেষে তোয়ালে দিয়ে হাত মুছে ফেলা। কিন্তু হাত ধোয়ার পর তা যদি পরিষ্কারই না হয় তাড়াহুড়োর কারণে, তাহলে আয়োজনটাই বৃথা। এত কথা বলছি কারণ, সামনেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির এই ঈদে ঘরে কিছু মাংস আসবেই। তাই মাংস কাটা, প্যাকেট করার প্রক্রিয়ায় আরও অনেক কাজ করতে হয়। হাতটা কোনোমতে সাবানের পানিতে ভিজিয়েই হয়তো অন্য কাজে ঢুকে যাচ্ছেন। ক্ষতিটা হাতের ত্বকের ওপর দিয়েই যাবে। এক ঝলকে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আপনার হাত যত্নে রাখবেন।
কোরবানির ঈদের আয়োজন ভিন্ন রকম। এর প্রস্তুতিটাও তেমন। সারা দিনের কাটা-ধোয়ায় অনেকের নখ ভেঙে যায়, হাত কেটে যায়। যাঁদের সারা দিন এসব কাজ করতে হবে, ঈদের আগে তাঁদের ম্যানিকিওর করে নখ ছোট করে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। ঈদের আগে এই কয়েক দিন হাতে প্রতিদিন রাতে লোশন লাগান। হাতের ত্বককে যতটা সুরক্ষিত রাখবেন, ঈদের কয়েক দিনের ধকলে ঠিক ততটাই কম ক্ষতি হবে।
হাত ধোয়ার বেসিনে যা রাখবেন
আফরোজা পারভীন ঈদের দিন হাত ধোয়ার বেসিনে তিনটি জিনিস রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
১. হলুদের গুঁড়া
২. সাবান
৩. লোশন।
হাত ধোয়ার সময় প্রথমেই একটু হলুদের গুঁড়া ভালো করে হাতে
মেখে নিন। এতে মাংসের গন্ধ চলে যাবে এবং দ্রুত পরিষ্কারক হিসেবেও কাজ করবে।
হাত ধুয়ে এবার সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। হাত মুছে ভালোভাবে
লোশন লাগিয়ে ফেলুন। ঈদের পরও সম্ভব হলে ম্যানিকিওর করে নিন। এতে করে নখ ও
হাতের ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতা—দুইই বজায় থাকবে।