ওয়াই-ফাই এখন মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের দৈনন্দিন চাহিদা ও বিলাসবহুল পণ্যের চেয়েও ওয়াই-ফাইকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মানুষ। প্রতি ১০ জনের মধ্যে চারজন শারীরিক সম্পর্ক, চকলেট ও অ্যালকোহলের চেয়ে ওয়াই-ফাইকে অধিক গুরুত্ব দেন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৭০০ জনকে নিয়ে এক সমীক্ষা চালায় ওয়াই-ফাই সংযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আইপাস। ওয়াই-ফাই ব্যবহারকারীদের অভ্যাস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে এ সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষায় মানুষের বিলাসবহুল ও নিত্যব্যবহার্য পণ্যের সঙ্গে ওয়াই-ফাইকে তুলনা করতে বলা হয়। ১ থেকে ৪ নম্বরের মধ্যে তাঁদের নম্বর দিতে বলা হয়। এর মধ্যে ১ অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ৪ সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়।
সমীক্ষায় দেখা যায়, ওয়াই-ফাইকে ৪০ দশমিক ২ শতাংশ জরিপের উত্তরদাতা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করেছেন। এরপর রয়েছে ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ শারীরিক সম্পর্ক ও ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ চকলেট। অ্যালকোহলকে গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন ৮ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
আইপাসের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা প্যাট হিউম বলেন, ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই শুধু গুরুত্বপূর্ণ উপায়ই নয়, এটি মানুষের অনেক বিলাসবহুল পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয়কেও ছাপিয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ওয়াই-ফাইয়ের প্রভাবের কারণে অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে একে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন উত্তরদাতারা। এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি মনে করেন, ওয়াই-ফাই তাঁদের জীবনমান উন্নত করেছে।
জরিপে জানানো হয়, এখনকার পর্যটকদের অধিকাংশ ভ্রমণে যাওয়ার আগে হোটেলে ওয়াই-ফাই সুবিধা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেন।