রোমাঞ্চকর নেপাল
নেপাল ভ্রমণের সময় ইচ্ছের তালিকায় ছিল প্যারাগ্লাইডিং, রিভার র্যাফটিং, বানজি জাম্পিং, সাইক্লিং। সময়ের অভাবে বানজি জাম্পিং করা হয়ে ওঠেনি। তিনটি করেই খুশি থাকতে হয়েছে।
রিভার র্যাফটিং
খরস্রোতা নদীর ওপরে নৌকা বাওয়া। এত দিন শুধু ছবিতে দেখে এসেছি। আজ নিজেরাই করব। ভয়ের থেকে উত্তেজনায় লাফাচ্ছিলাম দলের সবাই। দু- একজনের মুখে অবশ্য হাসি নেই। তবে তাঁরা মজাটা থেকে নিজেকে বঞ্চিতও করতে চাইছে না। যাঁরা প্রথমবার রিভার র্যাফটিং করতে চান, তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা আছে। ত্রিশূল নদীর ২৭ কিলোমিটার পথ আনন্দে, উত্তেজনায় উল্লাস করতে করতে পার হয়েছিলাম আমরা ২৬ জন। নদীর দুই পাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ঢেউ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার সুযোগই দেয়নি আমাদের।
প্যারাগ্লাইডিং
প্যারাসুটের মাধ্যমে আকাশে ওড়া। অনভিজ্ঞদের নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সব সময়ই থাকেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি। আকাশের বিস্তীর্ণ নীলের সঙ্গে একাকার হয়ে যাওয়ার এই আনন্দটুকু পাওয়া যাবে পোখারায়। পোখারার রাস্তায় একটু খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে প্যারাগ্লাইডিং করার জন্য ট্যুর অফিস। ফরম পূরণ করে টাকা জমা দিলেই এরপর আকাশের পানে রওনা দেওয়ার পালা।
আরও কিছু
পোখারায় বাদুরের অন্ধকার গুহায়ও আছে রোমাঞ্চ। এ ছাড়া ফেওয়া লেকে নৌকা চালিয়ে কিছুটা শান্ত সময় কাটিয়ে আসা যায়। আরও আছে সাইকেল চালানোর আনন্দ। পোখারায় সাইকেল ভাড়া দেওয়ার দোকান যে কেউই দেখিয়ে দিতে পারবে। ঢাকায় জনবহুল শহরে সাহস করে চালানো হয় না। কিন্তু পোখারার নিপাট রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে সে শখ পুরোদমে মিটিয়ে এসেছি। চিতওয়ানে হাতির পিঠে চড়ে বনের সৌন্দর্য্য দেখার অভিজ্ঞতাও সারা জীবন মনে থাকবে।