তিথিকে রাতে কল করতে মানা । রাতে সে ঘুমিয়ে পড়ে।মারুফ ব্যাপারটা নিয়ে
মাথা ঘামায় না তেমন । ইদ্যানীং ক্লাস আর প্রাকটিক্যালের ঝামেলায় শ্বাস
নেয়ার ফুসরত মেলে না । ফোন দিয়ে তাই কথাও তেমন
বলে না । কিন্তু তিথিকে ফোন দিলে বিজি দেখায় । মারুফের ব্যাপারটা খারাপ লাগে ।
valobashar golpo টা এভাবেই এগোতে থাকে
দুইসপ্তাহ পরঃ মারুফের পরীক্ষা শেষ । কয়েকদিন দশ পনেরো মিনিটের বেশি কথা হয়নি । আজ থেকে তিথিকে অনেক সময়
দিতে পারবে । ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হতে হবে তাকে। তারপর একটা জব । নিজের পায়ে দাঁড়ানো । সব পাগলীটার জন্যই তো ।
আগে প্রতিদিন সকালে তিথি ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙাতো ।
রোজ বিকেলে ঘুরে বেড়াতো এখানে সেখানে । কিন্তু মেয়েটা হয়তো রাগ
করেছে ভেবে তিথির জন্য একটা গোলাপ আর টেডি পাঠিয়ে দেয় । গিফট মেয়েটা নেয় ।
ফোন দিয়ে দায়সারা ভাবে বলেঃ
থ্যাংকস । কাজ আছে । পরে ফোন দিবো ।
এবার খানিকটা দ্বিধা কাজ করে মারুফের মনে।
কয়েকদিন পরঃ
সকাল ১১ টাঃ
মারুফ খুব সুন্দর করে শার্ট আয়রন
করেছে। নীল রঙের শার্ট । তিথির পছন্দের রঙ । পকেটে যথেষ্ট টাকা । আর মুভিসহ আছে আরো অনেক প্লান । কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতেই
“দেখে তিথি কারো সাথে ফোনে কথা বলছে ।
কলেজ গেটের সামনে একটা গাড়ি এসে থামে । প্রথমে ভেবেছিলো তিথিদের নিজের ।
কিন্তু ধাঁধাঁয় পড়ে যায় সাথের ছেলেটাকে দেখে । কোথায় দেখেছে ? মনে পড়ে
ফেসবুকে ছেলেটার সাথে চ্যাট করতো তিথি ।
খানিকটা বেশি মাখামাখি করে কথা বলতো দুজনই। তিথিই বলেছে তিথির ভাই হয়
নাকি ছেলেটা। প্রথমেই ডিস্টার্ব না করার
সিদ্ধান্ত নেয় মারুফ। কারন ফ্যামিলি প্রবলেম
হতে পারে । তবু কি ভেবে নিজেই
গাড়িটাকে ফলো করতে থাকে ।
ওরাও মুভি দেখতে গেছে ।
কিন্তু টিকিট স্বল্পতা আজ ।
কিন্তু তিথির মেশার ধরন ও
কথা বলার স্টাইলে মারুফের বুকে শেশ বাজে ।
ওরা টিকিট পায়নি । খুব কাছে দাঁড়িয়েই ফোন
দেয় তিথিকে । তিথি ফোন কেটে দেয় ।
পাশের ছেলেটা কে বলেঃ
আরে মারুফ ভাইয়া ফোন! খুব বিরক্ত করে !
মারুফ পুরো অবাক হয়ে যায় তিথির
কথায়। চোখে কান্না চলে আসে।
প্রতিটা শব্দ কানে বাজতে থাকে ।
মারুফ খানিকক্ষণ ভেবে তিথি আর
ছেলেটির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েঃ
হাত বাঁড়িয়ে দেয় ছেলেটির
দিকে ।
বলেঃ হাই ।
আমি মারুফ তিথির ভাই ।
সরি ফর ডিস্টার্বিং ।
এটা আমার স্বভাব ।
তিথি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়।
তবু খানিকটা বোবা দৃষ্টিতে তাকায়
মারুফের দিকে । ছেলেটা হাসছে ।
কিছুক্ষণ কথা বলে মারুফ বলেঃ
আজ আমার জন্মদিন ।
একজনকে নিয়ে ছবি দেখার কথা ছিলো ।
কিন্তু সে আসেনি । টিকিট দুটো তোমরা রাখো । বার্থডে ট্রিট । বলে আর কথা না বাড়িয়ে টিকিট ধরিয়ে দেয় হাতে । তারপর উল্টো হাঁটতে শুরু কর। মাথা ঘুরছে । সব এলোমেলো লাগছে । ছেলেটাকে তিথিকে টেনে নিয়ে যায় টিকিট চেকিং এর দিকে ।
কিন্তু তিথি তাকিয়ে থাকে চলে যাওয়া মারুফের দিকে। মেয়েটা অবাক হয়ে যায় ।
কিন্তু জানে যে তার হাজার ডাকেও
মারুফ ফিরবে না । সবচেয়ে নামী রোমান্টিক
ছবিটিও তার কাছে সবচেয়ে বিষাদময়
ছবি হয়ে যায় ।
মারুফ হাঁটছে। খুব ব্যস্ত একটা রাস্তায় । অচেনা মুখের ভীড়ে কেবল তিথির
মুখটাই ভেসে উঠে ।
নোংরা মানুষ গুলোর প্রেমের সস্তা অভিনয় খুব ভালো হয় বলেই কিছু সরল মানুষ ঠকে যায় ।
বলে না । কিন্তু তিথিকে ফোন দিলে বিজি দেখায় । মারুফের ব্যাপারটা খারাপ লাগে ।
valobashar golpo টা এভাবেই এগোতে থাকে
দুইসপ্তাহ পরঃ মারুফের পরীক্ষা শেষ । কয়েকদিন দশ পনেরো মিনিটের বেশি কথা হয়নি । আজ থেকে তিথিকে অনেক সময়
দিতে পারবে । ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হতে হবে তাকে। তারপর একটা জব । নিজের পায়ে দাঁড়ানো । সব পাগলীটার জন্যই তো ।
আগে প্রতিদিন সকালে তিথি ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙাতো ।
রোজ বিকেলে ঘুরে বেড়াতো এখানে সেখানে । কিন্তু মেয়েটা হয়তো রাগ
করেছে ভেবে তিথির জন্য একটা গোলাপ আর টেডি পাঠিয়ে দেয় । গিফট মেয়েটা নেয় ।
ফোন দিয়ে দায়সারা ভাবে বলেঃ
থ্যাংকস । কাজ আছে । পরে ফোন দিবো ।
এবার খানিকটা দ্বিধা কাজ করে মারুফের মনে।
কয়েকদিন পরঃ
সকাল ১১ টাঃ
মারুফ খুব সুন্দর করে শার্ট আয়রন
করেছে। নীল রঙের শার্ট । তিথির পছন্দের রঙ । পকেটে যথেষ্ট টাকা । আর মুভিসহ আছে আরো অনেক প্লান । কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতেই
“দেখে তিথি কারো সাথে ফোনে কথা বলছে ।
কলেজ গেটের সামনে একটা গাড়ি এসে থামে । প্রথমে ভেবেছিলো তিথিদের নিজের ।
কিন্তু ধাঁধাঁয় পড়ে যায় সাথের ছেলেটাকে দেখে । কোথায় দেখেছে ? মনে পড়ে
ফেসবুকে ছেলেটার সাথে চ্যাট করতো তিথি ।
খানিকটা বেশি মাখামাখি করে কথা বলতো দুজনই। তিথিই বলেছে তিথির ভাই হয়
নাকি ছেলেটা। প্রথমেই ডিস্টার্ব না করার
সিদ্ধান্ত নেয় মারুফ। কারন ফ্যামিলি প্রবলেম
হতে পারে । তবু কি ভেবে নিজেই
গাড়িটাকে ফলো করতে থাকে ।
ওরাও মুভি দেখতে গেছে ।
কিন্তু টিকিট স্বল্পতা আজ ।
কিন্তু তিথির মেশার ধরন ও
কথা বলার স্টাইলে মারুফের বুকে শেশ বাজে ।
ওরা টিকিট পায়নি । খুব কাছে দাঁড়িয়েই ফোন
দেয় তিথিকে । তিথি ফোন কেটে দেয় ।
পাশের ছেলেটা কে বলেঃ
আরে মারুফ ভাইয়া ফোন! খুব বিরক্ত করে !
মারুফ পুরো অবাক হয়ে যায় তিথির
কথায়। চোখে কান্না চলে আসে।
প্রতিটা শব্দ কানে বাজতে থাকে ।
মারুফ খানিকক্ষণ ভেবে তিথি আর
ছেলেটির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েঃ
হাত বাঁড়িয়ে দেয় ছেলেটির
দিকে ।
বলেঃ হাই ।
আমি মারুফ তিথির ভাই ।
সরি ফর ডিস্টার্বিং ।
এটা আমার স্বভাব ।
তিথি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়।
তবু খানিকটা বোবা দৃষ্টিতে তাকায়
মারুফের দিকে । ছেলেটা হাসছে ।
কিছুক্ষণ কথা বলে মারুফ বলেঃ
আজ আমার জন্মদিন ।
একজনকে নিয়ে ছবি দেখার কথা ছিলো ।
কিন্তু সে আসেনি । টিকিট দুটো তোমরা রাখো । বার্থডে ট্রিট । বলে আর কথা না বাড়িয়ে টিকিট ধরিয়ে দেয় হাতে । তারপর উল্টো হাঁটতে শুরু কর। মাথা ঘুরছে । সব এলোমেলো লাগছে । ছেলেটাকে তিথিকে টেনে নিয়ে যায় টিকিট চেকিং এর দিকে ।
কিন্তু তিথি তাকিয়ে থাকে চলে যাওয়া মারুফের দিকে। মেয়েটা অবাক হয়ে যায় ।
কিন্তু জানে যে তার হাজার ডাকেও
মারুফ ফিরবে না । সবচেয়ে নামী রোমান্টিক
ছবিটিও তার কাছে সবচেয়ে বিষাদময়
ছবি হয়ে যায় ।
মারুফ হাঁটছে। খুব ব্যস্ত একটা রাস্তায় । অচেনা মুখের ভীড়ে কেবল তিথির
মুখটাই ভেসে উঠে ।
নোংরা মানুষ গুলোর প্রেমের সস্তা অভিনয় খুব ভালো হয় বলেই কিছু সরল মানুষ ঠকে যায় ।