পার্সোনাল কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ কী?



পেশাদারদের লক্ষ্য করে এখন পার্সোনাল কম্পিউটার তৈরি করা হচ্ছে l এএফপিওয়েবসাইট দেখা, ই-মেইল দেখা কিংবা গান শোনার জন্য আগে ভরসা ছিল পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি)। সেই কাজ এখন স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার কিংবা কণ্ঠ-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র দিয়েই সেরে ফেলা যায়। গ্রাহক-চাহিদার এই পরিবর্তনের ফলেই পিসির বাজারে ধস নেমেছে। এখন প্রশ্ন হলো, পার্সোনাল কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ কী? ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাবে?
মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের সাম্প্রতিক পিসির ঘোষণায় সেই উত্তর কিছুটা পাওয়া যায়। এদিকে এইচপি কিংবা লেনোভোর মতো প্রতিষ্ঠান সেই প্রশ্নের উত্তর একটু ভিন্নভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছে। নির্মাতারা তাদের কম্পিউটারগুলো অনেকটা ট্যাবলেটের মতো করে ফেলছে। একই সঙ্গে পিসি এবং ট্যাবলেটের কাজ করা এই যন্ত্রগুলোকে বলা হচ্ছে হাইব্রিড। হাইব্রিডের বিক্রি বাড়ছে। তবু পিসির বিক্রি রাতারাতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তা যথেষ্ট নয়।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) হিসাবে, ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে পিসি বিক্রি আরও ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। সেই প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্লেষক লিন হুয়াং লিখেছেন, বাড়িতে ব্যবহারের জন্য পিসির বাজার ক্রমাগত কমছে। এ রকম প্রতিকূল পরিবেশেও পিসির ওপর আস্থা হারায়নি অ্যাপল এবং প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট।
পার্সোনাল কম্পিউটার নির্মাতারা বর্তমানে যে সমস্যার মুখে পড়ছে, তারই স্বীকৃতি অ্যাপলের ম্যাকবুক প্রো আর মাইক্রোসফটের সারফেস স্টুডিও। প্রতিদিনের কাজে ব্যবহারের জন্য নয়, বরং ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ দিন দিন পেশাদারদের কম্পিউটার হয়ে যাচ্ছে। পেশাদার ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দামও সেভাবেই নির্ধারণ করা হচ্ছে। ম্যাকবুক প্রো শুরু হয়েছে ১ হাজার ৭৯৯ ডলার থেকে আর সারফেস বুক কিনতে খরচ করতে হবে ৩ হাজার ডলার। নিত্যদিনের কাজ সারতে কে কিনবে এই মহামূল্য কম্পিউটার?
কম্পিউটার দুটির বিজ্ঞাপনেও কিন্তু সেই ছবি ও ভিডিও সম্পাদনা কিংবা শিল্পীদের কাজ দেখানো হয়েছে। এর বাইরে সব কাজের জন্য ট্যাবলেট কম্পিউটারই যথেষ্ট। ট্যাবলেট বানানো হচ্ছে সেভাবেই। সারফেস বুক কিংবা আইপ্যাডের কথা ভেবে দেখুন। অ্যাপল আর মাইক্রোসফট প্রযুক্তি জগতের দিকপাল। কম্পিউটারের প্রমিত মান ঠিক করতে তারাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
নবীনতর পূর্বতন