টাইম মেশিন তৈরি করা সম্ভব।একদিন আমরা পাড়ি দিতে পারব অদূর ভবিষ্যত এবং অতীতে

টাইম মেশিন তৈরি করা সম্ভব।একদিন আমরা পাড়ি দিতে পারব অদূর ভবিষ্যত এবং অতীতে
কেমন হবে?যদি সময় ভ্রমন করা সম্ভব হয়।পাড়ি দেওয়া যায় অদূর ভবিষ্যত এবং অতীতে।আমরা যদি আলোর বেগে ৩ বছর চলি,তাহলে পৃথিবীতে প্রায়ই ৩৬০ বছর কেটে যাবে।ভাবতেছেন আমি মজা করতেছি??অর্থাত আপনি যদি একটা রকেট তৈরি করতে পারেন,যেটা আলোর বেগে ছুটতে পারে,আর ওই রকেটে করে আপনি যদি ৩ বছর মহাকাশ পাড়ি দিয়ে আসেন,আর ৩ বছর পর যদি পৃথিবীতে ফিরে আসেন আপনি দেখবেন পৃথিবীতে প্রায়ই ৩৬০ বছর কেটে গেছে,বিজ্ঞানের ভাষায় এ তত্তের একটা নাম আছে যার নাম থিওরি অফ রিলেটিভিটি।অর্থাত সময় গতীতে ধীরে চলে,এই তত্বের জনক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানি আইনস্টাইন।এই তত্ব নিয়ে অনেক কল্পনা জল্পনা থাকলেও বিজ্ঞানিরা এটার যথার্থতা খুজে পেয়েছেন,এবং এটি এখন প্রমানিত,ভাবতেই অবাক লাগে,এইটি পদার্থ বিজ্ঞানের একটি অন্যতম চমক।আমরা পদার্থবিজ্ঞানে পড়িছি সময় আপেক্ষিক।এইটা নিয়ে একটা গল্প আছে যেটাকে বলে টুইন প্যারাডক্স।দুই জমজ ভাই ছিল,একজন নাসাতে চাকরি করত।তার একবার স্পেস শিপ করে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ হয়,প্রায়ই তিন বছর মহাকাশ যানে পাড়ি দেওয়ার পর তিনি যখন পৃথিবীতে আসেন ওনার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়,তার ভাই একদম থুরথুরে বুড়ো যেখানে সে একজন তরতাজা যুবক কারন সে মহাকাশযান দিয়ে যে ৩ বছর কাটিয়েছে পৃথিবীতে তখন ১০ বছর কেটে গেছে।অর্থাত তার বয়স ৭ বছর কমে গেছে,মহাকাশ যানের দ্রুততার কারনে এটি ঘটেছে।আগেই বলেছি সময় গতিতে ধীরে চলে,এইটা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে জাফর ইকবাল স্যারের থিওরি অফ রিলেটিভিটি বইড়া পড়তে পারেন।আচ্ছা কেমন হবে যদি মানুষ আলোর বেগে ছুটতে পারে এমন মেশিন তৈরি করতে পারে,কিন্তু সেটা এখন অসম্ভব,কারন এরজন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন।আর যদি বানাইতে পারে বন্ধুরা ওই মেশিনটার নাম আর কিছু না টাইম মেশিনই হবে।এছাড়া টাইম ট্রাভেল বিজ্ঞানীদের আরো কিছু তত্ব আছে।এগুলো হল ব্ল্যাকহোল,ওয়ার্ম হোল ইত্যাদি,এই ওয়ার্ম হোল দিয়ে নাকি অতীতে যাওয়া সম্ভব হবে,এইটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষনার শেষ নেয়,আবার এইটা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কও হচ্ছে,বিস্তারিত জানতে ইউটিউবে time travell লিখে সার্চ দিতে পারেন।
নবীনতর পূর্বতন