আমাদের দেশের অধিকাংশ মেয়ে কেই কোন না কোন ভাবে যৌন হয়রানির স্বীকার হতে হয়। তা কাছের মানুষ দ্বারা হতে পারে, হতে পারে দূরের মানুষ দ্বারা। পরিচিত কিংবা অপরিচিত মানুষ দারাও হতে পারে একটি মেয়ে যৌন নির্যাতনের স্বীকার। কি কি কারণে আমাদের দেশে যৌন হয়রানির স্বীকার হয়ে থেকে মেয়েরা। তার কি কারণ নিজের মত করে নিচে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা।
মেয়েদের কে যৌন নিগ্রহ, ইভট্রিজিং, যৌন সন্ত্রাস, রাস্তা-ঘাটে, কলেজ
পাটে, ভার্সিটিতে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে ঘটা করে উদযাপন করা, রাস্তার মোড়ে
মোড়ে বখাটে ছেলেদের অবস্থান উত্যক্ত করার উদ্দেশে বিভিন্ন অংগ ভঙ্গি, শীষ
দেয়া, উর্ণা টেনে ধরা, বাসে-ট্রেনে,লঞ্চে-স্টিমারে, বিভিন্ন প্রকার
যানবাহনে, চলতে ফিরতে, বসতে-হাটতে, হাসপাতাল কিংবা অফিস আদালতে, কর্মস্থল
কিংবা উদ্যান পার্কে মেয়েদের কে যৌন হয়রানির যে স্বীকার হতে হয় তার অন্যতম
কারণ হচ্ছে
১)অশালীন যৌন উত্তেজক পোশাক ও অশ্লীল অংগভঙ্গী
অশালীন যৌন উত্তেজক পোশাকের কারনেই বাংলাদেশের অধিকাংশ যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে থাকে। যা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, যৌন উত্তেজক আচরণ পুরুষদের অনেক সময় উত্তেজিত করে তুলে ফলশ্রুতিতে ঘটে যায় যৌন হয়রানির মতো দুর্ঘটনা।
২) ধর্ষণের শাস্থি না হওয়া
যারা ধর্ষণ করে থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের কোন বিচার হয়না। বিচার না হবার দুইটি কারনের মধ্যে একটি হচ্ছে রাজনৈতিক মতাদর্শ অপরটি সামাজিকভাবে প্রভাবশালী হওয়া।
৩) সচেতনতার অভাব
যৌন হয়রানি যে একটি ফৌজদারি অপরাধ তা বেশির ভাগ লোকই জানেন না। যার কারণে তার মধ্যে কোন শাস্থির ভয় কাজ করে না।
৪) বিচারের দীর্ঘ সুত্রিতা
আমাদের দেশের আদালত গুলোতে গেলেই বুঝতে পারা যাবে যে, একটি মামলার সুরাহা হতে কত দীর্ঘ সময় অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয় চাতক পাখির নেয়। বিচারের এই করুন দশার জন্য অপরাধী অপরাধ করার পর ও জামিনে বের হয়ে সমাজে নির্বিবাদে ঘুরে বেরায়। একটি মামলার সমাধানের পিছনে এই দীর্ঘ সুত্রিতাই অপরাধীকে অপরাধ করতে সাহায্য করে। অনেক সময় অপরাধী অপরাধ করার পর ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে মুক্তি পেয়ে যায়।
৫) মান সম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে অনিহা প্রকাশ
অধিকাংশ ভুক্তভোগী অভিভাবকরাই মান সম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় না নেয়াতে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় এবং অপরাধ কার্যে লিপ্ত থাকে।
৬) সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে একই তাবুতে অবস্থান
সামাজিক-সাংস্কৃতিক কোন কার্যে অংশগ্রহণ করার সময় ছেলে-মেয়েরা কাছাকাছি আসার সুবাধে ঘটে যৌননির্যাতন। যেমন গত পহেলা বৈশাখে টিএসসি তে ঘটে গেল আলোচিত একটি যৌন সন্ত্রাসের মতো ঘটনা।
৭) সম-অধিকারের ভুলি আওরিয়ে নারী পুরুষের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেয়া
সময় অধিকারের দাবিতে নারীপুরুষ কাছাকাছি এসে পুরুষের কাছে স্বীকার হন যৌন হয়রানির।
৮) অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসন
আকাশ সংস্কৃতির যুগে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে ঘটে যৌনহয়রানির ঘটনা। যেমন ছেলে-মেয়ে পর্ণমুভি থেকে স্বামী-স্ত্রী না হয়েও যৌন উত্তেজনসবশত যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া। যার ফলশ্রুতিতে ঘটে যৌন সন্ত্রাসের মতো যৌন দুর্ঘটনা। অনেক সময় এই ছেলে মেয়ে গুলো উসৃংখল জীবন জাপন করায় ঘটে যৌন হয়রানির মতো ঘটনা।
৯) নীতি-নৈতিকতার অধঃপতন
নীতিহীন সমাজে যেকোন অস্বাভাবিক কাজ ঘটা স্বাভাবিক হয়ে দাড়ায়। ঠিক তেমনি একজন নীতি নৈতিকতাহীন মানুষ দ্বারা যৌন সন্ত্রাসীর মতো কার্যক্রম ঘটে থাকে।
১০) ব্যাপক ইন্টারনেট সুবিধা
ব্যাপক ইন্টারনেট সুবিধাসহ ইন্টারনেট সহজ লভ্য হওয়ায় ইন্টারনেট এর খারাপ জিনিসের প্রতি আসুক্তি অতঃপর যৌন হয়রানি মতো ঘটনা ঘটানো।
১১) পরিবার প্রথা ভেঙ্গে যাওয়া
পরিবার প্রথা ভেঙ্গে যাওয়াতে সহজে কারো সাথে যোগাযোগ না হওয়া এবং পারিবারিক অনুশাসন হতে দূরে সরে পরার কারণে বখে যাওয়া পরে বিভিন্ন প্রকার খারাপ সঙ্গ এবং ঘটায় যৌন সন্ত্রাস।
১২) পিতা-মাতা চাকরির সুবাধে
পিতা-মাতা যাদের উভয়ে চাকরি করে তারা তাদের সন্তানদের খেয়াল রাখতে পারেন না। সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, কি করে তা জানতে না পারার কারণে কিংবা জানার সুযোগ না হবার কারণে খারাপ বন্ধুদের আড্ডায় পরে বখে যায় অতঃপর করে যৌন নির্যাতন।
১৩) #ধর্মীয়_অনুশাসন_মেনে_না_চলা
যৌন নির্যাতনের সব চাইতে প্রধান ও একনাম্বার কারণ হচ্ছে ধর্ম সম্পর্কে উদাসীনতা ও ধর্মীয় অনুশাসন বাস্তব জীবনে ছেলে মেয়েরা মেনে না চলা।
যদি খালি ছেলে মেয়ে উভয়ে ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে চলে তাহলে সমাজে কোন যৌন হয়রানির মতো দুর্ঘটনা ঘটবে না।
হবে কি আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের বোধোদয়?
১)অশালীন যৌন উত্তেজক পোশাক ও অশ্লীল অংগভঙ্গী
অশালীন যৌন উত্তেজক পোশাকের কারনেই বাংলাদেশের অধিকাংশ যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে থাকে। যা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, যৌন উত্তেজক আচরণ পুরুষদের অনেক সময় উত্তেজিত করে তুলে ফলশ্রুতিতে ঘটে যায় যৌন হয়রানির মতো দুর্ঘটনা।
২) ধর্ষণের শাস্থি না হওয়া
যারা ধর্ষণ করে থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের কোন বিচার হয়না। বিচার না হবার দুইটি কারনের মধ্যে একটি হচ্ছে রাজনৈতিক মতাদর্শ অপরটি সামাজিকভাবে প্রভাবশালী হওয়া।
৩) সচেতনতার অভাব
যৌন হয়রানি যে একটি ফৌজদারি অপরাধ তা বেশির ভাগ লোকই জানেন না। যার কারণে তার মধ্যে কোন শাস্থির ভয় কাজ করে না।
৪) বিচারের দীর্ঘ সুত্রিতা
আমাদের দেশের আদালত গুলোতে গেলেই বুঝতে পারা যাবে যে, একটি মামলার সুরাহা হতে কত দীর্ঘ সময় অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয় চাতক পাখির নেয়। বিচারের এই করুন দশার জন্য অপরাধী অপরাধ করার পর ও জামিনে বের হয়ে সমাজে নির্বিবাদে ঘুরে বেরায়। একটি মামলার সমাধানের পিছনে এই দীর্ঘ সুত্রিতাই অপরাধীকে অপরাধ করতে সাহায্য করে। অনেক সময় অপরাধী অপরাধ করার পর ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে মুক্তি পেয়ে যায়।
৫) মান সম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে অনিহা প্রকাশ
অধিকাংশ ভুক্তভোগী অভিভাবকরাই মান সম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় না নেয়াতে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় এবং অপরাধ কার্যে লিপ্ত থাকে।
৬) সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে একই তাবুতে অবস্থান
সামাজিক-সাংস্কৃতিক কোন কার্যে অংশগ্রহণ করার সময় ছেলে-মেয়েরা কাছাকাছি আসার সুবাধে ঘটে যৌননির্যাতন। যেমন গত পহেলা বৈশাখে টিএসসি তে ঘটে গেল আলোচিত একটি যৌন সন্ত্রাসের মতো ঘটনা।
৭) সম-অধিকারের ভুলি আওরিয়ে নারী পুরুষের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেয়া
সময় অধিকারের দাবিতে নারীপুরুষ কাছাকাছি এসে পুরুষের কাছে স্বীকার হন যৌন হয়রানির।
৮) অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসন
আকাশ সংস্কৃতির যুগে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে ঘটে যৌনহয়রানির ঘটনা। যেমন ছেলে-মেয়ে পর্ণমুভি থেকে স্বামী-স্ত্রী না হয়েও যৌন উত্তেজনসবশত যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া। যার ফলশ্রুতিতে ঘটে যৌন সন্ত্রাসের মতো যৌন দুর্ঘটনা। অনেক সময় এই ছেলে মেয়ে গুলো উসৃংখল জীবন জাপন করায় ঘটে যৌন হয়রানির মতো ঘটনা।
৯) নীতি-নৈতিকতার অধঃপতন
নীতিহীন সমাজে যেকোন অস্বাভাবিক কাজ ঘটা স্বাভাবিক হয়ে দাড়ায়। ঠিক তেমনি একজন নীতি নৈতিকতাহীন মানুষ দ্বারা যৌন সন্ত্রাসীর মতো কার্যক্রম ঘটে থাকে।
১০) ব্যাপক ইন্টারনেট সুবিধা
ব্যাপক ইন্টারনেট সুবিধাসহ ইন্টারনেট সহজ লভ্য হওয়ায় ইন্টারনেট এর খারাপ জিনিসের প্রতি আসুক্তি অতঃপর যৌন হয়রানি মতো ঘটনা ঘটানো।
১১) পরিবার প্রথা ভেঙ্গে যাওয়া
পরিবার প্রথা ভেঙ্গে যাওয়াতে সহজে কারো সাথে যোগাযোগ না হওয়া এবং পারিবারিক অনুশাসন হতে দূরে সরে পরার কারণে বখে যাওয়া পরে বিভিন্ন প্রকার খারাপ সঙ্গ এবং ঘটায় যৌন সন্ত্রাস।
১২) পিতা-মাতা চাকরির সুবাধে
পিতা-মাতা যাদের উভয়ে চাকরি করে তারা তাদের সন্তানদের খেয়াল রাখতে পারেন না। সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, কি করে তা জানতে না পারার কারণে কিংবা জানার সুযোগ না হবার কারণে খারাপ বন্ধুদের আড্ডায় পরে বখে যায় অতঃপর করে যৌন নির্যাতন।
১৩) #ধর্মীয়_অনুশাসন_মেনে_না_চলা
যৌন নির্যাতনের সব চাইতে প্রধান ও একনাম্বার কারণ হচ্ছে ধর্ম সম্পর্কে উদাসীনতা ও ধর্মীয় অনুশাসন বাস্তব জীবনে ছেলে মেয়েরা মেনে না চলা।
যদি খালি ছেলে মেয়ে উভয়ে ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে চলে তাহলে সমাজে কোন যৌন হয়রানির মতো দুর্ঘটনা ঘটবে না।
হবে কি আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের বোধোদয়?