কখনও ভেবে দেখেছেন, শীত এলেই কেমন টপাটপ বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ে সবাই। একের পর এক বিয়ের নেমন্তন্ন এসে হাজির হয়। বিয়ের তিথিটা ফ্যাক্টর নয়, একটা-দুটো মাস বাদ দিলে সে তো সারাবছরই রয়েছে। শীতকালে বিয়ে করার আরও অনেক কারণ থাকে।
১. এনার্জি
– মা দুর্গার পুজো আর বিয়ের ঝক্কি – দুটোই সামলাতে কালঘাম ছোটে। ৪-৫ দিনের ধকল। সবাই মিলে হাত লাগিয়ে সারতে হয়। রাত জাগা, প্রভৃতি উৎপাতে এনার্জি খরচ হয় বিস্তর। তাই শীতই সই। শীতে অনেক কাজ করলেও এনার্জিতে ঘাটতি দেখা যায় না।
২. উপোসের জন্য শীতকালই বেস্ট
– সেই কোন ভোরে খই দই খেয়ে সারাদিন উপোস, গরমে সইবে? শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে বিয়ের সময় মাথা ঘুরিয়ে একশা। কিন্তু শীতে উপোসটা কোনও ব্যাপারই নয়।
৩. সাজগোজের ব্যাপারটাও ইমপর্ট্যান্ট
– এ দেশের যা আবহাওয়া, শীত বাদে বাকি সময়টায় মেকআপ লাগিয়ে সাজলে মুশকিল। ঘেমেনেয়ে গলে গলে পড়ে সব সাজ। তাই কনের সাজ হোক বা বরের, শীতে যেমন খুশি সাজো, কুছ পরোয়া নেহি। বর- কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে চুটিয়ে।
৪. কত ফুল, কত ডেকরেশন
– কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজনও হয় না শীতকালে। ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই – সব টাটকা টাটকা পাওয়া যায় হাফ দামে। এবেলা সাজালে ওবেলায় পচে যায় না।
৫. যত খুশি খাও
– অম্বল হবে না। এমনিতেই শীতে হজমশক্তির বৃদ্ধি ঘটে। তাই ফিশফ্রাই, রোগানজোশ, বিরিয়ানি, পোলাও সবই এক থাকায় গপগপিয়ে সাবাড় করা যায় বিনা দ্বিধায়। তা ছাড়া, শীতকালীন কিছু বিশেষ খাবার ওঠে, যেমন গুড়, কমলা লেবু ইত্যাদি… সে সব খাওয়াদাওয়াকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।
৬. হানিমুনের চার্ম
– বিয়ের পর খুব বেড়ানো যায়। রোদের তাপ নেই। ক্লান্তি নেই। বরের হাত ধরে নতুনের স্বাদটা ভালোই উপভোগ করা যায় শীতে। হানিমুনও জমে ক্ষীর!