সময়টা
যেমনই হোক—শীত বা গরমকাল, মুখে ক্রিম মাখতে হবেই। ঋতু অনুযায়ী হয়তো
ক্রিমের ধরন কিছুটা বদলে যাবে। যে ধরনের হোক বিশেষজ্ঞরা ভালো মানের
ক্রিমটাই ব্যবহার করতে বলেন। আবার বয়স বুঝেও বেছে নিতে হবে ক্রিম। ক্রিমের
কৌটার ওপরেই বয়স উল্লেখ করা থাকে। কথা আরও আছে। শুধু ভালো মানের ক্রিম
ব্যবহার করলেই হবে না। মুখে ক্রিম লাগাতে হবে সঠিক উপায়ে ও একটু সময় নিয়ে।
মুখে
ক্রিম কীভাবে মাখতে হবে তা বুঝিয়ে দিলেন আয়ুর্বেদ রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা
সুলতানা। তিনি প্রথমেই জানালেন, মানুষের ত্বক পাঁচ ধরনের—সাধারণ, শুষ্ক,
তৈলাক্ত, মিশ্র ও স্পর্শকাতর। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের ত্বক এমনিতেই
ভালো থাকে। ক্ষয়ক্ষতি শুরু হতে থাকে এর পর থেকে। ত্বকের অযত্নের ফলাফল
পাওয়া যায় ৩০ বছরের পর থেকে। তাই ২৫ বছর থেকেই ত্বক সম্পর্কে সচেতন হয়ে
যাওয়া ভালো। গোসল, মুখ ধোয়া বা অন্য কোনো কারণে ত্বকে পানি লাগলেই
ময়েশ্চারাইজার মাখা উচিত। শুষ্ক ত্বকে চাই ভারী ক্রিম। তৈলাক্ত ত্বকে পানি
বেশি আছে এমন ক্রিম। আর স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য একটু বুঝে-শুনে ক্রিম বেছে
নেওয়া উচিত। সম্ভব হলে আগে ছোট কৌটা কিনে কিছুদিন ব্যবহার করুন। ত্বকে
কোনো সমস্যা না হলে পরবর্তী সময়ে বড় কৌটা কিনতে পারেন। একই রকম ত্বক
হলেই যে একই ক্রিম মানিয়ে যাবে, তা কখনো কখনো না-ও হতে পারে।
২০
বছর পার হলেই রাত ও দিনের জন্য আলাদা ক্রিম কেনা উচিত। ২০ বছর বয়সের আগে
ত্বক ভালো থাকার কারণে যেভাবে ইচ্ছা ক্রিম লাগানো যায়। ওই বয়সে
নিয়ম-কানুন বেশি অনুসরণ না করলেও ক্ষতি নেই। ২৫ বছরের পর একটু নিয়ম মেনে
ক্রিম লাগানো উচিত। ত্বককে ওপরের দিকে তুলে ধরে মুখে ক্রিম মালিশ করতে
হবে। ফেসওয়াশ ব্যবহার করার সময়ও একই নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। বয়স বাড়ার সঙ্গে
সঙ্গে মুখের ত্বক নিচের দিকে ঝুলে যেতে থাকে। গলায় ভাঁজ পড়ে সবার আগে।
মুখের ক্রিমটা পুরো গলাতেও লাগাতে হবে। এতে করে মুখের ও গলার রং, টোন একই
রকম হবে।