আজকাল বন্ধুত্ব থেকে কাউকে ভালো লাগা স্বাভাবিক, কিন্তু এই ভালো লাগা প্রেম নাকি ক্রাশ এ নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। ক্রাশ আর প্রেমে পড়া এক নয়। তবে প্রেমের শুরুটা ক্রাশ থেকেই হতে পারে। যাকে আপনার ভালো লাগে তিনি সামনে আসা মানেই মনের ভিতরে হাজার বাতির রোশনাই। আশেপাশে বেজে ওঠে ভায়োলিন, পিয়ানো. . . হ্যাঁ, তাঁকে দূর থেকে এক ঝলক দেখলেই মনে হয় আজ ঝকঝকে রোদটা শুধুমাত্র আপনার জন্যে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে অবাধে যাওয়া আসা করছে। তিনি সামনে এলে আপনার চারপাশে কী ঘটছে তা তখন অপ্রাসঙ্গিক!
ঠিক এমনটাই হয় যখন আপনার ‘ crush ‘ থাকেন আপনার আশেপাশে। না প্রেম বলতে প্রচলিত ধারণায় যা বোঝায় , এ বস্তুটি ঠিক তেমন নয়। আসলে প্রেম আর ক্রাশের পার্থক্য যে কি সে রহস্য আজও কেউ উদ্ধার করতে পারেনি ! কিন্তু এ সময়ে ঠিক কী কী হতে পারে . . . তা সহজেই বলা যায়।
*তিনি যখন থেকে আপনার জীবনে এন্ট্রি নিয়েছেন অপলক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকার পরেও চোখ ফেরানো যায় না। স্থান, কাল, পাত্র কিছুই খেয়াল থাকে না!
*সেই বিশেষ ব্যক্তির নাম উল্লেখ হলেই আপনার গালে রক্তিম আভা। আপনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আপনার আশপাশের মানুষের কাছে এই রক্তিম আভার রহস্য স্পষ্ট!
*এমনিতে আপনি একেবারে ‘ননসেন্স’ নন! কিন্তু যেই সেই বিশেষ ব্যক্তির সামনে আসেন, আপনা থেকেই আপনি গলে জল। কথা বলার ধরনও কেমন জানি অজান্তেই আদুরে হয়ে যায়!
*কখন তোমার আসবে টেলিফোন ! হ্যাঁ, আপনার মনের কলার টিউনে শুধু ঘুরে ফিরে এই গানটিই বাজবে। চোখের সামনে ফোন আর স্ক্রিনে একটি নাম্বার! তবে মেসেজ পাঠাতে গিয়ে দোটানা! একটি বার্তা পাঠাতে যে এত সময় ও চিন্তাভাবনার প্রয়োজন পড়ে তার বিন্দুমাত্র ধারনা এর আগে আপনার ছিল না।
*আপনাকে কথায় হারায় এমন ব্ক্তির খোঁজ পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু একমাত্র এঁর সামনে আসলেই হারিয়ে যায় কথার খেই ! যা বলতে চান বলে ফেলেন তার ঠিক উল্টোটাই!
*যত রকম সোশ্যাল নেটওয়র্ক আছে, আপনি হত্যে দিয়ে পড়ে থাকেন সেই সব ঠিকানায়। তাঁর পোস্ট করা একটিও আপডেট যে আপনি মিস করতে নারাজ!
*তিনি ফুটবল ভালোবাসলে নিমেষে আপনারও প্রিয় খেলাও হয়ে ওঠে ফুটবল। কিংবা তাঁর পছন্দের মিউজিক যদি হয় হার্ড রক , তাহলে যতই মাথা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাক, হার্ড রকের প্রতিটি ঝঙ্কারে আপনি মাথা দোলাবেনই !
*পছন্দের মিল হলে তবেই না কাছাকাছি আসা যাবে ! আরও কাছে আসার ইচ্ছেই যে তখন আপনার মনের আনাচ কানাচে উঁকি দিচ্ছে।
*দিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ে কাটে আপনার সেই ‘ বিশেষ ‘ পরিচিতের সঙ্গে একটু কথা বলা যায় কীকরে সে চিন্তায়! সে যত তুচ্ছ বিষয় হোক না কেন , সেই সুযোগে যদি একান্তে একটু কথা বলার সুযোগচলে আসে হাতে, তাহলে তা বাংলাদেশ – ভারত ম্যাচের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়!
*আর যদি কোনও ক্রমে ‘ তাঁর’ এক পিস প্রেমিক বা প্রেমিকা থাকে, তাহলে আপনার চোখের সামনে আসার আগে তাঁর অবশ্যই জীবনবিমা করিয়ে নেওয়া উচিত।
আহা আপনার দোষ কে বলেছে! সত্যিই তো আপনার ‘ তাঁর’ সঙ্গে অন্য কাউকে কী করেই বা সহ্য করেন আপনি!
*তিনি কবে কোন সময়ে ঠোঁটটা বাঁ পাশে বেঁকিয়ে তিন সেকেন্ডের জন্যে এক স্বর্গীয় হাসি হেসেছিলেন , আপনার মনে তা প্রিন্ট হয়ে গিয়েছে চিরতরে।
এই সব তো আতে যাতে কয়েকটি উদাহরণ। এছাড়াও মনের চোরাগলির মধ্যে আরও কী কী স্মৃতি রয়েছে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন!