সংসদে ঢোকা হবে বলে মনে হয়না


সংসদে দাঁড়িয়ে মতিয়া
চৌধুরী কৃষি বিষয়ক খুবই
গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
এমন সময় পেছন থেকে এক
সাংসদের খ্যাক খ্যাক করে
হাসির শব্দ শোনা গেল।
ফিরে তিনি দেখলেন
জাতীয় পার্টির কাজী
ফিরোজ রশিদ সাহেব
হাসছেন।
.
- আপনি কেন হাসছেন?
.
- ম্যাডাম, পেছন থেকে
আপনার অন্তর্বাস দেখা
যাচ্ছে! খিক খিক…
.
- বেরিয়ে যান সংসদ থেকে।
এরশাদের সাথে থেকে
থেকে আপনাদের নজরই
খারাপ হয়ে গেছে। যেমন গুরু
তেমন শিষ্য। আগামী তিন
দিন আমার সামনে আসবেন
না। .
.
ফিরোজ সাহেব মাথা নীচু
করে বেরিয়ে গেলেন।
.
মতিয়া আবার বক্তব্য দেওয়া
শুরু করলেন। এইবার রুহুল আমিন
হাওলাদারের কন্ঠে আরো
জোরে হাসি শোনা গেল।
মতিয়া রেগেমেগে
হাওলাদারের দিকে
অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন।
.
- আপনার সমস্যা কি?
.
- ইয়ে মাডাম, আমার আসন
থেকে আপনার অন্তর্বাস
পুরোটাই দেখা যাচ্ছে।
.
- আপনিও বেরিয়ে যান।
আগামী তিন সপ্তাহ আমার
সামনে আসবেন না।
হাওলাদার সাহেব মুচকি
হেসে সংসদ থেকে বেরিয়ে
গেলেন।
.
মতিয়ার হাত থেকে হটাত
করে কলম পড়ে গেল। সেটা
তুলতে গিয়ে আরেক সংসদ
সদস্যের হাসি শুনতে পেলেন।
ফিরে তাকাতেই দেখলেন
#এরশাদ বেরিয়ে যাচ্ছে।
.
- কি ব্যাপার! আপনি
কোথায় যাচ্ছেন?
.
- ম্যাডাম, আমি যা দেখেছি
তা যদি বলি তাহলে বাকী
জীবনে আমার আর সংসদে
ঢোকা হবে বলে মনে হয়না।
নবীনতর পূর্বতন